‘ছাঁটাইয়ের’ আগে সরে গেলেন বাবর
অধিনায়কত্ব ছাড়লেন পাকিস্তানের বাবর আজম। মঙ্গলবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্ট দিয়ে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন বাবর।
ডানহাতি ব্যাটসম্যান লিখেছেন, ‘আমি পাকিস্তান জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গত মাসে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এবং টিম ম্যানেজমেন্টকে বিষয়টি অবহিত করেছি। এই দলকে নেতৃত্ব দেওয়া সম্মানের বিষয়, কিন্তু এখন সরে যাওয়ার সময়। আমার খেলায় মনোযোগ দেওয়ার সময়।’
বাবরের দাবি, অধিনায়কত্বের মাধ্যমে পাকিস্তানের থেকে বড় পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু প্রচুর কাজের চাপ থাকায় নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে মনোযোগী হতে পারছেন না। বাবর যোগ করেন, ‘আমি আমার পারফরম্যান্সকে অগ্রাধিকার দিতে চাই, আমার ব্যাটিং উপভোগ করতে চাই এবং আমার পরিবারের সাথে মানসম্পন্ন সময় কাটাতে চাই, যা আমাকে আনন্দ দেয়। পদত্যাগ করার মাধ্যমে, আমি এগিয়ে যাওয়ার স্পষ্টতা অর্জন করব এবং আমার খেলা এবং ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জনে আরো মনোযোগী হতে পারব।’
গত মার্চে অধিনায়কত্ব ফিরে পান মার্চ। তাকে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর আগে ২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব এবং ২০২০ সালে ওয়ানডে নেতৃত্ব পান তিনি। গত বছর এশিয়া কাপে ভরাডুবির পর তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শাহীন শাহ আফ্রিদিকে বানানো হয় অধিনায়ক।
কিন্তু পিসিবিতে রদবদল আসার পর আফ্রিদি নেতৃত্ব হারান। বাবরের কাঁধেই পাকিস্তানের দায়িত্ব যায়। কিন্তু তার অধীনে পাকিস্তান ভালো করতে পারছিল না। সঙ্গে বাবরের নিজের ব্যাটেও রান খরা। সব মিলিয়ে স্রোতের বিরুদ্ধে যাচ্ছিলেন বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। নিজের ওপর চাপ কমাতেই বাবর অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলেন।
লম্বা সময়ে র্যাংকিংয়ে তিন ফরম্যাটেই দশের নিচে নেমেছন বাবর। সাবেক ক্রিকেটাররা তার খেলার ধরন এবং একাগ্রতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। দল থেকে বাদ দেওয়ারও কথা বলেছেন তারা।
এদিকে পাকিস্তানের গণমাধ্যম দ্য ডন- এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কিছুদিনের মধ্যেই পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক শান মাসুদ এবং সীমিত পরিসরের অধিনায়ক বাবর আজমকে বরখাস্ত করতো পিসিবি। তার আগেই বাবর নিজেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন। পাকিস্তানের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
ঢাকা/ইয়াসিন