ঢাকা     শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

উত্তাপ ছড়াচ্ছে বিরান ভূমির গোয়ালিয়র, নিরাপত্তায় ৫ হাজার পুলিশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক, গোয়ালিয়র থেকে  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫০, ৩ অক্টোবর ২০২৪   আপডেট: ১৫:১৭, ৩ অক্টোবর ২০২৪
উত্তাপ ছড়াচ্ছে বিরান ভূমির গোয়ালিয়র, নিরাপত্তায় ৫ হাজার পুলিশ

চারপাশে ঘেরা পাহাড়, আশেপাশে নেই কোনো বসতি। এমন বিরান ভূমিতে দাঁড়িয়ে আছে গোয়ালিয়রের শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়াম। প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হবে, প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই এমন আভাস পাওয়া গেলো। 

৬ অক্টোবর বাংলাদেশ-ভারত প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখবে স্টেডিয়ামটি। তার আগে আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) মাঠে দেখা গেলো বিশাল কর্মযজ্ঞ। কোথাও চলছে সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ, আবার কোথাও বসানো হচ্ছে আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র।  

আশেপাশে সব খালি থাকায় গরমের পর্যায় অসহনীয়। ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস দেখালেও অনুভব হচ্ছে চল্লিশের বেশি। বাংলাদেশ দলও গরমের কারণে নির্ধারিত সময়ে অনুশীলন শুরু করেনি। অনুশীলনের নির্ধারিত সময়ের প্রায় আধঘণ্টা পর নামে বাংলাদেশ।

আরো পড়ুন:

এ ছাড়া দুপুরে বাংলাদেশের অনুশীলন শুরুর আগে স্টেডিয়াম এলাকায় দেখা গেছে নিরাপত্তাবাহিনীর তোড়জোড়। মাঠের চারপাশে ঘুরছেন পুলিশসহ নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। কীভাবে কোথায় নিরাপত্তা দেওয়া হবে চলছে সেই পরিকল্পনা। 

বাংলাদেশের এই ম্যাচ ঘিরে আগেই হিন্দু মহাসভার হুমকি রয়েছে। গতকালও স্টেডিয়াম এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে প্রায় ১৯ জনের মতো সদস্য।

রাইজিংবিডিকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ‘স্টেডিয়ামসহ পুরো শহরে প্রায় পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে। কেউ পাত্তাই পাবে না এখানে।’

এদিকে কানপুরে নিরাপত্তার শঙ্কা থাকায় বাংলাদেশ-ভারত দুই দলের অবস্থান ছিল একই হোটেলে। তবে গোয়ালিয়রে  এসে দুই দল আলাদা হয়ে যায়। 

ভারত উঠেছে তাজ উশা কিরণ নামে একটি রিসোর্টে। অন্যদিকে বাংলাদেশ দল উঠেছে রেডিসনে। আলাদা থাকলেও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে না বলে জানিয়েছে গোয়ালিয়র পুলিশ। 

গোয়ালিয়রে সবশেষ ম্যাচ হয়েছে ২০১০ সালে, অরুপ সিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ১৪ বছর পর নতুন মাঠ শ্রীমন্ত মাধবরাও স্টেডিয়াম ম্যাচ পেয়ে রোমাঞ্চিত গোয়ালিয়ের মানুষ। কয়েক ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে ৩০ হাজার টিকিট। 

গোয়ালিয়র শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে আসতে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। ট্যাক্সি-ক্যাব মেলানো দায় হয়ে পড়ে। আসার পথে ট্যাক্সি ড্রাইভার গোবিন্দের কণ্ঠেও ম্যাচ নিয়ে ঝরেছে রোমাঞ্চ। 

‘শেষ বার এখানে ম্যাচ হয়েছে শচীন যখন ২০০ করেছে। আমি তখন ছোট ছিলাম। টিভিতে খেলা দেখেছি। এখন এই স্টেডিয়ামে খেলা হলেও টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না।’

গোয়ালিয়র/রিয়াদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়