এই শতাব্দীতে ৫৫৬ রান করেও হেরেছে যে তিনটি দল
ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। আর টেস্ট ক্রিকেট হলো ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রাচীন সংস্করণ। যেটাকে ক্রিকেটের মানদণ্ড হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। যদিও আধুনিক যুগে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার ভিড়ে টেস্ট ক্রিকেট আস্তে আস্তে আবেদন হারাচ্ছে। কিন্তু প্রথম সারির বেশ কিছু দেশের টেস্ট ক্রিকেট এখনও মানুষ বেশ আগ্রহ নিয়ে দেখে। কেন দেখে মুলতান টেস্টে সেটার দৃষ্টান্ত তৈরি করলো ইংল্যান্ড।
প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের করা ৫৫৬ রানের জবাবে ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে করে ৮২৩ রান। এরপর পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২২০ রানে অলআউট হয়ে হার মানে ইনিংস ও ৪৭ রানের ব্যবধানে। যা এই শতাব্দীতে ৫৫৬ রান করেও হারের লজ্জায় ডোবায় তৃতীয় নজির। এর আগে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ এই শতাব্দীতে এমন নজির স্থাপন করেছিল।
অস্ট্রেলিয়া, ২০০৩ সাল:
অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৭ ওভারে ৫৫৬ রান করে স্বাগতিকরা। রিকি পন্টিং করেন সর্বোচ্চ ২৪২ রান। জবাবে রাহুল দ্রাবিড়ের ২৩৩ ও ভিভিএস লক্ষ্মণের ১৪৮ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত ১৬১.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে করে ৫২৩ রান।
৩৩ রানের লিড নিয়ে অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অজিত আগারকারের বোলিং (৬/৪১) তোপে ৫৬.২ ওভারে ১৯৬ রানে অলআউট হয়। তাতে ভারতের সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২৩০ রান। আর সেই রান ৭২.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলে ফেলে ভারত। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রান করেও হার মানে।
বাংলাদেশ, ২০১২ সাল:
ঢাকা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে শিবনারায়ণ চন্দরপলের অপরাজিত ২০৩, দিনেশ রামদিনের অপরাজিত ১২৬ ও কিয়েরন পাওয়েলের ১১৭ রানের ইনিংসে ভর করে ১৪৪ ওভারে ৪ উইকেটে ৫২৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
জবাব দিতে নেমে নাঈম ইসলামের ১০৮, নাসির হোসেনের ৯৬, সাকিব আল হাসানের ৮৯, তামিম ইকবালের ৭২ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৬২ রানের ইনিংসে ভর করে ১৪৮.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ৫৫৬ রান করে। লিড পায় ২৯ রানের।
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪.২ ওভারে ২৭৩ রানে অলআউট হয়। পাওয়েল এই ইনিংসেও সেঞ্চুরি (১১০) করেন। তাতে বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় মাত্র ২৪৫ রান।
কিন্তু টিনো বেস্টের বোলিং তোপে ৫৪.৩ ওভারে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১৬৭ রানে। তাতে প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রান করেও হার মানে ৭৭ রানে। যা এই শতাব্দীতে দ্বিতীয় নজির ছিল।
এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রান করে ইনিংস ব্যবধানে হেরে সেই নজিরে নিজেদের নাম যুক্ত করলো পাকিস্তানও।
ঢাকা/আমিনুল