দেশের মাটিতে সর্বনিম্ন রানে অলআউটের লজ্জা ভারতের
চেন্নাই টেস্টের প্রথমদিন বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। দ্বিতীয় দিন নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ভারত নিজেরাই ভেসে গেল। নিউ জিল্যান্ডের বোলিং তোপে দেশের মাটিতে সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় পড়তে হলো রোহিত শর্মার দলকে। চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে তারা গুটিয়ে গেল ৩১.২ ওভারে স্রেফ ৪৬ রানে।
৪৬ রান টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর আর দেশের মাটিতে সর্বনিম্ন। টেস্টে ভারতের সর্বনিম্ন স্কোর ৩৬। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে অ্যাডিলেডে অজিদের বোলিং তোপে উড়ে গিয়েছিল তারা। এর আগে দেশের মাটিতে ভারতের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর ছিল ৭৫ রান, দিল্লিতে ১৯৮৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
চিন্নাস্বামীর উইকেটে আজ পেসাররা সুবিধা পাবেন সেটা পিচ রিপোর্টেই বলা হয়েছিলো। খেলা শুরু হতেই দেখা গেল পিচের খেল। উইকেট উৎসবের শুরুটা করেন টিম সাউদি। ষষ্ঠ ওভারে দলীয় ৯ রানে রোহিত শর্মাকে বোল্ড করে দেন অভিজ্ঞ এই পেসার। সেই শুরু। এরপর স্বাগতিক ব্যাটাররা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিয়ে।
বাকি ব্যাটারদের মধ্যে দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেন কেবল যশস্বী জয়সওয়াল (৬৩ বলে ১৩) ও ঋষভ পন্ত (৪৯ বলে ২০)। এ দুজন চতুর্থ উইকেটে তারা গড়েন ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৮ বলে ২১ রানের জুটি। বাকিদের ইনিংস এক করলে মোবাইল নাম্বার চলে আসে। পুরো ইনিংসে মাত্র মাত্র চারটি বাউন্ডারি হাঁকাতে পেরেছে ভারত।
পাঁচজন ব্যাটার রানের খাতা খুলতে পারেননি। বিরাট কোহলি ৯ বলে ০ রানে লেগ গালিতে ক্যাচ দেন ও’রুকের বলে। এর আগে সবশেষ ১৯৯৯ সালে মোহালিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেই ভারতের ৫জন আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। সেদিন ভারত অলআউট হয়েছিল ৮৩ রানে।
শূন্য সংখ্যাটা ভারতের ব্যাটারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে আছে। গত জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপ টাউনে এক ইনিংসে ভারতের ৬ ব্যাটসম্যানও শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও একই ঘটনা ঘটেছিল।
শূন্যের খেলায় আছে বাংলাদেশের নামও। এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ব্যাটসম্যানের শূন্য রানে আউটের তালিকায় সবচেয়ে বেশি তিনবার এসেছে বাংলাদেশের নাম। তবে ৬ জন শূন্য রানে ফেরার পরও সর্বোচ্চ স্কোরটা বাংলাদেশেরই, ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, ৩৬৫ রান।
ভারতের ইনিংসে তোপটা দেগেছেন পেসার ম্যাট হেনরি। ৩২ বছর বয়সী এই ডানহাতি পেসার ৫ উইকেট নিতে খরচ করেন ১৫ রান। ২২ রানে ৪ উইকেট নেন তরুণ ডানহাতি পেসার ও’রুক। ১টি উইকেট ঝুলিতে পুরেন সাউদি।
ঢাকা/বিজয়