মার্শাল-আইচের সেঞ্চুরির দিনে আল-আমিন ও মেহরবের ফাইফার
জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথম রাউন্ডে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ঢাকা মেট্রোর আইচ মোল্লা ও মার্শাল আইয়ুব। তাদের জোড়া সেঞ্চুরিতে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে সিলেটে ৫ উইকেটে ৪০৮ রান তুলেছে ঢাকা মেট্রো। এরপর ইনিংস ঘোষণা দেয় তারা। মার্শাল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৫তম সেঞ্চুরি তুলে ১২৭ রান করেন। আইচ মোল্লা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির ইনিংসটি রাঙান ১২২ রানে। জবাব দিতে নেমে রোববার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে বরিশাল বিনা উইকেটে ২২ রান তুলেছে।
এদিকে সিলেটের আরেক মাঠে ফাইফারের স্বাদ পেয়েছেন রাজশাহী বিভাগের মেহরব হোসেন ও খুলনা বিভাগের আল-আমিন হোসেন। আগের দিনের ৯১ রানের সঙ্গে আরও ২ রান যোগ করে ফরহাদ হোসেন সাজঘরে ফেরেন। দিনের শুরুতে তাকে আউট করেন আল-আমিন হোসেন। এরপর দ্রুতই তার পকেটে যায় আরও ৩ উইকেট। সবমিলিয়ে ডানহাতি পেসার ৯৬ রানে পেয়েছেন ৫ উইকেট। রাজশাহী বিভাগ সবকটি উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে জমা করে ৪২৬ রান। জবাব দিতে নেমে মেহরবের ক্যারিয়ার সেরা ৩৫ রানে ৬ উইকেটে খুলনা বিভাগ গুটিয়ে যায় ১৯৪ রানে। অমিত মজুমদার ৫২ এবং জিয়াউর রহমান সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন। ৪৫ রান আসে নাহিদুলের ব্যাট থেকে। মেহরবের ৬ উইকেট বাদে ২ উইকেট পেয়েছেন মোহর শেখ।
এদিকে বগুড়ায় মাঠ ভেজা থাকায় মাত্র ২১ ওভার খেলার সুযোগ পায় রংপুর বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিভাগ। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুর বিভাগ ১ উইকেটে ৬৯ রান তুলে দিন শেষ করেছে। খালিদ হাসান ৩৭ ও অনিক সরকার ১ রানে অপরাজিত আছেন। ২২ রানে সাজঘরে ফিরেছেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান।
খুলনায় সিলেট বিভাগের জাতীয় ক্রিকেট লিগের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে তাদের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৪৬ রানে। স্পিনার এনামুল হক ও নাজমুল ইসলাম অপুর ঘূর্ণিতে পরাস্ত তারা। ৩টি করে উইকেট নেন এনামুল ও অপু। ২ উইকেট পেয়েছেন পেসার সালাউদ্দিন শাকিল। ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন জাতীয় দলের পেসার তানজিদ হাসান সাকিব। জবাব দিতে নেমে ১০ ওভার ব্যাটিং করার সুযোগ পায় ঢাকা বিভাগ। ১ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৩৮ রান তুলেছে তারা। আশিকুর রহমান শিবলি ১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন সৈয়দ খালেদ আহমেদের বলে। রনি তালুকদার ১৬ ও সুমন খান ১ রানে অপরাজিত থাকেন।
ইয়াসিন/আমিনুল