লেভানডোভস্কির জোড়া গোলে আবারও শীর্ষে বার্সেলোনা
জাতীয় দলের হয়ে যেখান থেকে শেষ করেছিলেন, ক্লাবে এসে ঠিক সেখান থেকেই শুরু করলেন রবার্ট লেভানডোভস্কি। জোড়া গোলে পুরো ম্যাচের আলো টেনে নিলেন নিজের দিকে। সেই সঙ্গে আলো ছড়ালেন বাকিরাও। বার্সেলোনাও দুর্দান্ত ফুটবলে সেভিয়াকে উড়িয়ে দিয়েছে ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে।
রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে লেভানডোভস্কির জোড়া গোলের সঙ্গে একটি গোল করেন পেদ্রি। শেষ দিকে বদলি হিসেবে নেমে জোড়া গোলে জয় নিশ্চিত করেন পাবলো তোরে। সেভিয়ার হয়ে একটি গোল শোধ করেন ইদুম্বো।
ম্যাচের শুরুতে নবম মিনিটে ম্যাচের প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগটি পায় সেভিয়া। ডান দিক দিয়ে বল ধরে বক্সে ঢুকে উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন লুকবাকিও। এরপরই শুরু বার্সেলোনার আসল খেলা। তারই ধারায় ২২তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে নেন লেভানডোভস্কি।
গোল পাওয়ার পর আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে বার্সেলোনা। ২৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পেদ্রি। লেভানডোভস্কির বাড়ানো বল ধরে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে পাস দেন ইয়ামাল আর ছুটে গিয়ে ৩০ গজ দূর থেকে জাল খুঁজে নেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার পেদ্রি।
বার্সেলোনা তৃতীয় গোল পায় ৩৭তম মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে রাফিনিয়ার জোরাল শটে স্রেফ পা ছুঁয়ে দিক পাল্টে নিজের দ্বিতীয় গোলটি দেন লেভানডোভস্কি। এই গোলের মধ্যে দিয়ে জার্ড মুলারকে (৩৬৫) ছাড়িয়ে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের হিসাবে সর্বোচ্চ লিগ গোলের তালিকায় তিন নম্বরে উঠে গেলেন লেভানদোভস্কি (৩৬৬)। মৌসুম ১০ ম্যাচে তার গোল হলো সর্বোচ্চ ১২টি। সব মিলিয়ে ১৪ গোল।
দ্বিতীয়ার্ধেও নিজেদের স্টাইলেই খেলতে থাকে বার্সেলোনা। ৭৬তম মিনিটে ইয়ামাল ও ফাতিকে তুলে তোরে ও জেরার্ড মার্টিনকে নামান ফ্লিক। ৮১তম মিনিটে গোল পেয়ে যান তোরে। বক্সে তার শট প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে জালে জড়ায়। ৮৭তম মিনিটে এক গোল শোধ করে সেভিয়া। পরের মিনিটেই দ্বিতীয় গোল করেন তোরে।
এই জয়ে আবারও শীর্ষে উঠলো বার্সেলোনা। আগের দিন সেল্টা ভিগোকে হারিয়ে পয়েন্টের হিসাবে বার্সেলোনার পাশে বসেছিল রিয়াল। ১০ ম্যাচে ৯ জয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে শিরোপাধারী রিয়াল।
ঢাকা/বিজয়