জাকের-মিরাজের রেকর্ড জুটি, স্বস্তির সঙ্গে আছে আক্ষেপও
কেশব মহারাজের আর্ম বল হালকা স্কিড করে আঘাত করে জাকের আলী অনিকের পায়ে। ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন কিন্তু ব্যাটে বলে সংযোগ হয়নি। পায়ে লাগার সঙ্গে সঙ্গে জাকেরের মাথায় হাত, মহারাজদের জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন সঙ্গে সঙ্গে। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি কোনো।
জাকেরের আউটে ভাঙে মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে গড়া বাংলাদেশের মান বাঁচানো ১৩৮ রানের জুটি। এই জুটি ভেঙেছে ২১ বছর আগের একটি রেকর্ডও। সপ্তম উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল ১৩১। চট্টগ্রামে সেই কীর্তি গড়েছিলেন হাবিবুল বাশার সুমন-জাভেদ ওমর বেলিম।
তৃতীয় দিনের সকালে দ্রুত তিন উইকেট পতনের পর শঙ্কা জাগে ইনিংস ব্যবধানে হারের। মিরাজ মাত্র ৬ বল খেলেছেন, রানের খাতা খুলতে পারেননি। এমন সময়ে লিটন দাসের আউটে তার সঙ্গী হন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট খেলতে নামা জাকের আলী। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২ রান করা এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার হাল ধরতে পারবেন কী না সেটা নিয়ে ছিল সংশয়।
শেষ পর্যন্ত সংশয় কাটিয়ে মিরাজকে দেন দারুণ সঙ্গ। সিঙ্গেলস-ডাবলসে এগোতে থাকেন ধীরে ধীরে। ৯২ বলে হয় ফিফটির জুটি। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৯৪ বলে ফিফটি তুলে নেন মিরাজ। প্রোটিয়াদের লিড থেকে ১ রান দূরে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরেই লিড টপকানোর সঙ্গে জুটির সেঞ্চুরিও হয়। চার মেরে টেস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচেই ফিফটি তুলে নেন জাকের আলী।
প্রোটিয়া লিড টপকানোর পর আলোচনার শুরু বাংলাদেশ কত রানের লক্ষ্য দিতে পারে এই নিয়ে। দুজনে তখন খেলছিলেন সাবলীলভাবে। এর মধ্যেই আসে মহারাজের ধাক্কা। তাতে ১১১ বলে জাকের আলীর ৫৮ রানের ইনিংসের ইতি ঘটে। দুজনের রেকর্ড জুটি স্বস্তির সঙ্গে দিচ্ছে আরেকটু লিডের আক্ষেপও!
মিরাজ অপরাজিত আছেন ৭৭ রানে, তার সঙ্গী নাঈম হাসান। দুজনের জুটি থেকে বৃষ্টি নামার আগ পর্যন্ত আসে ১৭ রান। বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ২৬৭। লিড ৬৫ রান।
ঢাকা/রিয়াদ/বিজয়