ঢাকা     বুধবার   ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ৭ ১৪৩১

মেহেদি রাঙা দিনে স্বস্তির বৃষ্টি দেখাচ্ছে বড় স্বপ্ন

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩২, ২৩ অক্টোবর ২০২৪  
মেহেদি রাঙা দিনে স্বস্তির বৃষ্টি দেখাচ্ছে বড় স্বপ্ন

‘এই নিয়ে আমি তৃতীয়বার বলছি, ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি, এখনো আমাদের এই বিশ্বাস আছে’ -দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে তৃতীয় দিন শেষে এভাবেই বলছিলেন বাংলাদেশ স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ।

পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডির ঘুরে দাঁড়ানোর সেই স্মৃতি মিরপুর শের-ই-বাংলায় এঁকেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ-জাকের আলী অনিক। অনিক ফিফটির পর ফিরলেও মিরাজ ছড়াচ্ছেন সৌরভ। সঙ্গে দুপুরে আসা বৃষ্টি মানসপটে জয়ের স্বপ্নও দেখছে বাংলাদেশ শিবির। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৃষ্টিতে খেলা সামান্যই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাইতো মুশতাকের কণ্ঠে ঝরছে আত্মবিশ্বাস।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৮৩। মিরাজ ৮৭ ও নাঈম হাসান ১৬ রানে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশের লিড ৮১। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার অভিযোগে আলোকস্বল্পতার কারণে দিনের খেলার ইতি টানা হয়। তৃতীয় দিন প্রায় ৩৩ ওভার খেলা কম হয়েছে। আগামীকাল চতুর্থদিন ১৫ মিনিট আগে শুরু হবে খেলা। 

আরো পড়ুন:

আগের দিন শেষ বিকেলে ভরসা দেখানো দুই অপরাজিত ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়-মুশফিকুর রহিম চতুর্থ দিন শুরুতে ফিরলে বাড়ে বিপদ। লিটন দাসের আউটে ঘিরে ধরে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কা। ৩৮ রানে দিন শুরু করা জয় আর ৩১ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক আউট হন সমান ২ রান যোগ করে। লিটন (৭) দুই অঙ্কের ঘরের মুখ দেখেননি। 

এরপর শুরু হয় মিরাজের লড়াই। সঙ্গী অভিষিক্ত জাকের আলী। দুজনে দারুণ ব্যাটিংয়ে পাল্টা আক্রমণ করেন। সাইড শট তথা সুইপে নজর ছিল দুজনের। সপ্তম উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রেকর্ড ১৩৮ রানের জুটি গড়ে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কা উড়িয়ে এনে দেন লিড। ১১১ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে জাকের আউট হলে ভাঙে জুটি। তার ইনিংসে চারের মার ছিল ৭টি। 

জাকের ফিরলে মিরাজের সঙ্গী হন নাঈম হাসান। শুরুতে একটু নড়বড়ে থাকলেও সময় বাড়ার সঙ্গে নাঈমও সাবলীল ব্যাটিং করেন। ২৮ বলে ১৬ রান করেন তিনি। দুজনের জুটি থেকে আসে ৫৯ বলে ৩৩ রান। বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরানো মিরাজ সেঞ্চুরি থেকে আছেন ১৩ রান দূরে। তার ১৭১ বলে ৮৭ ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯ চার ও ১ ছক্কায়। 

সেঞ্চুরির সঙ্গে বাংলাদেশের লিড যদি আরও বাড়াতে পারেন তাহলে রাওয়ালপিন্ডির মতো এবার হোম অব ক্রিকেটেও লেখা হতে পারে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন কাগিসু রাবাদা। ৩ উইকেট নেন কেশব মহারাজ। 

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১০৬ রান করে। কাইল ভেরেইনার সেঞ্চুরিতে সফরকারী শিবির ৩০৮ রান করে। ২০২ রানে পিছিয়ে থেকে খেলতে নেমে এখন মিরাজদের লড়াইয়ে দেখাচ্ছে জয়ের মতো বড় স্বপ্নও। বৃষ্টির সঙ্গে মিরপুরের যে কন্ডিশন; স্বপ্ন দেখা অবান্তরও নয়। 

রিয়াদ/আমিনুল


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়