২৫ মিনিটে শেষ বাংলাদেশ, মিরাজের ৩ রানের আক্ষেপ
দিনের তৃতীয় বলে কাগিসো রাবাদার আক্রমণ। ইনসুইংগারে পরাস্ত আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার নাঈম হাসান। নিচু হয়ে আসা বল আঘাত করে পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। বাংলাদেশ রিভিউর পথে হাঁটেনি।
আউটের সঙ্গে নাঈম যেন মেহেদি হাসান মিরাজের সেঞ্চুরি ভাগ্যটাও নিয়ে যান। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) চতুর্থ দিন মাত্র ২৫ মিনিটে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
১৬ রানে শুরু করা নাঈম ফেরেন ১৬ রানেই। নব্বইয়ের ঘরে থাকা মিরাজের সঙ্গী হন তাইজুল ইসলাম। মুল্ডারকে দারুণ চারে বাংলাদেশের স্কোর পার করেন তিনশর। এক বল পরেই তাইজুল কাটা পড়েন। ৭ রান করেন এই ব্যাটার। মিরাজের এবার এগোনোর পালা হাসান মাহমুদকে নিয়ে।
সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থাকা এই অলরাউন্ডারকে কিছুটা নার্ভাসও মনে হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত আর পারলেন না। বাংলাদেশের শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন ৯৭ রানে। রাবাদার শর্ট বলে মাথার উপর দিয়ে চার মারতে চেয়েছিলেন, ভাগ্য সহায় হয়নি, মুল্ডারের হাতে ধরা পড়েন তৃতীয় স্লিপে।
মিরাজে ভর করে বাংলাদেশ ৩০৭ রান করে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যা টেস্ট ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৫ সালে চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ৩২৬ রান পেয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২০ রান, যা আসে পচেফস্ট্রুমে ২০১৭ সালে।
৪৮ ম্যাচের ক্যারিয়ারে মিরাজের সেঞ্চুরি ১টি। নব্বইয়ের ঘরে আউট হয়েছেন এই প্রথম। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরাজের এটি বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ১৩৭ রানের ইনিংস আছে মাহমুদুল হাসান জয়ের। চলতি বছরই মিরাজ ৮১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সতীর্থরা উইকেটের মিছিলে শামিল না হলে সেঞ্চুরি হতে পারতো এই ম্যাচেও।
আউট হয়ে মিরাজ যখন ফিরছিলেন সাজঘরে তখন যেন চলছিল না তার পা, ঘিরে ছিল রাজ্যের হতাশা। কেনই বা হবেন না, বাংলাদেশকে ইনিংস হার থেকে বাঁচিয়ে এনে দিয়েছেন লিড কিন্তু সেঞ্চুরিটা করতে পারলেন না!
ঢাকা/রিয়াদ/বিজয়