মেসিকে নিয়েও হারলো মায়ামি
প্লে-অফ সেমিফাইনাল থেকে দুই মিনিটের দূরত্বে ছিল ইন্টার মায়ামি। ম্যাচ তখন সমতা। এটা ধরে রাখতে পারলেই হলো। কিন্তু পারলেন না লিওনেল মেসিরা। পারলো না মায়ামি। ৮৯তম মিনিটে দারুণ এক গোলে মায়ামির মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে অপেক্ষা বাড়ালো আটলান্টা ইউনাইটেড। ম্যাচটি তারা জিতলো ২-১ গোলে। প্লে-অফের সিদ্ধান্ত হবে তৃতীয় ম্যাচে।
রোববার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকালে এই লড়াইয়ে মেসি আলো ছড়ালেও সতীর্থরা ছিলেন নিষ্প্রভ। প্লে-অফের লড়াইয়ের প্রথম ধাপে ২-১ গোলে জিতেছিল মায়ামি। এই ম্যাচ ড্র হলেই কনফারেন্স সেমি-ফাইনালে উঠে যেতেন মেসিরা। তবে সেটা না হওয়ায় তৃতীয় ম্যাচেই এখন নির্ধারিত হবে দুই দলের ভাগ্য। ম্যাচটি হবে আগামী শনিবার (৯ নভেম্বর)।
আটলান্টার মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকে মায়ামি। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই ভালো সুযোগ পেয়েছিল তারা। তবে লুইস সুয়ারেজের শট একটুর জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ২২তম মিনিটে মিস করেন মেসি। এর মাঝেই ২৮তম মিনিটে দারুণ এক সেভে দলকে রক্ষা করেন মায়ামির গোলকিপার ড্রেক ক্যালেন্ডার।
মায়ামি এগিয়ে যায় ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে। এই গোলে অবশ্য দায় আটলান্টার গোলকিপার ব্র্যাড গুজানের। মায়ামির আক্রমণ থেকে বল ধরে কিক নেওয়ার সময় পড়ে যান তিনি। ছুট এগিয়ে ফার্নান্দো রেদেন্দো বল দখলে নিয়ে বাড়িয়ে দেন ডেভিড মার্টিনেজের দিকে। ঠাণ্ডা মাথায় চিপ করে জাল খুঁজে নেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৮তম মিনিটে সমতা ফেরায় আটলান্টা। আমাদোহের দারুণ ক্রসে জটলার মধ্য থেকে নিচু হয়ে হেড করে আটলান্টাকে সমতায় ফেরান ডেরিক উইলিয়ামস। এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চলতে থাকে এগিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে। তাতে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছিল না। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিলো, সমতায় শেষ হবে ম্যাচ। তবে হলো না।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে যোগ করা হয় ৫ মিনিট। এই সময়ের চতুর্থ মিনিটেই সিলভার গোল। মিরানচুকের কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের ভেতর একটু ঢুকে আচমকা শট নেন সিলভা। ড্রেক ক্যালেন্ডার বুঝে ওঠার আগেই জালে জড়ায় বল। গোল করে জার্সি খুলে হলুদ কার্ড দেখলেও দলকে রক্ষার আনন্দে মাতেন পর্তুগিজ উইঙ্গার।
ঢাকা/বিজয়