রিপন-ইফতির সেঞ্চুরির দিনে ইমনের ৫ রানের আক্ষেপ
সেঞ্চুরিটা প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। ৯৫ রানে থাকতে মিড উইকেটে বল পাঠিয়ে রান নিতে দৌড় দিয়েছিলেন। কিন্তু অপরপ্রান্তের ব্যাটসম্যান সাজ্জাদুল হক রিপনের থেকে সাড়া পাননি। বাধ্য হয়ে মাঝ ক্রিজ থেকেই ফেরত যান ইমন। তাতে যা হওয়ার তাই হয়েছে।
রিপন মন্ডলের থ্রোতে রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন ইমন। ৫ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় তাকে। সঙ্গী আক্ষেপে পুড়লেও রিপন তুলে নেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেঞ্চুরি। ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ১৩৯ ও ইমনের ৯৫ রানের ইনিংসে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ৩৭১ রানের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ।
কক্সবাজারের একাডেমি মাঠে বোলিংয়েও তেমন কেউ ধারালো ছিলেন না। ঢাকা বিভাগের হয়ে রিপন মন্ডল, এনামুল হক ও শুভাগত হোম ৩টি করে উইকেট নেন।
এদিকে কক্সবাজারের আরেক মাঠে দ্বিতীয় দিনের খেলা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশাল বিভাগ ৯ উইকেটে ২০৫ রান তুলেছে। বরিশালের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন ইফতেখার হোসেন ইফতি। এই ওপেনার বাদে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন মইনুল ইসলাম। ৩০ রান আসে সালমান হোসেনের ব্যাট থেকে।
বগুড়ায় সিলেট বিভাগ ও রংপুর বিভাগের ম্যাচে উইকেটের বৃষ্টি পড়েছে। এদিন ১৫ উইকেট পড়েছে দুই দলের। রংপুরের প্রথম ইনিংসে করা ১৫৮ রানের জবাবে সিলেট ৩১ রানের লিড নিয়ে মোট ১৮৯ রান করে। প্রথম দুই সেশনেই অলআউট তারা। পিছিয়ে থেকে ব্যাটিং করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসেও বাজে পারফরম্যান্স রংপুরের। ৫ উইকেটে ৬৫ রান তুলে দিন শেষ করেছে। হাতে ৫ উইকেট রেখে ৩৪ রানের লিড পেয়েছে রংপুর। লেজের ব্যাটসম্যানরা দলকে কতদূর নিয়ে যেতে পারে সেটাই দেখার।
এদিকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফলোঅনে পড়ছে ঢাকা মেট্রো। খুলনা বিভাগের করা ৩৭৬ রানের জবাবে তারা গুটিয়ে যায় ২১০ রানে। স্পিনার শেখ মাহেদী হাসান পেয়েছেন ৫ উইকেট। ৩ উইকেট নেন পেসার আব্দুল হালিম। ঢাকা মেট্রোর হয়ে নাঈম শেখ সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেছেন। এছাড়া মার্শাল আইয়ুব ৩৭ এবং আনিসুল ইসলাম ৩১ রান করেন।
ঢাকা/ইয়াসিন/বিজয়