দেড় যুগ পর আবার আফ্রো-এশিয়া কাপ
বিংশ শতাব্দীতে এশিয়ান একাদশ বনাম আফ্রিকান একাদশ মুখোমুখি হতো দাতব্য ম্যাচে। এরপর ২০০৫ সাল থেকে দাতব্য কাজে ‘আফ্রো-এশিয়া কাপ’ আয়োজন করা হতো। সবশেষ ২০০৭ সালে হয়েছিল আফ্রো-এশিয়া কাপ। যেখানে বীরেন্দর শেবাগ, ইরফান পাঠান, ইনজামাম-উল-হক, জহির খান, শোয়েব আখতার, অনিল কুম্বলে, শহীদ আফ্রিদিরা একসঙ্গে খেলেছিলেন। অন্যদিকে আফ্রিকার হয়ে শন পলক, জ্যাক ক্যালিস, তাতেন্দা তাইবুরা খেলেছিলেন।
২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল তৃতীয় আসর। কিন্তু সেটা আর হয়নি। ইতোমধ্যে পেরিয়ে গেছে প্রায় দেড় যুগ। আবার আফ্রো-এশিয়া কাপ আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আফ্রিকা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ) ইতোমধ্যে এই সিরিজ পুনঃরায় আয়োজন করতে ছয়জনের একটি কমিটিও গঠন করেছে। শনিবার (০২ নভেম্বর) এসিএ’র বার্ষিক সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এসিএ চেষ্টা করছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সঙ্গে যোগাযোগ করে আফ্রো-এশিয়া কাপের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলো ক্রস চেক করার।
আফ্রো-এশিয়া কাপ নিয়ে এসিএ’র সভাপতি তাভেঙ্গুয়া মুকুহলানি বলেছেন, ‘আফ্রো-এশিয়া কাপ ক্রিকেটের বাইরেও দুই মহাদেশের ক্রিকেট সংস্থায় আর্থিক যোগান দেয়। এই কাপ আয়োজন করতে উভয় পক্ষই বেশ আগ্রহী। ইতোমধ্যে এসিসি’র সঙ্গে এ বিষয়ে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। আফ্রিকা অঞ্চলের সদস্য দেশগুলোর সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। তারা আবার আফ্রো-এশিয়া কাপ চালু করতে চায়।’
আফ্রো-এশিয়া কাপ কবে নাগাদ শুরু করা যাবে সে বিষয়ে যদিও এসিসি’র পক্ষ থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। এসিসি জানিয়েছে তারা এই কাপ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক কোনো অনুরোধ পায়নি। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক সভায়ও এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে কেউ কোনো আলোচনা করেনি।
২০০৫ সালে আয়োজিত প্রথম আসর ১-১ ব্যবধানে ড্র হয়েছিল। তবে ২০০৭ সালে আয়োজিত দ্বিতীয় আসরে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল এশিয়ান একাদশ।
১৭ বছর পর আবার আফ্রো-এশিয়া কাপ মাঠে গড়ালে ভারত-পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা একসঙ্গে খেলার সুযোগ পাবেন। যারা গেল ১৩ বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক কোনো সিরিজ খেলছে না রাজনৈতিক কারণে।
ঢাকা/আমিনুল