জয়ের ছন্দে ফেরার লড়াই বাংলাদেশের
বুধবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ দল আতিথেয়তা নেবে আফগানিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের। দুই দলের প্রথম ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। অথচ বাংলাদেশের স্কোয়াডের দুই ক্রিকেটার আজও ঢাকা ছাড়তে পারেননি। ভিসা জটিলতায় পেসার নাহিদ রানা এবং স্পিনার নাসুম আহমেদের প্রথম ওয়ানডে খেলার সম্ভাবনা শূন্যর কোটায়।
সাকিব আল হাসানের বিকল্প বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে নাসুমকে দলে নিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। অথচ তাকে ছাড়াই এখন টিম ম্যানেজমেন্টকে সাজাতে হচ্ছে নতুন পরিকল্পনা। মাঠের বাইরের এই অগোছালো কাজের মতোই মাঠের ভেতরের পারফরম্যান্স। সময়টা মোটেই ভাল যাচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের।
হতাশার ভারত সফরের পর ঘরের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেও দুই টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। অস্থির এ সময়ে সামনে এবার আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ। আফগানিস্তান ওয়ানডেতে বরাবরই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে যেকোনো সিরিজের শুরুতে দলটির বোলিং আক্রমণ নিয়েই বেশি আলোচনা হয়। এবারও তাই।
সঙ্গে যোগ হয়েছে শারজাহতে আফগানিস্তানের রেকর্ড। এ বছর সেখানে খেলা ৫টি ওয়ানডের মধ্যে ৪টিই জিতেছে আফগানরা। এই সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশ দল দীর্ঘ আট মাস পর ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছে। অন্য দুই সংস্করণের ক্রিকেটে সাম্প্রতিক যা অবস্থা, তাতে টপ অর্ডার ব্যাটিং নিয়ে খুব একটা আশাবাদী হওয়ার উপায় নেই। তবুও ভালো কিছুর আশা তো করতেই হচ্ছে।
মূলত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতির লক্ষ্য সামনে রেখে আয়োজিত হচ্ছে এই সিরিজ। এরপর বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েও তিনটি ওয়ানডে খেলবে। তাই প্রতিটি ম্যাচ এখন থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ। নিজেদের প্রস্তুতির সেরা সুযোগ দিতেই তাই মাঠে পারফরম্যান্সের বিকল্প নেই।
ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে জয়ের ছন্দে ফেরার লড়াই বাংলাদেশের। ওয়ানডেতে দুই দলের ১৬ দেখায় ১০ জয় বাংলাদেশের, আফগানিস্তানের জয় ৬ ম্যাচে। রেকর্ডে বাংলাদেশ এগিয়ে। কিন্তু বর্তমান পারফরম্যান্স ও খেলা বিবেচনা এবং সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে আফগানিস্তান অনেকটা এগিয়ে। তাদেরকেই ফেভারিট মনে করা হচ্ছে।
আফগানিস্তান সিরিজের আগে সবচেয়ে আগ্রহ ছিল অধিনায়ক নাজমুলকে নিয়ে। তিন সংস্করণের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আগামীকাল আফগানিস্তানের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
এই সিরিজে বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে দলে। ইনজুরি, চোট, অসুস্থতা ও ব্যক্তিগত কারণে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার দলের সঙ্গে নেই। তাদের রেখে যাদের ফেরানো হয়েছে তারাও যে খুব ফর্মে আছে তেমনটাও নয়। তবুও আশাতে বুক বাধা। শান্তর দল আফগানিস্তানকে হারিয়ে জয়ের ছন্দে ফিরবে এমনটাই আশা।
ইয়াসিন/আমিনুল