চার বছরে ২৭ ওয়ানডে, ৩০ টি-টোয়েন্টি জ্যোতিদের
আগামী চার বছরের নারী ক্রিকেটের জন্য নতুন এফটিপি প্রকাশ করেছে আইসিসি। ২০২৫ সালের মে মাস থেকে ২০২৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত নতুন এই চক্রে উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো জায়ান্টদের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ মেয়েরা।
আসন্ন এই চক্রে আটটি তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। সব মিলিয়ে আগামী চার বছরে ২৭টি ওয়ানডে ও ৩০টি টি-টোয়েন্টি খেলবেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। ২০২৫ সালের মে মাস থেকে ২০২৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত চার বছরে বাংলাদেশের মেয়েরা অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলবে। অ্যাওয়ে সিরিজে ম্যাচ খেলবে তারা। তৃতীয় উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০২৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব হিসেবে কাজ করবে।
২০২৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের দল নির্ধারণ হবে চতুর্থ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে। ওই টুর্নামেন্টে নতুন দল হিসেবে যুক্ত হয়েছে জিম্বাবুয়ের নারীরা। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। আর ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে খেলবে বাংলাদেশ দল।
এছাড়া উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের বাইরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ওয়ানডের পাশাপাশি দুটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। এই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে পাঁচটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট। এসব টুর্নামেন্টেও খেলার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের সামনে। ২০২৫ সালে ভারতে মাটিতে বসবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ২০২৬ সালে যুক্তরাজ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৭ সালে মেয়েদের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি টি-টোয়েন্টি, ২০২৮ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক।
১৩ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা বাংলাদেশ এফটিপির কারণে বড় সিরিজ খেলার সুযোগ পাচ্ছে। পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা থাকলে সামনে আরো বড় সুযোগও মিলতে পারে। বিসিবি নারী বিভাগের প্রধান হাবিবুল বাশার সুমন মেয়েদের নিয়ে বেশ আশাবাদী, ‘আমাদের মেয়েদের জন্য এটা সুখবর যে অনেক খেলা আছে এবং বড় বড় দেশগুলিতে খেলা। তবে শুধু সফর করে তো লাভ নেই। পারফর্ম করতে হবে। এটা আমাদের জন্য হবে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা আশাবাদী। ওরা বড় কিছুর অপেক্ষায় ছিল। এখন নিজেদের তাগিদেই উচিত এগিয়ে আসা। ভালো পারফর্ম করা। কঠোর পরিশ্রম করা।’
ইয়াসিন/আমিনুল