৯২ রানে হেরে বাংলাদেশের সিরিজ শুরু
:: সংক্ষিপ্ত স্কোর ::
আফগানিস্তান: ২৩৫/১০ (৪৯.৪ ওভার)
বাংলাদেশ: ১৪৩/১০ (৩৪.৩ ওভার)
ফল: আফগানিস্তান ৯২ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফার।
৩ উইকেটে ১২০ থেকে ১০ উইকেটে ১৪৩। গজনফারের ঘূর্ণিতে ৯২ রানে হার দিয়ে সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। ৬.৩ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন গজনফার। এটি তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল ৩ উইকেট। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন শান্ত। সৌম্য ৩৩ ও মিরাজ ২৮ রান করেন। ১১ রান করেন হৃদয়। আর কেউ দুই অঙ্কের মুখ দেখেননি।
৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে হারের কাছে বাংলাদেশ:
শান্ত যখন আউট তখন বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১২০। এরপর যেন চোখে সর্ষেফুল দেখেছে টাইগার ব্যাটাররা। ১৩৯ হতে নাই হয় যায় ৯ উইকেট। তার মধ্যে ১৩২ থেকে ১৩৯ রানের মধ্যে বাংলাদেশ হারায় ৬ উইকেট। মিরাজ-মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকের ফেরার পর রিশাদ, তাসকিন ও হৃদয় ফেরেন সাজঘরে। হৃদয় ১১ রান করেছেন। গজনফার ফিরে এসে শরীফুলকে বোল্ড করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। তিনি ৬.৩ ওভারে ১ মেডেনসহ ২৬ রানে একাই নেন ৬ উইকেট!
পরপর সাজঘরে মিরাজ-মাহমুদউল্লাহ, চাপে বাংলাদেশ:
প্যাডেল সুইপ করতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন শান্ত। এবার মিরাজও একইভাবে ফিরলেন সাজঘরে। গজনফারকে সুইপ করতে গিয়ে বল তুলে দেন আকাশে। ফাইন লেগে দৌড়ে গিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন ওমরজাই। ৫১ বলে ২৮ রান করেন মিরাজ। তার আউটের পর হৃদয় সঙ্গী হন মাহমুদউল্লাহ। ৫ বলে ২ রানের বেশি করতে পারেননি অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ১৩৫ রানে ৫ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। পরপর মিরাজ-মাহমুদউল্লাহকে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ।
ক্রিজে এসে মুশফিক তিন বলও খেলতে পারলেন না। গজনফারের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে ফেরেন সাজঘরে। ক্যারম বলে এগিয়ে এসে ডিফেন্স করতে গিয়ে ধরা পড়েন। শিকার হন স্ট্যাম্পিংয়ের। ১ রান করেন মুশফিক। মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ। ক্রিজে হৃদয়ের সঙ্গী রিশাদ।
সুইপে কাটা পড়লেন শান্ত:
দারুণ খেলছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ফিফটি থেকে ছিলেন মাত্র ৩ রান দূরে। বাংলাদেশও ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল জয়ের পথে। হঠাৎ ছন্দপতন। নবীকে প্যাডেল সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ধরা পড়েন হাশমতুল্লাহর হাতে। ৬৭ বলে ৪৭ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তার আউটে ভাঙে মিরাজের সঙ্গে গড়া ৮৩ বলে ৫৫ রানের জুটি। বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেট হারায় ১২০ রানে। ক্রিজে মিরাজের সঙ্গী তাওহীদ হৃদয়।
শান্ত-মিরাজের ব্যাটে শতরান পেরিয়ে বাংলাদেশ:
দলীয় ১২ রানে প্রথম ও ৬৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে শান্ত ও মিরাজ দলীয় সংগ্রহকে টানছেন। তাদের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে শতরান পেরিয়েছে। ২১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৩। জয় থেকে এখনও ১৩৩ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। শান্ত ৪৩ ও মিরাজ ১৫ রানে ব্যাট করছেন।
হঠাৎ সৌম্যর ছন্দপতন, ছক্কা মারতে গিয়ে সাজঘরে:
আগের বল লেগেছে পায়ে। জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় আফগানিস্তান। বেঁচে যান সৌম্য। আজমতুল্লাহকে পরের বলে পুল করতে ধরা পড়েন বাউন্ডারি লাইনে। সাবলীল ব্যাটিং করা সৌম্য হঠাৎ এলোমেলো ব্যাট চালাতে থাকেন। তাতে খেসারত দিতে হলো উইকেট দিয়ে। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৫ বলে ৩৩ রান। ক্রিজে শান্তর সঙ্গী মিরাজ। আজমতুল্লাহ করা একই ওভারে (১৩) ২১ রানে জীবন পেয়েছিলেন শান্ত।
সৌম্য-শান্তর ব্যাটে এগোচ্ছে বাংলাদেশ:
চতুর্থ ওভারে তানজীদ ফেরেন সাজঘরে। শুরুতে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ শিবির। এরপর সৌম্যর সঙ্গে যোগ দেন শান্ত। দুজনে প্রতিরোধ গড়ে এগোচ্ছেন। খেলছেন দেখেশুনে। শুরু থেকে সৌম্যকে সাবলীল দেখা যাচ্ছে। শান্তর শুরুটা ছিল ধীরগতির। তবে এখন বলের সঙ্গে রানের পার্থক্য সমান রাখার চেষ্টা করছেন। প্রথম পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৫৪। সৌম্য ২৮ ও শান্ত ১৭ রানে ব্যাট করছেন।
চতুর্থ ওভারেই ফিরলেন তানজিদ:
চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফারের করা ক্যারম বলে বোল্ড হয়ে যান তানজিদ হাসান তামিম। ৫ বল খেলে ৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ ছিল তখন ১২। সৌম্য সরকারের সঙ্গে নতুন সঙ্গী হিসেবে যোগ দিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
মোস্তাফিজ-তাসকিনের তোপে ২৩৫ রানে থামলো আফগানিস্তান:
বাংলাদেশকে ২৩৬ রানের লক্ষ্য দিলো আফগানিস্তান। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ২২৯ রান করে তারা। সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন মোহাম্মদ নবী। ৫২ রান করেন হাশমতুল্লাহ। শেষ দিকে খারোতি ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। এ ছাড়া গুলবাদিন নইব ২২ ও সেদিকুল্লাহ ২১ রান করেন।
আরও কম রানে আফগানদের আটকানোর সুযোগ ছিল। ৭১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। শতরানের জুটি গড়ে লড়াকু সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন নবী-হাশমতুল্লাহ। শেষ দিকে খারোতি পুঁজি বাড়ান আরও। তাসকিন-মোস্তাফিজ দুজনে নেন সমান ৪টি করে উইকেট।
বাংলাদেশের ভুলে বেঁচে যাওয়া নবী থামলেন ৮৪ রানে:
৩৭ রানে পেয়েছিলেন জীবন। আসলে পেয়েছেন বললে ভুল হবে, নবীকে জীবন দিয়েছে বাংলাদেশ। ৩৪তম ওভারে রিশাদের ঘূর্ণি আঘাত করে নবীর পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। বাংলাদেশও রিভিউ নেয়নি। পরবর্তীতে দেখা যায় নিশ্চিত আউট ছিলেন। সেই নবী থামলেন ৮৪ রানে। তাসকিনকে পুল করতে গিয়ে ধরা পড়েন বাউন্ডারিতে। ৭৯ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছয়ের মারে এই রান করেন আফগান অলরাউন্ডার।
একই ওভারে তাসকিন ফেরান নতুন ব্যাটার গজনফারকে। শূন্যরানে ফেরেন তিনি। শেষ বলে এলবিডব্লিউ হন ফারুকি, আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যায় আফগানিস্তান।
রশিদকে ফিরিয়ে শরিফুলের প্রথম উইকেট:
তাসকিন-মোস্তাফিজ আলো ছড়াচ্ছিলেন। কিন্তু উইকেটের দেখা পাচ্ছিলেন না আরেক পেসার শরিফুল। অবশেষে রশিদকে সাজঘরে পাঠিয়ে উইকেটের দেখা পেলেন এই পেসার। আউট সাইড অফের বল সজোরে হাঁকিয়েছিলেন, কিন্তু টাইমিং মেলেনি। মিড উইকেটে দাঁড়ানো মোস্তাফিজ ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি। ১ চারে ১১ বলে ১০ রান করেন রশিদ। ১৮৯ রানে সপ্তম উইকেট হারালো আফগানিস্তান। ক্রিজে নবীর সঙ্গী নাঙ্গিয়ালাই খারোতি।
অস্বস্তির জুটি ভেঙে স্বস্তি এনে দিলেন মোস্তাফিজ:
হাশমতুল্লাহ-নবীর জুটি বেশ ভোগাচ্ছিল বাংলাদেশকে। ধীরস্থির শুরুর পর দুজনে ছড়ি ঘোরাতে থাকেন। ফিফটি তুলে নেন দুজনেই। ১১৬ বলে পূর্ণ করেন শতরানের জুটি। ফিফটির পর অবশ্য হাশমতুল্লাহকে বেশিদূর যেতে দেননি মোস্তাফিজ। ব্যাক অব লেন্থের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন হাশমতুল্লাহ, বল ব্যাটে লেগে আঘাত করে উইকেটে। ১৭৫ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ক্রিজে নবীর সঙ্গী রশিদ খান।
নবী-হাশমতুল্লাহর ফিফটি, শতরানের জুটিতে এগোচ্ছে আফগানিস্তান:
দুজনের জুটি যখন শুরু হয় দল একেবারে খাদের কিনারায়। রান সত্তুরের ঘরে যেতে নেই হয়ে যায় ৫ উইকেট। এরপর হাসমতুল্লাহ-নবী জুটি গড়ে এগোতে থাকেন। ফিফটির জুটি পর এবার দুজনেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ২টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫২ বলে ফিফটি করেন নবী। হাশমতুল্লাহর ফিফটি আসে ৮৭ বলে। তার ফিফটির ইনিংসে চারের মার ছিল ২টি।
ফিফটি জুটিতে হাশমতুল্লাহ-নবীর প্রতিরোধ:
৭১ রানে ৫ উইকেটের পতনের পর নবীকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়েন হাশমতুল্লাহ। শুরুতে ধীরে খেললেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রানের চাকা সচল রাখেন দুজনে। দুজনের জুটিতে দলীয় স্কোর ১০০ পূর্ণ করে ২৫.৫ ওভারে। ষষ্ঠ উইকেটের জুটির ফিফটি হয় ৫৬ বলে। হাশমতুল্লাহ ৩৯ ও নবী ৩৪ রানে ব্যাট করছেন।
মোস্তাফিজ-তাসকিনে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে আফগান শিবির:
মোস্তাফিজের ওভারে জোড়া উইকেটের পতনের পর প্রতিরোধ গড়েছিলেন হাশমতুল্লাহ-গুলবাদিন। দুজনে ধীর ধীরে এগোচ্ছিলেন সামনের দিকে। ৬১ বলে জুটি গড়েন ৩৬ রানের। এর বেশিদূর এগোতে দেননি তাসকিন। তার শর্ট বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন গুলবাদিন, টাইমিংয়ে গড়বড়। বল উঠে যায় আকাশে, মিড উইকেটে ক্যাচ নেন তানজীদ। ৩টি চারের মারে ৩২ বলে ২২ রান করেন গুলবাদিন। ৭১ রানে ৫ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ক্রিজে হাশমতুল্লাহর সঙ্গী মোহাম্মদ নবী।
মোস্তাফিজের জোড়া আঘাতে বিপাকে আফগানিস্তান:
এবার এক ওভারে মোস্তাফিজের জোড়া আঘাত। রহমত শাহের পর সেদিকুল্লাহকে সাজঘরে পাঠালেন মোস্তাফিজ। প্রথম পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন সেদিকুল্লাহ। মোস্তাফিজের ফুলার লেন্থের বল আঘাত করে সেদিকুল্লাহর সামনের পায়ে। জোরালো আবেদনে সড়া দেন আম্পায়ার। অপর প্রান্তে থাকা হাশমতুল্লাহর সঙ্গে কথা বলে রিভিউ নেননি। অভিষেক ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। একই ওভারের পঞ্চম বলে নতুন ব্যাটার আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে ফেরান মোস্তাফিজ। শর্ট বলে খোঁচা লেগে যায় উইকেটের পেছনে। শূন্যরানে ফেরেন ওমরজাই। ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে আফগানিস্তান। পাওয়ার প্লেতে দলটির রান ৪ উইকেটে ৩৬। ক্রিজে হাশমতুল্লাহর সঙ্গী গুলবাদিন।
বোলিংয়ে এসেই মোস্তাফিজের উইকেট:
গুরবাজের আউটের পর ক্রিজে আসেন রহমত শাহ। তবে সুবিধা করতে পারছিলেন না তিনি। এক প্রান্তে সেদিকুল্লাহ দারুণ খেললেও রহমত যেন নিজের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। এরপর বোলিংয়ে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান। দলীয় অষ্টম ওভারে প্রথম বোলিং করতে এসে দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে পাঠান রহমত শাহকে। মোস্তাফিজের বল আউট সাইড অফ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল, জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছেন রহমত, ব্যাটে-বলে সংযোগ হয়নি। খোঁচা লেগে বল চলে যায় উইকেটের পেছনে। বল গ্লাভসবন্দি করতে ভুল করেননি মুশফিক। ৩০ রানে ২ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ক্রিজে সেদিকুল্লাহর সঙ্গী হাশমতুল্লাহ।
শুরুতেই তাসকিনের শিকার গুরবাজ:
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে উইকেটের দেখা পেলেন তাসকিন আহমেদ। ওভারের পঞ্চম বলে উইকেটের পেছনে খোঁচা দেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম ওভারে শরিফুলকে চার হাঁকানো গুরবাজ সাজঘরে ফেরেন ৫ রানে। ক্রিজে সেদুকুল্লাহর সঙ্গী রহমত শাহ।
সেদিকুল্লাহর অভিষেক:
ইমার্জিং এশিয়া কাপে দুর্দান্ত খেলে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন সেদিকুল্লাহ অতল। টি-টোয়েন্টিতে আগেই অভিষেক হয়েছিল তার। মাত্র ২২টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলা এই ক্রিকেটার এবার নাম লেখালেন ওয়ানডেতে। লিস্ট ‘এ’-তে ২৯.১৮ গড়ে করেন ৬৪২ রান। আর ৬ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে করেন মাত্র ৭২ রান।
ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে যারা:
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ফিল্ডিং করবে লাল সবুজের দল। বুধবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় খেলাটি শুরু হবে। সরাসরি দেখা যাবে টি-স্পোটস, নাগরিক টিভিতে। অনলাইনে দেখা যাবে টফিতে।
বাংলাদেশ একাদশ:
তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।
আফগানিস্তান একাদশ:
সেদিকুল্লাহ অটল, রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শাহিদি, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নায়েব, রশিদ খান, আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফার, নাঙ্গিয়ালাই খারোতি ও ফজল হক ফারুকি।
শান্তর চোখ বহুদূরে
সিরিজ জয়ে চোখ রেখেই মাঠে নামছেন নাজমুল হোসেন শান্ত অ্যান্ড কোম্পানি। তবে অধিনায়ক শান্তর দৃষ্টি আরও দূরে। সামনেই আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। সেই আসরকেই পাখির চোখ করে রেখেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে সেটাই জানালেন শান্ত।
‘(চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে) আমাদের হাতে এখানে তিনটা ম্যাচ, ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিনটা। ছয়টা ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছয়টা ম্যাচই আমরা জেতার জন্য খেলবো। এখান থেকে ওই আত্মবিশ্বাসটা নিয়ে যদি আমরা যেতে পারি, তাহলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য সহজ হবে। আর কোন কম্বিনেশনে আমরা খেলতে চাই, ওই ধারণাটাও এই ম্যাচগুলো থেকে হয়ে যাবে।’
জয়ের পাল্লা ভারী বাংলাদেশের
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ-আফগানিস্তান মুখোমুখি হয়েছে ১৬ বার। তাতে ১০ ম্যাচে জয় পেয়েছে শান্তর দল। বাকি ৬ ম্যাচে হাসি হেসেছে আফগানিস্তান। সবশেষ ঘরের মাঠে আফগানদের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে বাংলাদেশ।
রিয়াদ/বিজয়/আমিনুল