শান্তর অধিনায়কত্ব ও দলের ব্যাটিং পরিকল্পনা দেখে বিস্মিত বুলবুল
মাঠে বসে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে দেখেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সংযুক্ত আরব আমিরাতে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অংশ ছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ায় ফেরার আগে দুবাইয়ে প্রথম ওয়ানডে দেখেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে রীতিমত হৃদয় ভেঙেছে তার। দলের ভরাডুবি কোনোভাবেই মানতে পারছেন না সাবেক এই ক্রিকেটার।
আফগানিস্তানের দেওয়া ২৩৬ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশ তাড়া করতে পারবে এমন বিশ্বাস ছিল তার। কিন্তু দলের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল এবং দুর্বল পরিকল্পনায় স্রেফ বিরক্ত বুলবুল। ব্যাটিংয়ে দলের কোনো পরিকল্পনা ছিল কিনা সেই প্রশ্নও তুলছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমিনুল ইসলাম লিখেছেন, ‘ছয় বছর পর আজ শারজাহতে আফগানিস্তান বোর্ডের আমন্ত্রণে গিয়ে মাঠে বসে বাংলাদেশ দলের ম্যাচ দেখলাম। জয়-পরাজয় তো থাকতেই পারে, কিন্তু অধিনায়কত্ব আর ব্যাটিং পরিকল্পনা দেখে সত্যিই বিস্মিত হয়েছি।’
তিনি যোগ করেন, ‘সবকিছুই যেন ক্লান্ত দেখাচ্ছিল; শরীরী ভাষা, বলের প্রতি মনোযোগ, প্রি-বল রুটিন, পুরোটা মিলিয়ে পরিকল্পনা খুবই দুর্বল মনে হয়েছে। আশা করি আমরা খুব শীঘ্রই এই অবস্থার উন্নতি করতে পারব।’
ধীর গতির উইকেট পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান ৪টি করে উইকেট নেন। পেসার শরিফুল ইসলাম পেয়েছেন ১ উইকেট। ব্যাটসম্যানরাও ভালো জবাব দিচ্ছল। ২ উইকেটে ১২০ রান তুলে জয়ের সম্ভাবনাই জাগিয়ে তুলেছিল। শারজাহতে মাঝারি মানের লক্ষ্য সব সময়ই কঠিন। সঙ্গে আফগানিস্তানের রশিদ খান, মোহাম্মদ নবীর সঙ্গে নতুন স্পিনার আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফার ছিলেন ভয়ের কারণ। তা-ই হয়েছে। গজনফার ২৬ রানে পেয়েছেন ৬ উইকেট। রশিদ ২টি ও নবীর পকেটে গেছে ১ উইকেট। স্পিন ত্রয়ীর বিষে মাত্র ২৩ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে গুটিয়ে ৯২ রানের বিশাল পরাজয়কে সঙ্গী করে বাংলাদেশ।
শারজাহতে এর আগে ৮ ম্যাচ খেলে কোনোটিতেই জয় পায়নি বাংলাদেশ। নবম ম্যাচেও হতশ্রী এক অভিজ্ঞতা যুক্ত হয়েছে। আমিনুলের আশা দল ঘুরে দাঁড়াবে। অধিনায়ক শান্তও দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কিন্তু দুর্বার আফগানিস্তানকে কি আসলেই থামাতে পারবে বাংলাদেশ? সেটাই বিরাট প্রশ্নের। শনিবার দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে একই মাঠে।
ইয়াসিন/আমিনুল