৫ উইকেটের জয়ে সিরিজ আফগানিস্তানের
::সংক্ষিপ্ত স্কোর::
বাংলাদেশ: ২৪৪/৮ (৫০ ওভার)
আফগানিস্তান: ২৪৬/৫ (৪৮.২ ওভার)
ফল: আফগানিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: আফগানিস্তান ২: ১ বাংলাদেশ
বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলো আফগানিস্তান। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২৪৪ রান করে বাংলাদেশ। তাড়া করতে নেমে ১০ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে আফগানিস্তান জয় নিশ্চিত করে। ওমরজাই ৭০ ও নবী ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন। দুজনের জুটি থেকে আসে ৫৮ রান। সর্বোচ্চ ১০১ রান করে জয়ের মূল কাজটা করে দেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। বাকি কাজ সারেন নবী ও ওমরজাই। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজ-নাহিদ।
জয় দেখছে আফগানিস্তান:
জয়ের জন্য আফগানিস্তানের ৩০ বলে প্রয়োজন ৩৩ রান। ক্রিজে আছেন সেট ব্যাটার ওমরঝাই। সঙ্গে নতুন ব্যাটার নবী। ওমরঝাই ৬০ ও নবী ১১ রানে ব্যাট করছেন। বাংলাদেশের প্রয়োজন ৫ উইকেট। মোস্তাফিজের ৩, নাহিদের ১ ও শরিফুলের ২ ওভার বাকি আছে।
নাইবকে সাজঘরে পাঠালেন নাহিদ, ওমরজাইয়ের ফিফটি:
নাহিদ রানার তোপে এবার পরাস্ত নাইব। আউট সাইড অফের বলে ব্যাট চালিয়ে বিপাকে পড়েন এই ব্যাটার। বল উঠে যায় আকাশে। দারুণ ক্যাচ নেন জাকের আলী। ৫ বলে ১ রান করেন নাইব। তার আউটের পর একই ওভারের শেষ বলে চার মেরে ফিফটির দেখা পান ওমরজাই। বাংলাদেশের জয়ের পথে বড় বাধা এই ওমরজাই। গুরবাজের পর নাইবের আউটে বল-রানের পার্থক্য বেড়ে যাচ্ছে। জয়ের জন্য আফগানদের প্রয়োজন ৪৮ বলে ৪৯ রান। ওমরজাইয়ের নতুন সঙ্গী নবী।
সেঞ্চুরির পর সাজঘরে গুরবাজ, বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি:
৩৮তম ওভার। সৌম্যকে বোলিংয়ে আনেন মিরাজ। তৃতীয় বলে স্ট্রাইক পান গুরবাজ। ডাউন দ্য উইকেটে এসে সৌম্যর মাথার উপর দিয়ে বল আছরে ফেললেনাউন্ডারিতে। ৯৩ থেকে ৯৯! এক বল ডট দিয়ে সিঙ্গেল। পেয়ে গেলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরির দেখা। ১১৭ বলে ৫টি চার ও ৭টি ছক্কায় হাঁকান শতক। তার সঙ্গী ওমরঝাই আছেন ফিফটির পথে। দুজনের ব্যাটে ভর করে বল-রানের পার্থক্য কমিয়ে আনে আফগানিস্তান। মিরাজকে মারতে গিয়ে গুরবাজের আউটে ভাঙে শতরানের এই জুটি। ১০১ রানে থামেন ম্যাচের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান গুরবাজ। ক্রিজে ওমরজাইয়ের সঙ্গী নাইব।
বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছেন গুরবাজ-আজমতউল্লাহ:
৮৪ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এরপর রহমানুল্লাহ গুরবাজের সঙ্গে এসে জুটি বাঁধেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এই জুটি বাংলাদেশকে খুব ভোগাচ্ছে। ম্যাচ কেড়ে নিচ্ছে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ইতোমধ্যে তারা দুজন ৯৫ বলে ৮৪ রান সংগ্রহ করেছে। গুরবাজ ৯২ ও আজমতউল্লাহ ৩৭ রানে ব্যাট করছেন। ৩৬ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬৮। জিততে এখনও প্রয়োজন ৮৪ বলে ৭৭ রান।
খরুচে শরিফুল, চোখ রাঙাচ্ছে গুরবাজ-ওমরজাই জুটি :
বল হাতে নির্বিষ শরিফুল। মাত্র ৫ ওভারে দিয়েছেন ৪২ রান। এনে দিতে পারছেন না ব্রেক থ্রু। এদিকে ফিফটির পর গুরবাজ যেন আরও আগ্রাসী। নতুন ব্যাটার ওমরজাইও দিচ্ছেন দারুণ সঙ্গ। দুজনের জুটি থেকে ইতিমধ্যে এসেছে ৪২ রান। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে চোখ রাঙাচ্ছে এই জুটি। জয়ের জন্য আফগানদের প্রয়োজন ১৪০ বলে ১১৯।
গুরবাজের ফিফটির পর মোস্তাফিজের আঘাত:
ওয়াইড লেন্থে বল ছুঁড়েন মোস্তাফিজ। ব্যাট চালিয়ে যেন ভুল করলেন হাশমতুল্লাহ। ঠিকঠাক টাইমিং হয়নি। স্লিপে ধরা পড়েন সৌম্যর হাতে। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দুই হাতে তালুবন্দি করেন সৌম্য। ২১ বলে ৬ রান করেন আফগান অধিনায়ক। তার আউটের আগের ওভারেই ফিফটির দেখা পান গুরবাজ। ২টি চার ও ৪টি ছয়ের মারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম ফিফটি করেন এই ব্যাটার। অন্য প্রান্তে নিয়মিত উইকেট বিরতিতে উইকেট পড়লেও গুরবাজ দাঁড়াচ্ছেন হুমকি হয়ে। গুরবাজের নতুন সঙ্গী ওমরজাই।
নিজেই ক্যাচ ধরে রহমতকে ফেরালেন মোস্তাফিজ :
গুরবাজের উইকেট নিতে পারেননি রিশাদের ভুলে। এবার মোস্তাফিজ রহমতের উইকেট নিলেন নিজেই ক্যাচ ধরে। শর্ট বলে পুল করতে চেয়েছিলেন রহমত। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড়। একটু দৌড়ে গিয়ে নিজেই ক্যাচ ধরেন মোস্তাফিজ। ২২ বলে ৮ রান করেন রহমত। ৬৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ক্রিজে গুরবাজের সঙ্গী হাশমতুল্লাহ।
রিশাদের হাতে জীবন পেয়েই গুরবাজের ছক্কা:
গুরবাজকে ফেরানো যাচ্ছিল না। মোস্তাফিজ বাধ্য করেছিলেন ক্যাচ তুলতে। কিন্তু দূর্ভাগ্য বাংলাদেশের। মাহমুদউল্লাহর বদলি ফিল্ডার হিসেবে নামা রিশাদ পয়েন্টে মিস করেন সেই ক্যাচ। ২৪ রানে জীবন পয়ে পরের বলেই মোস্তাফিজকে পুল করে আছড়ে ফেললেন বাউন্ডারির বাইরে। ছক্কা! প্রথম উইকেটের পতনের পর রহমতকে সঙ্গী করে এগীচ্ছেন গুরবাজ। দুজনের জুটি থেকে এখন পর্যন্ত আসে ২১ রান। প্রথম পাওয়ার প্লেতে তারা ১ উইকেটে ৪৫ রান করে।
নাহিদ রানার গতিতে বোল্ড সেদিকুল্লাহ :
সপ্তম ওভার শেষ হয়ে গেছে। উইকেটের দেখা মিলছিল না। নিজের চতুর্থ ওভার করতে আসেন অভিষিক্ত নাহিদ রানা। ১৪৭.৯ কিলোমিটার গতিবেগে করা চতুর্থ বলে বোল্ড হন সেদিকুল্লাহ। ১৮ বলে ১৪ রান করেন এই ব্যাটার। নাহিদ শুরু থেকেই কৃপণ বোলিং করছিলেন। আফগান দুই ওপেনার খেলছিলেন দেখেশুনে। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন নাহিদ। ৪১ রানে প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ক্রিজে গুরবাজের সঙ্গী রহমত।
মাহমুদউল্লাহ ৯৮, বাংলাদেশ ২৪৪:
সেঞ্চুরি হতে হতেও হলো না মাহমুদউল্লাহর। শেষ পর্যন্ত থামলেন ৯৮ রানে। তার সঙ্গে মিরাজের ফিফটিতে ভর করে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ২৪৪ রান করে। মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রান। শেষ দিকে দ্রুত উইকেট পড়ায় তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। শুরুতে দ্রুত চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মিরাজ-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। দুজনে পঞ্চম উইকেটে ১৪৫ রান যোগ করেন। আজমতুল্লাহ সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন।
এবার পারলেন না জাকের আলী, ভরসা মাহমুদউল্লায় :
আগের ম্যাচের ক্যামিওতে এনে দিয়েছিলেন চ্যালেঞ্জিং পুঁজি। এবার আর পারলেন না। ওমরজাইকে মারতে গিয়ে আউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে। ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে আউট হওয়ার আগে এই ব্যাটার করেন ১ রান। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী নাসুম। আর বাকি ২ ওভার।
শারজাহতে হাসছে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট, ফিরলেন মিরাজ:
৬২ বলে ফিফটি করেন মাহমুদউল্লাহ। ফিফটির পর অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করছেন। চার হাঁকিয়েছেন তিনটি আর ছয় ১টি। ফিফটির পরের ২০ বলে যোগ করেন ২৯ রান। মাহমুদউল্লাহর মতো মিরাজও চেষ্টা করছিলেন। ৪৬তম ওভারে হাঁকিয়েছেন টানা দুই চার। একই ওভারের শেষ বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফেরেন সাজঘরে। চারটি চারের মারে তার ব্যাট থেকে আসে ১১৯ বলে ৬৬ রান। মাহমুদউল্লাহ ব্যাট করছেন ৮২ রানে। তার নতুন সঙ্গী জাকের আলী অনিক।
১০৬ বলে মিরাজের ফিফটি, জুটির সেঞ্চুরি:
প্রথম অধিনায়কত্ব করতে নেমে ফিফটির দেখা পেয়েছেন মিরাজ। ১০০ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে তৃতীয় ফিফটি হাঁকাতে মিরাজ খরচ করেছেন ১০৬ বল। দল যখন বিপদে তখন মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে এগোতে থাকেন এই অলরাউন্ডার। খেলছেন খুবি দেখেশুনে। এ জন্য বলও হজম করেছেন বেশি। চারের মার ছিল মাত্র দুটি। মনোযোগ ছিল সিঙ্গেলস ডাবলসে। তার আগে ফিফটি করেছেন মাহমুদউল্লাহ। মিরাজের ফিফটির পরে পূর্ণ হয় জুটির সেঞ্চুরি।
০, ১, ২, ৩—রানের পর অবশেষে মাহমুদউল্লাহর ফিফটি:
ফিফটি থেকে তখন মাত্র ১ রান দূরে। ক্যারিয়ারের ২৯তম ফিফটি মাত্র সময়ের ব্যাপার। এই সময়ে নবীকে মেডেন ওভার দেন মাহমুদউল্লাহ। ৬৩ বলে ফিফটি করেন এই ব্যাটার। চারটি চারের মারের সঙ্গে ছয় মেরেছেন ১টি। দল যখন বিপদে মিরাজের সঙ্গে জুটি গড়ে এগিয়ে নেন দলকে। মিরাজও আছেন ফিফটি থেকে ১ রান দূরে। দুজনের জুটি থেকে এখন পর্যন্ত আসে ৯৬ রান।
ফিফটির জুটিতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছে দুই ‘ম’:
দারুণ শুরুর পর হঠাৎ ছন্দপতন। ৫ রানের ব্যবধানে নেই ২ উইকেট। ক্রিজে এসে দ্রুত মাঠ ছাড়েন হৃদয়। মহাবিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সেই ধাক্কা সামলে মিরাজ-মাহমুদউল্লাহর জুটিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। দুজনের পঞ্চম উইকেটের জুটি ইতিমধ্যে ফিফটি পার করেছে। ৭৭ বলে পা রাখে পঞ্চাশের ঘরে। মিরাজ ৩৮ ও মাহমুদউল্লাহ ৩৪ রানে ব্যাট করছেন।
মিরাজ-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে শতরান পেরুলো বাংলাদেশ:
বিনা উইকেটে ৫৩ রান থেকে ৭২ রানে যেতেই বাংলাদেশ দ্রুত হারায় ৪টি উইকেট। সেখান থেকে জুটি বাঁধেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পঞ্চম উইকেটে তাদের দুজনের জুটিতে ভর করে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে শতরান পেরিয়েছে। মিরাজ ৩১ ও মাহমুদউল্লাহ ১৭ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। ২৫ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ১১৩। এই জুটির সংগ্রহ ৪০ রান।
এবার ৭ রানে থামলেন হৃদয়, চাপে বাংলাদেশ:
রশিদের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন হৃদয়। আউট সাইড অফের বল বুঝতে না পেরে খোঁচা দিয়ে বসেন এই ডানহাতি ব্যাটার। স্লিপে ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি নাইব। প্রথম দুই ম্যাচে ১১ রান করে আউট হওয়ার পর হৃদয়ের ব্যাট থেকে এবার এলো মাত্র ৭ রান। তার আউটে ৭২ রানে চতুর্থ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। ক্রিজে মিরাজের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ। চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুঁড়তে হলে জুটি গড়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
মিরাজের ভুলে রানআউট জাকির, ৫ রানে নেই ৩ উইকেট:
মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে টানা তিন ওভারে ৩ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। এবার ভুলটা অধিনায়ক মিরাজের। ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বল। আজমতুল্লাহকে ডিফেন্স করে রানের কল দিয়ে দৌড় দেন মিরাজ। কিন্তু একটু আগাতেই মিরাজ বুঝতে পারেন রান সম্ভব নয়। ততক্ষণে ক্রিজের মাঝে চলে আসেন জাকির। পয়েন্ট থেকে খারোটের ডিরেক্ট থ্রোতে ভেঙে যায় উইকেট, সাজঘরে ফেরেন জাকির। ৭ বলে ৪ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৫৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। ক্রিজে মিরাজের সঙ্গী হৃদয়।
দারুণ শুরুর পর বোল্ড সৌম্য, দুই জীবন পেয়ে তানজীদের ১৯:
পরপর দুই ওভারে ফিরলেন দুই ওপেনার। শুরু থেকে সৌম্য সরকারকে দেখাচ্ছিল সাবলীল। গজনফারকে টানা চারটি ডাবলসে শুরু হয়েছিল ইনিংস। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছিল শটের মাত্রা। কিন্তু লম্বা করতে পারেননি ইনিংস। আজমতুল্লাহর করা নবম ওভারের তৃতীয় বলে সাজঘরে ফেরেন বোল্ড হয়ে। আউট সাইড অফের বল কাট করতে চেয়েছিলেন কিন্তু বল ব্যাটের নিচু অংশে লেগে আঘাত করে স্ট্যাম্পে। ৩টি চারের মারে ২৩ বলে ২৪ রান করেন সৌম্য। পরের ওভারেই ফেরেন দুই জীবন পাওয়া তানজীদ। প্রথম পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে নবীকে লফটেড শট খেলতে চেয়েছিলেন তানজীদ, টাইমিংয়ে গড়বড়। কাভারে জায়গায় থেকে একটু সরে ক্যাচ নেন হাশমতুল্লাহ। ৩ চারে ২৯ বলে ১৯ রান করেন এইই ওপেনার। দুই ওপেনারই ফেরেন দলীয় ৫৩ রানে। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটার জাকির-মিরাজ।
৭ রান করতেই দুই জীবন পেলেন তানজীদ :
ফজল হক ফারুকির প্রথম ওভার পুরোটাই ডট দিয়েছেন তানজীদ হাসান তামিম। দ্বিতীয় ওভারে সৌম্য সরকার নেন ৮ রান। ফারুকির করা তৃতীয় ওভারে এবার জীবন পেলেন তানজীদ। জায়গায় দাঁড়িয়ে কাট করতে চেয়েছিলেন, বল ব্যাটের নিচে লেগে যায় প্রথম স্লিপে। কিন্তু গুলবাদিন নাইব তালুবন্দি করতে পারেননি, বেঁচে যান তানজীদ। এ সময় রানের খাতাই খুলতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটার। শুধু এখানেই না, ৭ রানে তানজীদ আবার জীবন পান। আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফারকে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন, টাইমিং হয়নি, বল উঠে যায় আকাশে। এবার ক্যাচ মিড অনে এই ক্যাচ মিস করেন অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, রানার অভিষেক:
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-১ সমতায়। অলিখিত ফাইনালে দুই দলই মরিয়া ট্রফি নিশ্চিতে। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ছিটকে যাওয়ায় নেতৃত্বে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় খেলাটি শুরু হবে।
একাদশে দুই পরিবর্তন, রানার অভিষেক:
অধিনায়ক শান্তর পরিবর্তে একাদশে এসেছেন জাকির হাসান। আর পেসার তাসকিন আহমেদের পরিবর্তে অভিষেক হচ্ছে নাহিদ রানার। ১৫০তম ক্রিকেটার হিসেবে লাল-সবুজের রঙিন জার্সি পরবেন এই পেসার। এই সিরিজে এর আগে অভিষেক হয় জাকের আলী অনিকের।
বাংলাদেশের একাদশ:
তানজিদ হাসান তামিম, জাকির হাসান, সৌম্য সরকার, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), নাসুম আহমেদ, নাহিদ রানা, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।
আফগানিস্তানের একাদশ:
সেদিকুল্লাহ অটল, রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শাহিদি, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নায়েব, রশিদ খান, আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফার, নাঙ্গিয়ালাই খারোটি ও ফজল হক ফারুকি।
ছিটকে গেলেন শান্ত, অধিনায়ক মিরাজ:
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচের পাশাপাশি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নিজের ১০০তম ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্বের স্বাদ পাচ্ছেন এই অলরাউন্ডার।
মোমেন্টাম ধরে রাখার পালা:
ঘুরে দাঁড়িয়ে ৬৮ রানের জয়ে সিরিজে সমতা আনে বাংলাদেশ। এখন সেই মোমেন্টাম ধরে রাখার পালা। বিশেষ করে মুশফিকুর রহিমের বদলি অভিষিক্ত জাকের আলী আর বছরজুড়ে ব্রাত্য থাকা নাসুম আহমেদ যেভাবে খেলেছেন; সেটি যেন তারা ধরে রাখেন তাই চাইছেন ছিটকে যাওয়া অধিনায়ক শান্ত। দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের পর তাইতো বাংলাদেশ অধিনায়ক দুজনের প্রশংসার সঙ্গে এমন পারফরম্যান্স ধরে রাখার আহ্বান করেছেন।
‘ওরা যেভাবে শেষ করেছে, সেটার পর আমরা মোমেন্টামটা পেয়ে গিয়েছি। আমরা জাকের এবং লোয়ার মিডল অর্ডারে যারা ব্যাটিং করে, যেমন নাসুম, ওদের কাছে এটাই চাইব। ওরা আজ যেভাবে খেলেছে, আমি খুবই খুশি। আশা করছি, ওরা এভাবেই খেলে যাবে।’
অস্বস্তি মিডল অর্ডারে:
দ্বিতীয় ম্যাচে ওপেনিংয়ে ঝড়ো শুরুর পর তানজীদ হাসান তামিম মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারেননি। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার থিতু হয়েও দ্বিতীয়বারের মতো লম্বা করতে পারেননি ইনিংস। এই দুজনের কাছে লম্বা ইনিংসের চাওয়া থাকবে টিম ম্যানেজমেন্টের এটা নিশ্চিত। রানের দেখা পেয়েছেন শান্তও; টপ অর্ডার রানের দেখা পেলেও মিডল অর্ডার দিচ্ছে অস্বস্তি। বিশেষ করে তাওহীদ হৃদয়-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ টানা দুই ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার ভুগতে হয়েছে ব্যাটিংয়ে। প্রথম ম্যাচে কেউ হাল ধরতে পারেননি; দ্বিতীয় ম্যাচে জাকের-নাসুমের দৃড়তায় এসেছে সাফল্য। ব্যাটিং অর্ডারে উপরে উঠে আসলেও মিরাজ ফেলতে পারছেন না প্রভাব। আউট হয়ে যাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। বোলিং বিভাগ তাদের সেরাটাই দিয়ে যাচ্ছে, প্রয়োজন এখন ব্যাটিংয়ে দৃঢ়তা।
রিয়াদ/আমিনুল