রোনালদোর জোড়া গোল, কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগাল
উয়েফা নেশন্স লিগে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে পর্তুগাল। শুক্রবার দিবাগত রাতে তারা ৫-১ ব্যবধানে হারিয়েছে পোল্যান্ডকে। এই জয়ে ৫ ম্যাচ থেকে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ১’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে রবার্তো মার্টিনেজের শিষ্যরা। ২০১৯ সালের চ্যাম্পিয়নরা এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো গ্রুপসেরা হয়ে শেষ আটে নাম লেখালো।
ঘরের মাঠে পোল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচটির প্রথমার্ধ ছিল ম্যাড়ম্যাড়ে, বিরক্তিকর। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধ ছিল ব্লকবাস্টার। যেখানে মাত্র ২৮ মিনিটের ব্যবধানে ৬টি গোল হয়। শেষদিকে ৮ মিনিটে হয় চারটি গোল।
গোলশূন্যভাবে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পর ম্যাচের ৫৯ মিনিটে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। এ সময় পাল্টা আক্রমণে ডি বক্সের মধ্যে বল বাড়িয়ে দেন নুনো মেন্ডেস। সেটিতে হেড নিয়ে জালে জড়ান রাফায়েল লিয়াও। ৭০ মিনিটে বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করেন পোল্যান্ডের দিয়েগো দালোত। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। ৭২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে রোনালদো গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
৮০ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেস বুলেট গতির শটে গোল করে ব্যবধান ৩-০ করেন। এ সময় ভিতিনহা তাকে বল বাড়িয়ে দেন। সেটা ডি বক্সের সামনে পেয়েই ডান পায়ে জোরালো শট নেন। উপরের বাম কোণা দিয়ে বল জালে প্রবেশ করে।
৮৩ মিনিটে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে ডান পায়ের শটে গোল করেন পেদ্রো নেতো। তাতে ব্যবধান বেড়ে হয় ৪-০। ৮৭ মিনিটে দারুণ একটি আক্রমণ শানায় পর্তুগাল। ডি বক্সের মধ্যে ঢুকে ভিতিনহা বল বাড়িয়ে দেন বামদিকে গোলপোস্টের সামনে থাকা রোনালদোকে। তিনি বাইসাইকেল কিকে বল জালে জড়িয়ে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন।
গোলের পর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর উদযাপন। ছবি: সংগৃহীত
৮৮ মিনিটে পোল্যান্ডও গোল পায়। এ সময় জ্যাকুব কিউয়রের অ্যাসিস্টে বক্সের বাইরে থেকে বাম পায়ের শটে গোল করেন ডমিনিক মারজুক। তার গোলটি কেবল পরাজয়ের ব্যবধান কমায়। শেষ পর্যন্ত ৫-১ ব্যবধানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পর্তুগাল। নিশ্চিত করে কোয়ার্টার ফাইনাল।
এদিকে ৫ ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পোল্যান্ড আছে টেবিলের তৃতীয় স্থানে। সমান পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে থাকা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সোমবার দিবাগত রাতে শেষ ম্যাচে লড়বে পোল্যান্ড। আর ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ক্রোয়েশিয়ার মাঠে একইদিন রাতে শেষ ম্যাচ খেলবে পর্তুগাল।
ঢাকা/আমিনুল