উয়েফা নেশন্স লিগ
পর্তুগালকে রুখে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া
সমতাসূচক গোল করার পর ভার্দিওলকে ঘিরে সতীর্থদের উল্লাস।
উয়েফা নেশন্স লিগের লড়াই যতই সামনে এগোচ্ছে ততোই জমে উঠছে। তারই ধারাবাহিকতায় লড়াই জমিয়ে তুললো পর্তুগাল ও ক্রোয়েশিয়া। কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে ক্রোয়েশিয়ার দরকার ছিল ১ পয়েন্ট। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দলের বিপক্ষে প্রথমার্ধে গোল হজম করেও দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ ফুটবল খেলে ১-১ গোলের সমতায় ম্যাচ শেষ করে লক্ষ্য পূরণ করল লাতকো দালিচের দল।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) ঘরের মাঠে ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে পর্তুগালকে এগিয়ে নেন জোয়াও ফেলিক্স। দ্বিতীয়ার্ধে ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় ফেরানো গোলটি করেন যশকো ভার্দিওল। তাতে ছয় ম্যাচে দুটি করে জয় ও ড্রয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ লিগের ১ নম্বর গ্রুপের রানার্সআপ হলো ক্রোয়েশিয়া। চার জয় ও দুই ড্রয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা পর্তুগাল।
এই ম্যাচে ছিলেন না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সেই সঙ্গে দলের আরও কয়েকজন মূল তারকাকে ছাড়াই খেলতে নামে পর্তুগাল। ব্রুনো ফার্নান্দেজ, পেদ্রো নেতো, গোলরক্ষক ডিয়োগো কস্তা, ডিফেন্ডার বার্নার্দো সিলভাসহ আরও কয়েকজনকে বাইরে রেখেই লড়াইয়ে নামে পর্তুগাল।
ম্যাচে শুরু থেকেই ক্রোয়েশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করে পর্তুগাল। একের পর এক আক্রমণে নিজেদের দ্বিতীয় সারির দলের শক্তিও বুঝিয়ে দেয় তারা। তারই ধারায় ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় পর্তুগিজরা।
ভিতিনিয়ার থ্রু বল প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নেন ফেলিক্স। এরপর বল নিয়ে দ্রুত গতিতে বক্সে ঢুকে যান। কোনাকুনি শটে বাকি কাজটা সম্পন্ন করেন চেলসি ফরোয়ার্ড।
গোল খাওয়ার পর ৩৮তম মিনিটে সমতায় ফেরানোর ভালো সুযোগ পেয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। তবে আন্দ্রেই ক্রামারিচের শট পোস্টে বাধা পায়। ফলে এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় পর্তুগাল।
দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে ফুটবল খেলতে থাকে পর্তুগাল। এবার একের পর এক আক্রমণ করে যেতে থাকে ক্রোয়াটরা। তারই ধারাবাহিকতায় ৬৫তম মিনিটে সমতা ফেরায় ক্রোয়েশিয়া। সতীর্থের ক্রস বাইলাইনের কাছে পেয়ে সমতা টানেন ভার্দিওল।
এরপর দুই দলই সমানে সমান লড়াই করে যায়। ৭৩তম মিনিটে মিস করেন পর্তুগালের নুনো মেন্দেস। আর যোগ করা সময়ে ক্রোয়েশিয়ার বুদিমিরের হেড পোস্টে বাধা পায়। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে দুই দল।
ঢাকা/বিজয়