ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৫ ১৪৩১

বাফুফের ভাবনায় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ‘স্মৃতি সংরক্ষণ’

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪০, ১৯ নভেম্বর ২০২৪  
বাফুফের ভাবনায় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ‘স্মৃতি সংরক্ষণ’

জাকারিয়া পিন্টুকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।

আলোচনাটা সব সময়ই ছিল। কাজী সালাউদ্দিন যখন টানা তিন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন তখনও তিনি জোরেশোরেই কাজ করার ইচ্ছার কথা বলেছেন। কিন্তু কথার সঙ্গে কাজের কোনো মিল ছিল না।

বাংলাদেশ ফুটবল দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িত। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ১৬টি ম্যাচ খেলে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল ১২টিতে জিতেছিল। ম্যাচগুলোর টিকিট বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ তারা মুক্তিযুদ্ধের প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের তহবিলে দিয়েছিল। 

সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন জাকারিয়া পিন্টু। পৃথিবীর মায়া ত‌্যাগ করে তিনি এখন পরলোকে। পিন্টুর মৃত্যুর পরই আবার আলোচনা উঠল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কি স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের স্মৃতি সংরক্ষণ করবে?

আরো পড়ুন:

মতিঝিলে বাফুফের হেড কোয়ার্টারে প্রবেশ করলে দেখা মিলবে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস‌্যের নামের ফলক। ২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর কাজী সালাউদ্দিন ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় লেখা সেই নামের ফলক উন্মোচন করেন। এর বাইরে বাফুফেতে দৃশ‌্যমান কোনো স্মৃতি সংরক্ষণ নেই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের। ফুটবল পায়ে যুদ্ধ করা সেসব স্বর্ণজয়ী ফুটবলারদের ছবিও নেই বাফুফেতে। 

ক্ষমতার পালাবদলে বাফুফেতে এসেছে পরিবর্তন। নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল কী গৌরবের স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে সম্মান জানিয়ে তাদের স্মৃতি সংরক্ষণ করবেন? সেই প্রশ্নটাও আজ উঠল। তিনি আশ্বাস দিলেন, “তিনি (জাকারিয়া পিন্টু) ফুটবলের কিংবদন্তি। তার এবং স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ছবি বাফুফেতে স্থাপনের ব্যাপারে আমরা নির্বাহী কমিটির সভায় আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।”

বিশ্বের অনেক ক্রীড়া স্টেডিয়াম, গ্যালারির নামকরণ হয় কৃতি খেলোয়াড়দের নামে। বাংলাদেশে এই চর্চা খুব কম। বাংলাদেশের কোনো ফুটবল স্থাপনায় পিন্টুর নাম ব্যবহার করা যায় কিনা সেই প্রস্তাবও উঠে আসল। এমন প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য তাবিথ আউয়াল টেনেছেন সরকারি সিদ্ধান্তের ব্যাপারটি, “স্টেডিয়ামগুলোর সবই সরকারের। আমরা এ ব্যাপারে প্রস্তাব দিতে পারি সরকারকে।”

১৯৯৫ সালে জাকারিয়া পিন্টু পান দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পদক। তবে আমৃত্যু তার আক্ষেপ ছিল মুক্তিযুদ্ধে অবদানের পরও দল হিসেবে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের স্বাধীনতা পুরস্কার না পাওয়া নিয়ে। সেই আক্ষেপকে সঙ্গী করেই চলে ফেলেন পরপারে।

ঢাকা/ইয়াসিন/বিজয়

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়