টেনিসে নাদাল অধ্যায়ের সমাপ্তি
বিদায়ের প্রাক্কালে দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দিচ্ছেন নাদাল।
ঘোষণাটা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন। বাকি ছিল আনুষ্ঠানিকতা। ডেভিস কাপে সেই আনুষ্ঠানিকতাও সেরে ফেললেন রাফায়েল নাদাল। ডেভিস কাপের ম্যাচে কোয়ার্টার ফাইনালে পরাজয়ের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো টেনিসে নাদাল অধ্যায়।
ডেভিস কাপে স্পেনের হয়ে প্রথম সিঙ্গেলসে নেদারল্যান্ডসের বটিচ ফন ডি জান্ডশুল্পের কাছে ৬-৪ ৬-৪ গেমে হেরেছেন নাদাল। তবে নাদালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তার উত্তরসূরি কার্লোস আলকারাজ। এই তরুণ ৭-৬ (৭/০), ৬-৩ গেমে হারান ডাচ ট্যালন গ্রিকসপুরকে।
আলকারাজ আরেকটি সিঙ্গেলসে জয় পাওয়ায় আরও একটি ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা ছিল নাদালের। তবে ফল নির্ধারণী ডাবলসে আলকারাজ ও মারসেল গ্রানোয়ার্স ৭-৬ (৭/৪), ৭-৬ (৭/৩) গেমে হেরে যান নেদারল্যান্ডসের বটিচ ফন ডি জান্ডশুল্প ও ওয়েসলি কুলহফ জুটির কাছে। সেই সঙ্গে থেমে গেল টেনিসে নাদালের পথচলা।
অনেকদিন ধরেই চোটের সঙ্গে লড়াই করছেন নাদাল। তাও চেষ্টা করে গেছেন খেলার। কিন্তু বয়সের সঙ্গে পেরে উঠলেন না স্প্যানিশ কিংবদন্তি। এ বছরের জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতামূলক টেনিসে ফিররেও ঊরুর চোটে পড়ে ছিটকে যান অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে। এরপর আর ফর্ম ফিরে পাননি।
টেনিস দীর্ঘ ক্যারিয়ার নাদালের। ২০০১ সালে টেনিস তার পথচলা। এরপর একটানা খেলেছেন দীর্ঘ ২৩ বছর। জিতেছেন ২২টি গ্র্যান্ড স্লাম। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৪টি জিতেছেন ফ্রেঞ্চ ওপেনে। লাল মাটির কোর্টের একচ্ছত্র অধিপতি ছিলেন নাদাল। ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে নাদাল জিতেছেন ৯২টি শিরোপা।
বিদায়ের রাতে নাদাল বলেন, “২০ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ার। এই ভালো-খারাপ সময়ে আপনারা আমার পাশে ছিলেন, অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। সত্য হচ্ছে আমি টেনিস খেলে ক্লান্ত নয়, আমার শরীর চায় না আমি খেলাটা চালিয়ে যাই এবং এটা মেনে নিতে হবে। আমি অনেক ভাগ্যবান। নিজের শখকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পেশা হিসেবে রাখতে পেরেছি।”
ঢাকা/বিজয়