পুরান মঞ্চে লড়াইয়ে নামছে ‘নতুন’ বাংলাদেশ
“এর আগে আমরা অ্যান্টিগায় ভালো টেস্ট খেলিনি। আমরা খুব বাজেভাবে হেরেছি। এবার আমরা নতুনভাবে এসেছি”-ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে এভাবেই রণহুঙ্কার ছুড়লেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
টেস্ট ক্যারিয়ায়ের ৫০তম ম্যাচের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন অলরাউন্ডার মিরাজ। অ্যান্টিগায় বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাত ৮টায় ক্যারিবিয়ানদের মুখোমুখি হবে লাল-সবুজের দল। এই ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে হবে মিরাজের নেতৃত্বের অভিষেক।
নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত নেই, নেই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। তারুণ্যের মিশেলে গড়া এই দলকে তাই অধিনায়ক মিরাজ দেখছেন নতুন বাংলাদেশ হিসেবে। শান্ত-মুশফিকদের দায়িত্ব মিরাজ নিয়ে নিচ্ছেন নিজেদের কাঁধে।
দলে সিনিয়র সদস্য না থাকা প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, “আসলে এই মুহূর্তে আমরা অনেক প্রস্তুতি নিচ্ছি। অনুশীলনে কয়দিন ধরে কঠোর অনুশীলন করছি। আপনি বলছেন আমাদের সিনিয়র ক্রিকেটার নেই। কিন্তু আমি মুমিনুল, লিটন আছে।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাদা পোশাকে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বলা যায় ধূসর। ২০ টেস্ট খেলে জয় মাত্র ৪টিতে। ২টিতে ড্র। বাকি ১৪ ম্যাচে মেনে নিতে হয়েছে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ। অ্যান্টিগায় সবশেষ ম্যাচে ২০২২ সালে বাংলাদেশ হেরেছে ৭ উইকেটে। সবশেষ বাংলাদেশ জয়ের দেখা পেয়েছিল মিরপুরে, ২০১৮ সালে।
জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে মিরাহ অ্যান্ড কোং, “আমাদের টার্গেট থাকবে অবশ্যই ভালো ক্রিকেট খেলার জন্য। কারণ এর আগে আমরা যখন এখানে খেলেছিলাম, টেস্ট ক্রিকেটে অতটা ভালো করতে পারিনি। বিশেষ করে একটাও জিততে পারিনি। শেষ চার বছরে যদি দেখি এখানে দুটো ম্যাচ খেলেছিলাম। আমাদের লক্ষ্য থাকবে জেতার জন্য এবং সবাই যেন পারফর্ম করে।”
বরাবরের মতো স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের পিচ হবে পেস বোলারদের স্বর্গরাজ্য। বাংলাদেশ একাদশে নাহিদ রানার সঙ্গে পেস আক্রমণে দেখা যেতে পারে হাসান মাহমুদ-শরিফুল ইসলামকে। স্পিনে মিরাজের সঙ্গী হিসেবে তাইজুল ইসলাম। শান্ত-মুশফিকের জায়গায় কাকে নেওয়া হবে এই নিয়ে নিশ্চিত দুশ্চিন্তায় ম্যানেজমেন্ট। খেলার সম্ভাবনা বেশি জাকির হাসান-শাহাদাত হোসেন দিপুর।
ওপেনিংয়ে মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গী হবেন সাদমান ইসলাম। তিনে দেখা যেতে পারে জাকিরকে। এরপরে মুমিনুল হক, শাহাদাত হোসেন ও লিটন দাসকে দেখা যেতে পারে। সবশেষ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লিটন ছিলেন না জ্বরের কারণে। তিন পেসার কিংবা দুই স্পিনার নিয়ে খেললে বাংলাদেশকে খেলতে হতে পারে এক ব্যাটার কম নিয়ে। পেসার কিংবা স্পিনার কম হলে একাদশে দেখা যেতে পারে জাকের আলী অনিককে।
তবে অ্যান্টিগার আবহাওয়া বলছে ভিন্ন কথা। পূর্বাভাসে পাঁচ দিনেই আছে বৃষ্টি। এ ক্ষেত্রে পেসাররা আরও বেশি কার্যকর হতে পারেন। এখানে ১০৩ ও ৪৩ রানে অলআউটের বাজে রেকর্ডও আছে বাংলাদেশের। তবে এসব ভুলে সামনে এগোতে চাইছেন মিরাজ।
“আমি অনেক আত্মবিশ্বাসী আমার দল অনেক ভালো করবে। সবাই যেন ভালো ক্রিকেট খেলে আমরা যেন জিততে পারি। সবাই যদি দল হিসেবে খেলতে পারি, আশা করি এই টেস্টে ভালো একটা ফল আসবে।”
ঢাকা/রিয়াদ/বিজয়