ইতিহাদে ম্যানসিটির জালে ‘এক হালি’ গোল টটেনহ্যামের
উল্লাসিত টটেনহ্যামের বিপরীত চিত্র ম্যানসিটির।
ম্যানচেস্টার সিটির দুঃসময় কি তবে শুরু হয়ে গেল? টটেনহ্যামের বিপক্ষে ম্যাচের পর এই প্রশ্নই ঘুরেফিরে আসছে। চার গোল হজম, তাও ঘরের মাঠে! বিস্ময়ের সকল সীমা ছাড়িয়ে গেছে টটেনহ্যামের বিপক্ষে ম্যানসিটির হার। এক হালি গোল দিয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের হতাশায় ডুবালো ‘স্পার্স’রা। ম্যাচটি তারা জিতেছে বরাবর ৪-০ গোলে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ম্যাচের শুরুতেই দুইবার জাল খুঁজে নিলেন জেমস ম্যাডিসন। রাঙালেন জন্মদিন। এরপর আরও একটি গোল করেন পেদ্রো পোরো। শেষ সময়ে সিটির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন ব্রেনান জনসন। তাতেই রচিত হয় ইতিহাদে সিটির সবচেয়ে বড় পরাজয়ের বিব্রতকর রেকর্ড।
এই পরাজয়ের মাধ্যমে বিব্রতকর আরেকটি রেকর্ডেও নাম লেখালো সিটি। ইংলিশ ফুটবলের বিগত ৬৮ বছরের ইতিহাসে শীর্ষ লিগের শিরোপাধারী প্রথম ক্লাব হিসেবে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ হারলো সিটি। এর আগে ১৯৬৫ সালে শেষবার এমন অবস্থা হয়েছিল চেলসির।
জয়ের খোঁজে মাঠে নামে সিটি। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে কোনো ছাপ রাখতে পারেনি তারা। একের পর এক আক্রমণে তাদেরকে দিশেহারা করে ফেলে টটেনহ্যাম। তারই ধারাবাহিকতায় ত্রয়োদশ মিনিটে দেইয়ান কুলুসেভস্কির ক্রসে ভলিতে জাল খুঁজে নেন ম্যাডিসন।
২০তম মিনিটে আরেকট গোল হজম করে সিটি। নিজেদের সীমানায় বলের পজিশন হারিয়ে ফেলে সিটি। এই সুযোগে কোরিয়ান তারকা সন হিউং-মিন বল নিয়ে ঢুকে পড়েন ডি-বক্সে। তিনি পাস দেন ম্যাডিসনকে। বাকি কাজটা সেরে উল্লাসে ফেটে পড়েন ইংলিশ মিডফিল্ডার।
সিটি প্রথম সুযোগ পায় ২২তম মিনিটে। তবে ক্রসবারের ওপর দিয়ে বল উড়িয়ে দেন আরালিং হালান্ড। এই একটি সুযোগই প্রথমার্ধে পেয়েছিল সিটি। তাতে গোল না হওয়ায় দুই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় টটেনহ্যাম।
দ্বিতীয়ার্ধেও দাপট বজায় রাখে টটেনহ্যাম। তাতে ৫২তম মিনিটে সিটির জয়ের সম্ভাবনা একেবারে গুঁড়িয়ে দেন পোরো। প্রতি-আক্রমণে দোমিনিক সোলাঙ্কির পাস ধরে বক্সের ডান দিক থেকে কোনাকুনি শটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন তিনি।
সিটিকে বলতে গেলে রুখে দেন টটেনহ্যাম গোলরক্ষক। ৭৭ ও ৭৯তম মিনিটে ইলকাই গিনদোয়ান ও পরে হালান্ডের কোনাকুনি শট রুখে দেন তিনি। তাতে তিন গোলে এগিয়ে থেকেই নির্ধারিত সময় শেষ করে টটেনহ্যাম।
সিটির জন্য তখনো দুঃস্বপ্ন অপেক্ষা করছিল। যোগ করা সময়ের শেষ দিকে জনসনের গোলে সিটির পরাজয়ের ব্যবধান আরও বড় হয়। বাঁ দিক থেকে টিমো ভেরনারের কোনাকুনি শটে পা ছুঁইয়ে জাল খুঁজে নেন ওয়েলস তারকা জনসন।
এই হারে টেবিলের শীর্ষস্থান থেকে আরও পিছিয়ে পড়ার শঙ্কায় গার্দিওলার দল। ১২ ম্যাচে সাত জয় ও দুই ড্রয়ে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে তারা। ২৮ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় লিভারপুল, তবে তারা একটি ম্যাচ কম খেলেছে। তাদের সামনে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দিলো সিটি। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে টটেনহ্যাম।
ঢাকা/বিজয়