ড্র ম্যাচে মেহেদীর ৭ উইকেট, আল-আমিনের শিকার ৫
চট্টগ্রামের শেষ ৩ উইকেটে লাগত ৮৬ রান। খুলনা অপেক্ষায় ছিল ৩ উইকেটের। সিলেটের একাডেমি মাঠে জাতীয় ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের শেষ দিনের খেলায় রোমাঞ্চ অপেক্ষা করছিল। কিন্তু আল-আমিনের পেস বোলিং তোপে চট্টগ্রামের লেজের ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারল না।
১১৮ রানে দিন শুরু করে ২৭ রান যোগ করে ১৪৫ রানে অলআউট তারা। পেসার আল-আমিন ৬৭ রানে পেয়েছেন ৫ উইকেট। তাতে খুলনা বিভাগ পায় ৫৮ রানের জয়। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে পেসার মেহেদী হাসান রানার শিকার ৩ উইকেট। ৮ উইকেট নিয়ে খুলনার জয়ের নায়ক বাঁহাতি পেসার।
জয় পেতে খুলনাকে তেমন বেগ পেতে হয়নি। দিনের শুরুতে আল-আমিনের বলে আশরাফুল ৩১ রানে আউট হন। এরপর আহমেদ শরিফের উইকেট তুলে নেন মেহেদী। কফিনে শেষ পেরেকটিও ঠুকে দেন তিনি। তাতে খুলনা বিভাগ লিগের দ্বিতীয় জয় তুলে নেয়।
৬ ম্যাচে ২ জয়, ১ পরাজয় ও ৩ ড্রয়ে খুলনার পয়েন্ট ২২। চট্টগ্রামের পয়েন্ট ১৮। তারা ৬ ম্যাচে ২ জয়, ৩ পরাজয় ও ১ ড্র করেছে।
এদিকে ঢাকা মেট্রো ও রংপুর বিভাগের ম্যাচ নিষ্প্রাণ ড্র হয়েছে। রংপুর এই ম্যাচ জিতলে শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকত। কিন্তু ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগি করায় তাদের আর সুযোগ নেই শিরোপার। ২৩ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন তিন নম্বরে। ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ঢাকা বিভাগ দুইয়ে। ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা নিশ্চিত করেছে সিলেট বিভাগ।
নিষ্প্রাণ ড্রয়ের ম্যাচে বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন রংপুরের পেসার মেহেদী হাসান। ঢাকাকে ১১৮ রানে গুটিয়ে দিতে তার ৭ উইকেট গড়ে দেয় ব্যবধান। ডানহাতি পেসার ১৪ ওভারে ২৫ রানে ৭ উইকেট নেন।
ঢাকা/ইয়াসিন/বিজয়