কোথায় থামবেন অমিত?
সিলেটের সাবেক ক্রিকেটার গোলাম মাবুদ জাতীয় ক্রিকেট লিগে ২০০৫-০৬ মৌসুমে দলের জার্সিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন ৭২১ করে। আরেক সাবেক ক্রিকেটার অলোক কাপালি ২০১৪-১৫ মৌসুমে করেছিলেন ৭৪৮ রান। রাজিন সালেহ ওই আসরেই ৬৫৩ রান করেছিলেন।
গোলাম, অলোক কিংবা রাজিন রানের ফুলঝুরি ছুটিয়ে নিজেদেরকে মেলে ধরেছেন ঠিকই। তবে সিলেটকে দিতে পারেননি জাতীয় লিগের মুকুট। তাদের উত্তরসূরী অমিত হাসান সেই কাজটা করেছেন এবারের লিগে। গতবারের রানার্সআপরা এবার শিরোপার চিরকালীন আক্ষেপ মিটিয়েছেন।
যেখানে অমিত দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১০ ইনিংসে ৬৬১ রান করে অমিত এখন পর্যন্ত লিগের টপ স্কোরার। ব্যাটিং গড় ৮২.৬৩। এক ম্যাচ হাতে রেখে দলকে শিরোপা জিতিয়ে অধিনায়ক অমিতের মিশন সাকসেসফুল। ব্যাটসম্যান অমিত নিজেকে কোথায় নিয়ে যাবেন, কতদূর যেতে পারবেন সেটা নিয়ে হচ্ছে চর্চা।
মহামারি কোভিডের পর জাতীয় লিগে এবারই সবচেয়ে বেশি রান হয়েছে। ২০২৩-২৪ মৌসুমে মুমিনুল হক ৪৭৫ রান, ২০২২-২৩ মৌসুমে জাকির হাসান ৪৪২ রান, ২০২১-২২ মৌসুমে ফজলে মাহমুদ ৬০৩ রান করেছেন। ওই মৌসুমে অমিত সিলেটের হয়েই ৫৯০ রান করেছিলেন।
জানিয়ে রাখা ভালো, আগের লিগগুলোতে দ্বিস্তর পদ্ধতিতে ডাবল লিগে খেলা হতো। এবার সিঙ্গেল লিগে সবাই সবার সঙ্গে খেলেছে। ফলে প্রতিযোগিতা আগের চেয়ে বেশি। ভালো করার চ্যালেঞ্জও বেশি।
এবার অমিত নিজের রান ছাড়িয়ে গেছেন। দ্যুতিময় পারফরম্যান্সে মুগ্ধ করেছেন সবাইকে। লিগের একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরিটিও এসেছে তার ব্যাট থেকে।
শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডের খেলা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রাজশাহীর বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলবে অমিতরা।
এরই মধ্যে নির্বাচকদের নজর কেড়েছেন অমিত। তার ব্যাটে শেষটা কেমন হয় সেটাই দেখার।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল