ঢাকা     শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১৪ ১৪৩১

শুক্রবার আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভাগ্য নির্ধারণ, হাতে যে তিন অপশন

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ২৮ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ২৩:৩০, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
শুক্রবার আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভাগ্য নির্ধারণ, হাতে যে তিন অপশন

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মাঠে গড়াতে তিন মাসও সময় নেই। কিন্তু এই আয়োজন নিয়ে এখনও কোনো ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইসিসি। ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান হলেও সেখানে গিয়ে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারত। তাতেই ঝুলে গেছে ওয়ানডে ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টের ভাগ্য। ভারত ও পাকিস্তানের নিজ নিজ পক্ষে শক্ত অবস্থানের কারণে আইসিসিও পড়েছে বিপাকে।

তবে আগামীকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে আইসিসির বার্ষিক সভা। সেখানেই মূলত ভাগ্য নির্ধারিত হবে ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির।

সভায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভাগ্য নির্ধারণ করতে তিনটি অপশন তথা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করা হবে—

আরো পড়ুন:

প্রথম অপশন:
হাইব্রিড মডেল, যেখানে সবগুলো ম্যাচ পাকিস্তানের অনুষ্ঠিত হবে। কেবল ভারতের ম্যাচগুলো হবে পাকিস্তানের বাইরে।

দ্বিতীয় অপশন:
পুরো টুর্নামেন্টটিই পাকিস্তানের বাইরে অনুষ্ঠিত হবে। তবে যথারীতি সেটার আয়োজক থাকবে পাকিস্তান।

তৃতীয় অপশন:
ভারতকে বাদ দিয়ে পুরো টুর্নামেন্টই অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানে।

তবে এই তিনটির তৃতীয়টা সম্ভব নয়। কারণ, সেটা করতে গেলে আইসিসির বিরাট আর্থিক ক্ষতি হবে। আইসিসির আর্থিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

তবে সময় যতো গড়াচ্ছে প্রথম অপশনটার সম্ভাবনা ততো বাড়ছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি মুহসীন নাকভিও সেই দিকে কিছুটা নমনীয় হচ্ছেন। তবে তিনি প্রত্যাশা করছেন হাইব্রিড মডেল করতে চাইলে আইসিসিকে অবশ্যই একটি সম্মানজনক প্রস্তাব দিতে হবে পিসিবিকে। যেখানে পাকিস্তান লাভবান হবে, ‘‘আমরা যা-ই করি না কেন এটা নিশ্চিত হয়েই করবো যে পাকিস্তানের স্বার্থ যাতে রক্ষা হয়। পাকিস্তান যাতে লাভবান হয়।’’

তবে তিনি এও জানিয়েছেন, আইসিসির সভায় যে সিদ্ধান্ত হবে সেটা তারা তাদের দেশের সরকারকে জানাবে। এরপর সরকার যে সিদ্ধান্ত দিবে সেটাই তারা করবে।

এর পাশাপাশি নাকভি এও হুঁমকি দিয়ে রেখেছেন যে, ভারত পাকিস্তানে খেলতে না আসার কারণে এবারও যদি তাদের হাইব্রিড মডেলে যেতে হয় তাহলে তারাও ভবিষ্যতে ভারতে যাবে না। সেক্ষেত্রে ২০২৫ নারী বিশ্বকাপ, ২০২৫ এশিয়া কাপ, ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৯ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও তারা অংশ নিতে ভারতে যাবে না।

নাকভি জানিয়েছেন, আইসিসি যদি পাকিস্তান আয়োজিত কোনো টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রে হাইব্রিড মডেল প্রস্তাব করে তাহলে ভারত আয়োজিত টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রেও তেমনটি করতে হবে, ‘‘আমি আবারও বলছি, আমি নিশ্চিত এবং আপনারাও সেটা জানেন যে, ভারত যদি আমাদের দেশে এসে খেলতে না পারে তাহলে পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলবে না।’’

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়