সরাসরি: প্রথম সেশনে বাংলাদেশের বাজিমাত
ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
:: সংক্ষিপ্ত স্কোর ::
বাংলাদেশ: ১৬৪/৯ (৭১.৫ ওভার)
উইন্ডিজ: ১৩৫/৮ (৬২ ওভার)
প্রথম সেশনে বাংলাদেশের বাজিমাত। ব্যাকফুটে থেকে দিন শুরু করলেও নাহিদ রানার তোপে উইন্ডিজের উইকেটের মিছিলের শুরু হয়। রানার সঙ্গে তাসকিন-হাসান থেকে শুরু করে তাইজুলও উইকেট শিকারে যোগ দেন। তাতে কুপোকাত উইন্ডিজ। প্রথকিমি. সেশনে তারা ৬৫ রান তুলতে হারায় ৭ উইকেট! দিন শুরু করেছিল ৭০ রানে ১ উইকেট নিয়ে। রানা একাই নেন ৪ উইকেট। হাসান নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন তাইজুল-তাসকিন। উইন্ডিজ এখনো পিছিয়ে ২৯ রানে। সামার জোসেফ ৫ ও কেমার রোচ ৬ রানে ক্রিজে অপরাজিত আছেন।
রানার চার উইকেট
চতুর্থ উইকেটের দেখা পেলেন নাহিদ রানা। আউট সাইড অফের ফুল টস বলে মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন আলঝারি। দারুণ ক্যাচ নেন মিরাজ। এটি রানার চতুর্থ উইকেট। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো চার উইকেটের দেখা পেলেন এই পেসার। উইন্ডিজ অষ্টম উইকেট হারালো। ক্রিজে রোচের সঙ্গী সামার জোসেফ। এখনো ৩৫ রান পিছিয়ে আছে উইন্ডিজ।
হাসানের জোড়া উইকেট
হাসানের আউট সাইড অফ থেকে ভেতরে ঢুকা বলে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন জশুয়া। লাভ হয়নি। বল আঘাত করে প্যাডে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিলেও তার বিপক্ষে যায়। ৫ রানে ফেরেন এই ব্যাটার। নিজের পরের ওভারেই আবার হাসানের আঘাত। এবার ফ্লিক করতে গিয়ে আউট হন সেট ব্যাটার কার্টে। বল ব্যাটের কানায় লেগে যায় উইকেটের পেছেন। ৪০ রানে ফেরেন কার্টে। ক্রিজে নতুন দুই ব্যাটার রোচ-জোসেফ।
তাইজুলের প্রথম উইকেট
তাইজুলের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন গ্রিভস। কিছুটা এগিয়ে এসে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন এই ব্যাটার। কিন্তু বল ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত করে উইকেটে। বোল্ড গ্রিভস। ১০৫ রানে ৫ উইকেট হারালো উইন্ডিজ। ২ রান করেন এই ব্যাটার। ক্রিজে কার্টের সঙ্গী জশুয়া।
উইকেটের দেখা পেলেন তাসকিন
রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে আউটসাইড অফে বল ছুঁড়েন তাসকিন। ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন আথানাজে। বল ব্যাটে লেগে আঘাত করে উইকেটে। ইনসাইড এজ! ২ রান করেন আথানাজে। ১০০ রানে চতুর্থ উইকেট হারালো উইন্ডিজ।
রানার গতিতে পরাস্ত হজ
১৪৩ কিলোমিটার গতিতে বল ছুড়েছিলেন নাহিদ। এক্সট্রা বাউন্স ছিল। তাতে পরাস্ত হজ। খোঁচা দিয়ে বসেন এই ব্যাটার। প্রথম স্লিপের দিকে যেতে থাকা বল ঝাঁপিয়ে পড়ে তালুবন্দি করেন। এটি নাহিদের তৃতীয় উইকেট। এর এক বল আগেই হজের ক্যাচ ফেলেছিলেন তাসকিন। ৩ রান করেন তিনি। ক্রিজে কার্টের সঙ্গী আথানাজে।
রানার আঘাতে ফিরলেন ব্র্যাথওয়েট
শুরুতেই নাহিদ রানার আঘাত। অফে করা শর্ট বলে পরাস্ত হন উইন্ডিজ অধিনায়ক। গালিতে সহজ ক্যাচ ধরেন বদলি ফিল্ডার জাকির হাসান। ব্র্যাথওয়ের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান। তৃতীয় দিন মাত্র ৬ রান যোগ করতে পারেন এই ব্যাটার। কার্টের সঙ্গী হলেন হজ।
পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিন মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ
তৃতীয় দিন সোমবারও (২ ডিসেম্বর) খেলা শুরু হলো ১৫ মিনিট আগে। প্রথম দিন দুই সেশন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় পরপর দুই দিন আগে খেলা শুরু হচ্ছে। ব্র্যাথওয়েট ৩৩ ও কার্টে ১৯ রানে। বাংলাদেশ আছে ব্যাকফুটে।
শেষ সেশনে উইন্ডিজের হাসি
দিনের শেষ সেশনে মাত্র ১ উইকেট হারিয়েছে উইন্ডিজ। ব্র্যাথওয়েট-কার্টে প্রতিরোধ গড়ে দিন শেষ করে আসেন। ব্র্যাথওয়েট ৩৩ ও কার্টে ১৯ রানে অপরাজিত আছেন। দুজনের জুটি থেকে আসে ৪৫ রান। বাংলাদেশের হয়ে ১টি উইকেট নিয়েছেন নাহিদ রানা। বাকি দুই সেশনে পড়েছে ৮টি উইকেট।
১৬৪ রানে অলআউট বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ থামলো ১৬৪ রানে। সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন সাদমান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে মিরাজের ব্যাট থেকে। ৯৫ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মিরাজ ক্রিজে আসেন। এরপর সাদমানও ফিরলে টেলএন্ডারদের নিয়ে লড়াই করতে থাকেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার আউটের পর বাংলাদেশ মাত্র ৪ রান করতে পারে। এ ছাড়া শাহাদাত ২২, তাইজুল ১৬ ও তাসকিন ৮ রান করেন। মাঝে লিটন-জাকের ১ রান করে ফেরেন। আগের দিন জয়-মুমিনুল ফেরেন শুরুতে। জয়ের ব্যাট থেকে ৩ রান আসলেও মুমিনুল খাতা খুলতে পারেননি। উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন সিলস, ৩ উইকেট নেন সামার জোসেফ।
বাংলাদেশ একাদশ
মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, শাহাদাত হোসেন দিপু, মুমিনুল হক, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), জাকের আলী অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানা।
উইন্ডিজ একাদশ
ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (অধিনায়ক), মিকাইল লুইস, কেসি কার্টি, কাভেম হজ, অ্যালিক অ্যাথানাজে, জাস্টিন গ্রিভস (উইকেটরক্ষক), জোশুয়া দ্য সিলভা, আলজারি জোসেফ, কেমার রোচ, জেডেন সিলস, শামার জোসেফ।
ঢাকা/রিয়াদ