জুলাই অভ্যুত্থানের ছোঁয়ায় উন্মোচিত হল ‘আবার এল বিপিএল’
‘‘খেলায় মাতো, সবাই মিলে, এলাকা কাপাও, ছক্কা চারে, বাংলার হৃদয়, উৎসবে নাচে, বিজয় উল্লাস, ঘরে ঘরে, লাল সবুজের পতাকা উড়ে, বাংলাদেশের আকাশজুড়ে, বিপিএলের ঝড়, দেশে এলো দিন বদল, আবার এলো বিপিএল…’’
এমন কথায় মিরপুর শের-ই-বাংলায় মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে উন্মোচিত হয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের থিম সং। জুলাই অভ্যুত্থানের ছোঁয়ায় গানটি তৈরি করে মুজা, হান্নান ও রাফা। গানের দুটি লাইন লিখেছেন প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস।
শের-ই-বাংলার মিডিয়া প্লাজার সামনে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। তার সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদসহ পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ছিলেন শহীদ মীর মুগ্ধর ভাই মীর স্নিগ্ধ।
এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। শুরুতেই ‘বল বীর, বল উন্নত মম শির’ আবৃত্তি করেন আবৃত্তিকার টিটো মুন্সি। আবৃত্তির পর স্বাগত বক্তব্য দেন বিপিএলের সদস্য সচিব ও বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
থিম সং ছাড়াও এদিন উন্মোচন বিপিএলের ‘থিম গ্রাফিতি’। জুলাই আন্দোলনের নানা স্মৃতির সঙ্গে বিভিন্ন স্লোগানে গ্রাফিতিগুলো তৈরি করা হয়। স্লোগানগুলোর মধ্যে অন্যতম, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’, ‘আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘কোটা নামের কুঠার দিয়ে মেধার পিঠে আঘাত কেন?’, ‘মোরা আকাশের মত বাধাহীন’, ‘পানি লাগবে পানি?’ অন্যতম।
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ বিপিএল আয়োজনে অন্তর্ভুক্তির জন্য ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টাকে। এ সময় তিনি বলেন, ‘‘যেহেতু আমরা নতুন বাংলাদেশের কথা বলছি, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে, রক্তের বিনিময়ে আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, সবকিছুকে আমরা নতুনভাবে সাজাতে চাই। নতুনভাবে সংস্কার করতে চাই। বিপিএল আয়োজনের মাধ্যমে ক্রিকেটের যে সংস্কার, সেটার প্রতিফলন দর্শকরা দেখতে পাবে।’’
এর আগে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে বিপিএলের মাসকট ‘ডানা-৩৬’ উন্মোচন করা হয়।
উল্লেখ্য, ফরচুন বরিশাল ও দুর্বার রাজশাহীর ম্যাচ দিয়ে ৩০ ডিসেম্বর শুরু হবে দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টটি। বিপিএলের একাদশ আসরে সাত দল অংশ নিচ্ছে। মোট ৪৬ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। খেলা হবে ঢাকা, সিলেট এবং চট্টগ্রামে। ফাইনাল ম্যাচ হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। বাড়তি একদিন রিজার্ভ হিসেবে রাখা হয়েছে।
৩০ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকায় প্রথম পর্বে মোট ৮ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিপিএল চলে যাবে সিলেটে। সিলেটে ছয় দিনে মোট ১২ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ৬ জানুয়ারি সিলেটে প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ জানুয়ারি হবে শেষ ম্যাচ।
এরপর বিপিএলের গন্তব্য চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামেও ছয় দিনে ১২ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ জানুয়ারি থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত চট্টগ্রামে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকায় হবে বিপিএলের শিরোপা নির্ধারণী পর্ব। গ্রুপ পর্বের পাঁচদিনে আরও ১০ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এলিমিনেটর, দুটি কোয়ালিফাইয়ার এবং ফাইনাল ম্যাচ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/রিয়াদ/এনএইচ