যেসব শর্তে ‘হাইব্রিড’ মডেলেই হচ্ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসন্ন আসর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলছিল তুমুল লড়াই। অবশেষে সেই লড়াইয়ের অবসান ঘটেছে। ভারতকে আর পাকিস্তান যেতে হচ্ছে না। পাকিস্তানও শর্ত জুড়ে দিয়েই ভারতকে ছাড় দিয়েছে। দুই দেশের চাওয়া মেনে নিয়েই আগামী বছরে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অনুমোদন দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
‘হাইব্রিড’ মডেলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ক্ষেত্রে দুই দেশের যেসব দাবি আইসিসি মেনে নিয়েছে সেগুলোর প্রথমটি হলো, ভারতের সবগুলো ম্যাচ হবে দুবাইয়ে। সেক্ষেত্রে ভারত গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনালে উঠলেও একই ভেন্যুতে হবে এই ইভেন্টের হাইভোল্টেজ দুই ম্যাচ। রোহিত শর্মার দল নক আউটেই ছিটকে গেলে যথারীতি পাকিস্তানেই হবে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।
ভারতের এই এক শর্তের বিপরীতে পাকিস্তানের দাবি, তারাও ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ভারত যাবে না। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক যৌথভাবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। সেক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কাতেই সবগুলো ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এবারের আসর ২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে চলবে ৯ মার্চ পর্যন্ত। এই আসরে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে আইসিসি র্যাংকিংয়ের আট দল অংশগ্রহণ করবে। সেখান থেকে প্রত্যেক গ্রুপের শীর্ষ দুই দল উত্তীর্ণ হবে সেমিফাইনালে। সেখান থেকে নিয়মানুযায়ী ফাইনাল।
উল্লেখ্য, ভারতকে নিজেদের দেশে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তারা প্রতিবেশি দেশটিকে প্রস্তাব দিয়েছিল লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলার, যেখান থেকে দুই দেশের দূরত্ব সবচেয়ে কম এবং নিরাপত্তার সমস্যা নেই। কিন্তু ভারত রাজি না হওয়ায় দুবাইতেই হলো দুই দেশের লড়াইয়ের সমাপন।
ঢাকা/বিজয়