হেনড্রিকসের সেঞ্চুরির পর ডুুসেনের ঝড়ে পাকিস্তানকে উড়াল দ. আফ্রিকা
সমীকরণ দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য সহজ ছিল। ২০৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় সেঞ্চুরিয়ান রেজা হেনড্রিকস যখন বিদায় নিলেন তখন ১৫ বলে ২২ রান লাগত। পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ জিততে প্রোটিয়ারা তখন অনুমিতভাবেই ফেভারিট। শেষটাতেও কোনো নাটক হলো না।
হেনড্রিকস ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বিদায় নেন ১১৭ রানে। সেখান থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন রাইসি ভন ডার ডুসেন। ৩৮ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ফিনিশারের দারুণ ভূতিমা পালন করেন এই ব্যাটসম্যান। তাতে ৩ বল আগে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেঞ্চুরিয়নে প্রথম ইনিংসে পুরোটাই ছিল সায়েমের ব্যাটে সাজানো। বাঁহাতি ওপেনার ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ে রান তুলেন। বাকিরা টুকটাক রান করে অবদান রেখেছেন তবে সায়েম এক পাশ আগলে স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করেন।
১১ চার ও ৫ ছক্কায় সাজান ক্যারিয়ার সেরা ৯৮ রানের ইনিংস। এর আগে ২৬ টি-টোয়েন্টিতে কোনো ফিফটি ছিল না তার। এবার ফিফটি ছোঁয়া ইনিংসটি সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারতেন। কিন্তু ২ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় তাকে।
আগের ম্যাচে রানের খাতা না খোলা বাবর এই ম্যাচে ২০ বলে ৩১ রান করেন। ৩ চার ও ১ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। শেষ দিকে ইরফান খানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের রান দুইশ পেরিয়ে যায়। ১৬ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩০ রান করেন। এছাড়া আব্বাস আফ্রিদি ৪ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় করেন ১১ রান।
বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ডায়ান গেলিম ও ওটনেইল বার্টমান।
২০২১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই মাঠেই ২০৫ রান করে ম্যাচ জিতেছিল পাকিস্তান। এবার আর পারল না তাড়া। স্কোরবোর্ডে বড় পুঁজি পেলেও হেনড্রিকস ও ডুসেনের ইনিংসের জবাব ছিল না তাদের। ২৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা চাপে পড়েছিল। সেখান থেকে ১৫৭ রানের জুটি গড়েন তৃতীয় উইকেটে। যা দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে রেকর্ড জুটি। তারা ভেঙেছেন এবি ডিভিলিয়ার্স ও রিচার্ড লেভির ১৩৩ রানের জুটির রেকর্ড।
জয়ের থেকে ১৫ রান দূরে থাকতে হেনড্রিকস বিদায় নেন ১১৭ রানে। ৭ চারের সঙ্গে ১০ ছক্কা হাঁকিয়ে ৬৩ বলে সাজান ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি। আব্বাস আফ্রিদির বলে ইরফান খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। সঙ্গী হারানোর পর পথ ভোলেননি ডুসেন। ৩৮ বলে ৬৬ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ১১৭.৬৮ স্ট্রাইট রেটে সাজানো ইনিংসটিতে ছিল ৩ চার ও ৫ ছক্কার মার।
পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে জাহানাদ খান নেন ২ উইকেট।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪১৬ রান হয়েছে, যা দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ।
১৪ ডিসেম্বর সিরিজের শেষ ম্যাচ জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন