পাকিস্তানের হারের দিনে বাবরের তিন মাইলফলক

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দাঁড়াতেই পারছে না পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও তাদেরকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে প্রোটিয়ারা। ম্যাচে দল হারলেও তিনটি রেকর্ড স্পর্শ করেছেন বাবর আজম।
এ ম্যাচে ২০ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলার মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন বাবর। ব্যাট করতে নামার আগে পাকিস্তানের জার্সিতে বাবরের রান ছিল ১৩ হাজার ৯৯৮। সেখান থেকে চার মেরেই মাইলফলক স্পর্শ করেন।
পাকিস্তানের হয়ে এর আগে ১৪ হাজার রানের ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন চার কিংবদন্তি ক্রিকেটার ইনজামাম–উল–হক, ইউনিস খান, মোহাম্মদ ইউসুফ ও জাভেদ মিঁয়াদাদ। সে হিসেবে পঞ্চম পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে ১৪ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করলেন বাবর।
১৪ হাজার রানে পৌঁছাতে বাবরের লেগেছে ৩৩৮ ইনিংস। ৫৫১ ইনিংসে ২০ হাজার ৫৮০ রান নিয়ে সবার ওপরে ইনজামাম। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন ইউনিস খান। তার রান ৪৯১ ইনিংসে ১৭ হাজার ৭৯০। ৪৩২ ইনিংসে ১৭ হাজার ৩০০ রান নিয়ে তৃতীয় ইউসুফ। চারে থাকা মিঁয়াদাদের সংগ্রহ ৪০৭ ইনিংসে ১৬ হাজার ২১৩ রান।
এই ইনিংস দিয়ে স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতেও একটি রেকর্ড গড়েছেন বাবর। এই সংস্করণে দ্রুততম ১১ হাজার রানের রেকর্ড এখন তার। ২৯৮ ইনিংসে বাবরের রানসংখ্যা এখন ১১ হাজার ২০। বাবর ছাড়িয়ে গেছেন ক্রিস গেইলের রেকর্ড। মাইলফলকটিতে পৌঁছাতে গেইলের লেগেছিল ৩১৪ ইনিংস। বাবর তৃতীয় যে মাইলফলকটি স্পর্শ করেছেন সেটি হলো, পেশাদার ক্রিকেটে ২৬ হাজার রানের ঘর।
বাবরের তিন মাইলফলকের ম্যাচে সাইম আইয়ুবের ৫ ছক্কা ও ১১ চারে ৫৭ বলে ৯৮ রানের ইনিংস ও ইরফান খানের ১৬ বলে ৩০ রানে ভর করে দুইশ ছাড়ানো স্কোর করে পাকিস্তান। কিন্তু রিজা হেনড্রিকসের ১০ ছক্কা ও ৭ চারে ৬৩ বলে ১১৭ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংসে সিরিজ খোয়াতে হয় পাকিস্তানকে।
ঢাকা/বিজয়