৪ উইকেট নেওয়ার রহস্য জানালেন মাহেদী
শুরুটা নিকোলাস পুরানকে দিয়ে। শেষ রস্টন চেজকে দিয়ে। মাঝে পেয়েছেন জনসন চার্লস ও আন্দ্রে ফ্লেচারের উইকেট। ৪ উইকেট এর আগে মাহেদী হাসান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনোই পাননি। কিংসটাউনে অফস্পিনার মাত্র ১৩ রানের খরচে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশেকে দারুণ ম্যাচ জিতিয়েছেন। যা তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের নায়ক মাহেদী হাসান নিজের বোলিং নিয়ে বলেছেন, ‘‘নতুন বলে তো সব সময় বল করে থাকি। আমি আমার প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই এগুচ্ছিলাম। ওদের ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিল, আমার চিন্তা ছিল ওদেরকে সহজে শট খেলতে যেন না দেই। কারণ, ওরা অনেক শক্তিশালী।’’
মাহেদী ইনিংসের শুরুটা রাঙালেও শেষটা দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন হাসান মাহমুদ। ৬ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের জন্য ১০ রান লাগত। ক্রিজে রোভম্যান পাওয়েল থাকলেও হাসান দারুণ বোলিংয়ে তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে অনায়াস জয় এনে দেন ৭ রানে।
হাসানের ওপর নিজের বিশ্বাসের কথা জানাতে গিয়ে মাহেদী বলেছেন, ‘‘হাসান আবারও প্রমাণ করেছে। আমার মনে আছে আয়ারল্যান্ড সিরিজে ডেথ ওভারে একটা ম্যাচ জিতিয়েছিল। আমার ওই অনুভূতি আবার চলে আসছিল। আমি ভেবেছিলাম সে হয়তোবা পারবে। আমার বিশ্বাস ছিল সে হয়তো পারবে।’’
বল হাতে ৪ উইকেট নেওয়ার আগে মাহেদী ২৪ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন। মাহেদীর বিশ্বাস যেভাবে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দল পারফর্ম করেছে সেটা অব্যাহত থাকলে সিরিজ জয় অসম্ভব কিছু নয়, ‘‘আমরা ওয়ানডে সিরিজটা ভালোভাবে শেষ করতে পারিনি। বিজয়ের মাসে টি-টোয়েন্টিটা জয় দিয়ে শুরু করলাম। সিরিজ জেতার জন্য যা কিছু করা লাগে করতে প্রস্তুত আছি।’’
ম্যাচে লিটন গোল্ডেন ডাকের তিক্ত স্বাদ পেলেও তার অধিনায়কত্ব হয়েছে দারুণ। বোলিং পরিবর্তন, ফিল্ডিং সেট আপসহ যখন যে বিষয়টির প্রয়োজন হয়েছে সেটাই করেছেন দারুণভাবে। মাহেদীও একই কথা বলেছেন গণমাধ্যমে, ‘‘সব মিলিয়ে যে পরিকল্পনা করেছে, লিটনের অধিনায়কত্ব অসাধারণ ছিল। সে নেতৃত্বে সাহসিকতা দেখিয়েছে। লিটন যে সময় যেটা করা দরকার ছিল সেটা করার চেষ্টা করেছে।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল