জয়ে বছরের শেষটা রাঙানোর অপেক্ষা
যেভাবে দুই হাজার চব্বিশ শুরু হয়েছিল, সেভাবেই কি শেষ হবে? নাহ, এমন চাওয়া নিশ্চয়ই নেই বাংলাদেশ দলের। কেননা দুই হাজার তেইশ পেরিয়ে চব্বিশ শুরু হয়েছিল পরাজয় দিয়ে। শেষটা নিশ্চয়ই এমনটা চাইবে না দল। যদি এমনটা হয়ে যায় তাহলে শুরু ও শেষের পার্থক্য থাকল কই?
সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে আগামীকাল (শুক্রবার) ভোরে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিন টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে। দুই দলই এই ম্যাচ দিয়ে শেষ করবে আন্তর্জাতিক বর্ষপঞ্জিকা। বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচটি বড় কিছুর হাতছানি। টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে। শেষ ম্যাচটি যদি জেতে তাহলে হোয়াইটওয়াশ করতে পারবে ক্যারিবীয়ানদের। তাহলে জয়ে বছর শেষ করতে পারবে বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের এই বছর কেমন গেল সেটাই প্রশ্নের। এখন পর্যন্ত ৪২ আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ১৭ ম্যাচে। হেরেছে ২৫ ম্যাচ। দুই হাজার তেইশ সালে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল ৫০টি। যেখানে জয় ছিল ২৪টি, পরাজয় ২২টি। পরিসংখ্যানের হিসেবে শেষ ম্যাচে জয় পেলেও গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ।
এই বছর ১০ টেস্টে মাত্র ৩ জয় বাংলাদেশের। হেরেছে ৭টি। পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে ঐতিহাসিক দুই জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে কিংসটনে জয় পায় বাংলাদেশ। এছাড়া শ্রীলঙ্কা, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে প্রতিটি সিরিজে।
এ বছর তুলনামূলক ওয়ানডে কম খেলেছে বাংলাদেশ। হারের বৃত্তে আটকে গেছে নিজেদের সবচেয়ে সাচ্ছন্দ্যের ফরম্যাটেও। ৯ ম্যাচে জয় মাত্র তিনটিতে। শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছরে এই ফরম্যাটেই সবচেয়ে বেশি ২৩ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে ১১ জয়ের বিপরীতে পরাজয় ১২টি। বছর শেষ হবে আরেকটি টি-টোয়েন্টি দিয়ে। যদি ধরে নেই, শেষ ম্যাচটিতে বাংলাদেশ জয় পাবে তাহলে জয়-পরাজয় সমান সমান। সেক্ষেত্রে বলা যেতে পারে কেবল টি-টোয়েন্টিতেই এই বছর সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৪৮ দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাঁচবার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করেছে। সেই তালিকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ যোগ হয় কিনা সেটাই দেখার। সঙ্গে বছরের শেষটা জয়ে রাঙাতে পারলে আত্মবিশ্বাসে কিছুটা জ্বালানি পাবে বাংলাদেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল