কাওয়ালি সুরে উড়লো ‘বিপিএলের ডানা’
ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
দেশীয় ব্যান্ডের পারফর্ম শেষে প্রধান আকর্ষণ রাহাত ফতেহ আলী খানের অপেক্ষা শুরু হয়। আতশবাজির ঝলকানি শেষে রাত ৯টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা কাওয়ালির সুরে মাত করে রেখেছিলেন পাকিস্তানি এই শিল্পী। গান গেয়েছেন তার ছেলে শাজমান খানও। যিনি আর্মি স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো বাবার সঙ্গী হয়ে মঞ্চ মাতিয়েছিলেন।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শের-ই-বাংলায় বিপিএল মিউজিক ফেস্টে পারফর্ম করেন রাহাত ফতেহ আলী। তার কাওয়ালির সুরে উড়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ডানা। প্রথমবারের মতো এবারের আসরে ‘ডানা ৩৬’ নামে মাসকট উন্মোচন করা হয়।
তিন ঘণ্টা পারফর্ম করার কথা থাকলেও দুই ঘণ্টার মতো পারফর্ম করেছেন রাহাত ফতেহ আলী। তার বিখ্যাত সব গান দিয়ে মাতিয়ে রেখেছিলেন দর্শকদের। শের-ই-বাংলায় পারফর্মের জন্য বিসিবি তাকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক দিচ্ছে।
বিকেল ৪টা নাগাদ শুরু হয় কনসার্ট। শুরুতেই মঞ্চ মাতাতে ওঠেন অ্যাভয়েড রাফা। তখন শের-ই-বাংলার অধিকাংশ আসনই ছিল ফাঁকা। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দর্শকদের উপস্থিতি।
রাফার পারফরম্যান্স শেষে দেওয়া হয় মাগরিব নামাজের বিরতি। বিরতির পর যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, বিসিবি প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ ওঠেন মঞ্চে। আসিফ বিপিএল উদ্বোধনের ঘোষণা দেন। এরপর মঞ্চে ডেকে নেওয়া হয় জুলাই অভ্যুত্থানে আহত কয়েকজনকে। সবাই মিলে বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিশু আরাফাতের মৃত্যুতে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জুলাই গণ আন্দোলনের ওপর বিশেষ প্রদর্শনী দেখানো হয়।
এরপর মঞ্চে আসেন জেফার। তার সঙ্গে যোগ দেন মুজা ও সঞ্জয়। ঘণ্টাব্যাপী গান করেন তারা। তাদের পারফরম্যান্স শেষে জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলস আসে মঞ্চে। মাইলসের পারফরম্যান্স শেষে জেফার-মুজারা বিপিএলের থিম সং পারফর্ম করেন। এরপর আধঘণ্টার মতো মিউজিক ফেস্টের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন। তার পরেই বহুল কাঙ্ক্ষিত রাহাত ফতেহ আলী খানের পারফরম্যান্স শুরু হয়।
জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য একটি বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে বিসিবি। “জোন ৩৬” নামে এই জোনে ১০০টি আসন সংরক্ষিত ছিল আহতদের জন্য। সেখানে তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এখানেই শেষ নয়। এবার চট্টগ্রাম ও সিলেটে হবে বিপিএল মিউজিক ফেস্ট। নানা আকর্ষণ হাজির হচ্ছে এবারের বিপিএল। মাসকট ছাড়াও ফিফা ও আইসিসি বিশ্বকাপের মতো হবে ট্রফি ট্যুর।
ফরচুন বরিশাল ও দুর্বার রাজশাহীর ম্যাচ দিয়ে ৩০ ডিসেম্বর শুরু হবে দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট প্রতিযোগিতাটি। বিপিএলের একাদশ আসরে সাত দল অংশ নিচ্ছে। মোট ৪৬ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। খেলা হবে ঢাকা, সিলেট এবং চট্টগ্রামে। ফাইনাল ম্যাচ হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। বাড়তি একদিন রিজার্ভ হিসেবে রাখা হয়েছে।