মাহমুদউল্লাহর দানবীয় ইনিংস, বিজয় বললেন, ‘চিন্তার কারণ’
স্কোরবোর্ডে ৬১ রান জমা না হতেই ফরচুন বরিশাল হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। তবে আশার আলো দেখাচ্ছিল রানরেট। পঞ্চম উইকেটের পতনের সময় দলটির রানরেট ছিল প্রায় দশ। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর ফাহিম আশরাফ অতিমানবীয় ইনিংস খেলে ধ্বংসস্তুপ থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষ দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় তাইতো প্রশংসায় ভাসালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) উদ্বোধনী ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলায় ১৯৭ রান করেও বরিশালের কাছে হারে ৪ উইকেটে, তাও ১১ বল আগেই।
শাহীন শাহ আফ্রিদীর সঙ্গে ২৫ বলে ৫১ যাতে মাহমুদউল্লাহর অবদান ৮ বলে ২৩, ফাহিম আশরাফের সঙ্গে মাত্র ৩৫ বলে ৮৮ রানের জুটি, যাতে মাহমুদউল্লাহর অবদান ছিল ১৪ বলে ৩১ রান। এই দুই জুটি পদ্মা পাড়ের দলকে ডুবিয়ে ছাড়ে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিজয় বলেন মাহমুদউল্লাহ জানেন কীভাবে এমন ম্যাচ শেষ করতে হয়, “রিয়াদ ভাই বাংলাদেশের হয়ে এরকম ম্যাচ অনেক খেলেছেন। তাদের কাছ থেকে এমন ম্যাচ জয় আমরা দেখেছি। উনারা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় যে দলের হয়েই খেলেন এভাবে ম্যাচ জিতিয়েছেন বা ওই দলকে ভালো কিছু এনে দিয়েছেন। আসলে উনি জানেন এবং ওনার ওই বিশ্বাসটা আছে যে কিভাবে এমন ম্যাচ শেষ করতে হয়।”
“উনি এখন দারুণ ফর্মে আছেন। ভালো ইনিংস খেলছেন তার জন্য শুভকামনা। আশা করব উনি বাংলাদেশ দলের হয়ে এমন ইনিংস আরও উপহার দেবেন। এরকম একজন ব্যাটার যখন রান তাড়ার সময় ক্রিজে থাকবেন তখন প্রতিপক্ষ দলের জন্য সবসময়ই চিন্তার কারণ হয় যেমনটা আজ আমাদের হয়েছে। শেষ পর্যন্ত উনিই খেলাটা শেষ করেছেন” -আরও যোগ করেন রাজশাহীর ক্যাপ্টেন।
মাহমুদউল্লাহ ২৬ বলে ৫৬, ফাহিম ২১ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। মাহমুদউল্লাহ ফিফটি করেন ২৩ বলে আর ফাহিম ২১ বলে। এ ছাড়া তাওহীদ হৃদয় ২৩ বলে ৩২, শাহীন ১৭ বলে ২৭ রান করেন।
হারের কারণ হিসেবে নিজেদের বোলিংয়ে অভিজ্ঞতার ঘাটতি দেখছেন বিজয়, “আমার মনে হয় বোলিংয়ে অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে যদি তাসকিনকে বাদ দিয়ে ধরি। সে অসাধারণ বোলিং করেছে। ওর সঙ্গে কোনো একটা বোলার যদি ভালো এক্সিকিউশন করতে পারতো ভালো ৪টা ওভার যদি শেষ করতে পারতো আমার মনে হয় ম্যাচটা আমাদের কাছে থাকতো।”
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল