অবশেষে ওশান থমাসের ওভার শেষ হলো!

নাঈম ইসলামকে ভাগ্যবান বলতেই হবে। বিপিএলে তার দল পাওয়া নিয়ে যখন অনিশ্চয়তার ভেতরে ছিল, সেখানে চিটাগং কিংস হাত বাড়িয়ে দেয়। প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে তাকে দলে ভেড়ায় চিটাগং।
আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, তাকে ইনিংস উদ্বোধনেও পাঠিয়ে দেয় চিটাগং। কিন্তু ওশানে থমাসের প্রথম বলেই হাওয়ায় ক্যাচ ভাসালেন। মিড অনে দাঁড়িয়ে সেই ক্যাচও নিলেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। নাঈম যখন ক্রিজ ছেড়ে ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটছিলেন তখন আম্পায়ার তানভীর ইসলাম তাকে ডেকে আনেন। থমাসের প্রথম বলটি ছিল নো। তৃতীয় আম্পায়ার নো বল ডাকায় নাঈম আরেকটি জীবন পান।
আলোচনাটা নাঈম নিয়ে শুরু হলেও এরপর যা হলো সেখানে ওশানে থমাস লাইমলাইট কেড়ে নিলেন। এক ওভার হাত ঘুরাতে ছয় বলই বৈধ যথেষ্ট। সেখানে ক্যারিবীয়ান পেসার ২২ গজে হাত ঘোরালেন ১২ বার। ছয় বৈধ বল করতে ১২ বল করেছিলেন এই পেসার।
শুরুটা নো বল দিয়ে। এরপর ডট বল। দ্বিতীয় বল করতে গিয়ে ওশানে হাত ঘুরান পাঁচবার। ভাবা যায়? ছক্কার সঙ্গে নো বল। পরের দুইটি ওয়াইড। চতুর্থটি আবার নো বল। সঙ্গে চার। এরপর ডট বল। প্রথম দুই বলেই খুলনার ইনিংসে রান ১৫। স্বীকৃত ক্রিকেট প্রথম দুই বলে ১৫ রানের ঘটনা আছে কিনা সেসব রেকর্ড আসলে রাখা হয় না। এবার প্রথম হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
তৃতীয় বলটি ছিল ডট। চতুর্থ বলে আবার নো। পরের বলে ২ রান। পঞ্চম বলে নাঈম ইসলামের উইকেট তুলে নেন ডানহাতি পেসার। এরপর শেষ বলটি ডট। সব মিলিয়ে প্রথম ওভারে ১৮ রান খরচ করেন এই বোলার।
মিরপুরে এর আগেও ওশানে থমাস এমন কিছুর সাক্ষী হয়েছিলেন। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বাংলাদেশ সফরে এসে এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পরপর দুই ওভার শেষ করেছিলেন ৯ বল করে। দুই ওভারেই ছিল নো বল ও ওয়াইডের ছড়াছড়ি।
ছয় বছর পর এবার নিজের ওভার ১২ বলে শেষ করলেন তিনি। যাক, অবশেষে শেষ তো হলো!
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল