বিপিএলে এবার ‘টাইমড আউট’ নাটক
মেহেদী হাসান মিরাজের চোখে মুখে হাসি। পাশে থাকা আফিফ হোসেন, নাঈম শেখরা তাকে জোর করছিলেন। অবয়ব দেখে বোঝা যাচ্ছিল অধিনায়ককে বলছিলেন, ‘‘নে…নে।’’ নতুন ব্যাটসম্যানের আসতে দেরি। চাইলেই খুলনা টাইগার্স টাইমড আউট নিতে পারেন।
চিটাগং কিংসের ব্যাটসম্যান হায়দার আলী আউট হলে পরের ব্যাটসম্যানের আসার ‘‘নাম-গন্ধও’’ ছিল না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী ব্যাটসম্যানকে অবশ্যই ৯০ সেকেন্ডের ভেতরে ক্রিজে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু চিটাগং কিংসের ব্যাটসম্যান ও’ কনেল উইকেটে গেলেন প্রায় তিন মিনিট পর। মাঠে এতো দ্রুত তাকে নামতে হবে তা হয়তো কল্পনাও করেননি। প্যাড-গ্লাভস পরে হচ্ছিলেন প্রস্তুত।
সতীর্থদের জোরাজুরিতে মিরাজ টাইমড আউটের আবেদন করলেন। মাঠের দুই আম্পায়ার তানভীর আহমেদ ও রাভীন্ড্রা উইমালসিরি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ব্যাটসম্যান ও’ কনেলকে আউট দেন। টাইমড আউটের নিয়ম অনুযায়ী ও’ কনেল আউট।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পেয়ে ব্যাটসম্যান যখন ফিরে যাচ্ছিলেন তখন মিরাজ আবার তাকে ডেকে আনেন। প্রতিপক্ষ আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে আম্পায়ারও তাকে খেলার অনুমতি দেন। কিন্তু বাঁহাতি ব্যাটসম্যান টিকলেন কেবল ১ বল। স্পিনার মোহাম্মদ নেওয়াজকে উড়াতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই।
ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম টাইমড আউট বাংলাদেশই করেছিল। তাই টাইমড আউট বাংলাদেশ ক্রিকেটে অপরিচিত একদম নয়। এবার বিপিএলেও এমন সাফল্যের সুযোগ পেয়েছিল খুলনা টাইগার্স। কিন্তু মিরাজ নিজের সিদ্ধান্ত পাল্টে ব্যাটসম্যানকে খেলার সুযোগ দেন।
২০২৩ বিশ্বকাপে দিল্লিতে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুউজ ক্রিজে আসতে দেরি করায় বাংলাদেশ টাইমড আউটের আবেদন করে। আম্পায়ারও বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দিয়ে তাকে টাইমড আউট দেন। ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ টাইমড আউট নিলে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব নড়েচড়ে বসে। ওয়ানডে ক্রিকেটে টাইমড আউটের নিয়ম ২ মিনিট। টেস্ট ক্রিকেটেও তাই।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল