ঢাকা     শুক্রবার   ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ১৯ ১৪৩১

মাহিদুলের ফিফটির রেকর্ড, শামীমের ঝড়ো ইনিংস

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১১, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪  
মাহিদুলের ফিফটির রেকর্ড, শামীমের ঝড়ো ইনিংস

দুই দলের দুই ক্রিকেটার ঝড় তুললেন। একজন ২২ বলে করলেন ৫৯ রান। আরেকজন ৩৮ বলে ৭৮। একপেশে ম্যাচ শেষে হাসতে পারলেন কেবল একজনই।

খুলনা টাইগার্স ও চিটাগং কিংসের ম্যাচে খুব একটা উত্তাপ ছড়াল না। চিটাগংকে ৩৭ রানের ব্যবধানে হারিয়ে বিপিএল সফর শুরু করেছে খুলনা। চিটাগংয়ের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনা ৪ উইকেটে ২০৩ রানের বিশাল পুঁজি পায়। জবাব দিতে নেমে চিটাগং কিংস ১৬৬ রানের বেশি করতে পারেনি।

ম্যাচে সব আলো কেড়ে নিয়েছেন খুলনার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও চিটাগং কিংসের শামীম হোসেন পাটোয়ারী। মাহিদুল বিপিএলে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটি তোলার রেকর্ড নিজের করে নেন। ছক্কার বৃষ্টি নামিয়ে মাত্র ১৮ বলে করেন ফিফটি। যেখানে ছিল ১ চার, ৬ ছক্কা। তার দোর্দণ্ড প্রতাপে শেষ ঝড়ে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে খুলনার রান পৌঁছে গেল ২০৩-এ। এর আগে ১৯ বলে ফিফটি ছিল রনি তালুকদারের।

আরো পড়ুন:

জবাব দিতে নেমে চিটাগং কিংসের শামীম হোসেন পাটোয়ারী স্রোতের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ৩৮ বলে ৭৮ রান করেন ৭ চার ও ৫ ছক্কায়। তার সতীর্থরা যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন, তখন শামীম একাই লড়াই করেন। তাতে কমে আসে পরাজয়ের ব্যবধান। ১৮.৫ ওভারে ১৬৬ রানে থেমে যায় চিটাগংয়ের রান।

মাহিদুল বাদে খুলনার হয়ে ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়ান উইলিয়াম বসিসটো। ৫০ বলে ৭৫ রান করেন ৮ চার ও ৩ ছক্কায়। দুজনের পঞ্চম উইকেট জুটিতেই খুলনার ইনিংসের শেষের চিত্র পাল্টে যায়। মাত্র ৩৫ বলে দলীয় সংগ্রহে ৮৬ রান যোগ করেন দুজন। এর আগে খুলনা টাইগার্সের পঞ্চম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রান ছিল ৮২। ব্যাটসম্যান ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও ইব্রাহিম জাদরান।

চিটাগং কিংসের হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন আলিস আল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ। শরিফুল ছিলেন বিবর্ণ। ৪৭ রানে ছিলেন উইকেটশূন্য।

লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চিটাগং। ৭৫ রান তুলতে হারায় ৮ উইকেট। জয়ের পাল্লা তখন ভারী হয়ে যায় খুলনার। সেখান থেকে শামীম ও আলিস আল ইসলামের ৭৭ রানের জুটি পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়ে আনেন।

বল হাতে পেসার আবু হায়দার রনি ৪৪ রানে পেয়েছেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট নেন নেওয়াজ।

এদিকে উত্তাপহীন ম্যাচে টাইমড আউট নাটক ও ওশানে থমাসের ওভার ‘‘শেষ’’ না হওয়ার ঘটনা হয়েছে। ইনিংসের প্রথম ওভার শেষ করতে ১২ বল করেছিলেন ওশানে থমাস। এরপর তাকে আর বোলিংয়ে আনেননি মিরাজ। এরপর ব্যাটসম্যান ও’ কনেলকে টাইমড আউট করেও পরে ফিরিয়ে আনেন মিরাজ।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়