১২ বলের ওভার ও টাইমড আউট নিয়ে ব্যাখ্যা
টাইমড আউট থেকে শুরু করে ১২ বলের ওভার; বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় দিন তৃতীয় ম্যাচেই ঘটলো অদ্ভুতূড়ে ঘটনা। দিয়েছে আলোচনার জন্ম।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) খুলনা টাইগার্স-চট্টগ্রাম কিংস ম্যাচে এ সব ঘটনা ঘটে। প্রথম ইনিংসে খুলনার ওশান থমাস ১২ বলের ওভারে আলোচনার জন্ম দেন।
থমাসের শুরুটা নো বল দিয়ে। এরপর ডট বল। দ্বিতীয় বল করতে গিয়ে ওশানে হাত ঘুরান পাঁচবার। ছক্কার সঙ্গে নো বল। পরের দুইটি ওয়াইড। ২ বলে দেন ১৫ রান। তৃতীয় বলটি ছিল ডট। চতুর্থটি আবার নো বল। সঙ্গে চার। এরপর ডট বল। প্রথম দুই বলেই খুলনার ইনিংসে রান ১৫। তৃতীয় বলটি ছিল ডট। চতুর্থ বলে আবার নো। পরের বলে ২ রান। পঞ্চম বলে নাঈম ইসলামের উইকেট তুলে নেন ডানহাতি পেসার। এরপর শেষ বলটি ডট। সব মিলিয়ে প্রথম ওভারে ১৮ রান খরচ করেন এই বোলার।
তার ১২ বলের ওভার নিয়ে খুলনার কোচ তালহা জুবায়ের বলেন, “আমি কখনও দেখি নাই এক বলে ১৫ রান, নো বল। ওশানে থমাসের গঠনটাও দেখবেন খুবই বাল্কি (মোটা), লম্বা-চওড়া। সো ওকে আসলে- এই ধরনের প্লেয়ার যারা থাকে তারা এ রকম থাকে এবং ওশানে থমাসের ফিটনেসে একটু ঘাটতি আছে আমার কাছে মনে হয় অ্যাজ এ ফাস্ট বোলার।”
তার বোলিংয়ের ভিডিও দেখার কথাও জানান তালহা, “সত্যিকার অর্থে প্রথম বলে যখন উইকেট পড়ে গেছে, তারপর যখন হঠাৎ করে দেখলাম নো বল এবং ওইটা নিয়ে আমার একটু ডাউট আছে কারণ ওটার কোনো রিপ্লে আমরা দেখতে পাইনি যে বলটা আসলেই নো বল ছিল কি না। সো ওইটার রিপ্লে তারা দেখায়নি, ওইটার রিপ্লে আমি দেখতে চাইবো যে বলটার ভিডিও আমি চাই।”
প্রতিপক্ষ চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুনের কণ্ঠে ১২ বলের ওভার পেয়েও কাজে না লাগাতে পারার আক্ষেপ কাজ করছে, “আমাদের অবশ্যই এই সুবিধা নেওয়া উচিত ছিল। ২০০ রান তাড়ায় ১ বলে ১৫ রান এটা আমাদের অ্যাডভান্টেজ ছিল। কিন্তু আমরা কাজে লাগাতে পারিনি আর আমি আমার ক্যারিয়ারে এমন ঘটনা আগে দেখিনি।”
দ্বিতীয় ইনিংসের চট্টগ্রামের ব্যাটার ও’ কনেল নামতে দেরি করায় টাইমড আউট নেন খুলনার অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। টি-টোয়েন্টির নিয়মনুযায়ী ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়। ও’ কনেল নেন ৩ মিনিট। আম্পায়ার আউট দেয়ায় ফিরেও যাচ্ছিলেন তবে তাকে আবার ফিরিয়ে এনে হৃদয় জিতে নেন মিরাজ।
তার প্রশংসা করে চট্টগ্রামের অধিনায়ক মিথুন বলেন, “আসলে মিরাজ অনেক বড় মনের পরিচয় দিয়েছে। এখানে অবশ্যই মিরাজকে ক্রেডিট দিতে হবে।”
এত দ্রুত উইকেট পড়বে ভাবতে পারেননি ব্যাটার ও’ কনেল। মিথুনের ভাষ্য, “টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এমন হওয়া উচিত না। একজন ব্যাটারের সবসময় রেডি থাকা উচিত। ও রেডি হতে লেট করেছে, হয়তো বুঝতে পারেনি এত দ্রুত উইকেট পড়বে এজন্য রিল্যাক্সে রেডি হচ্ছিল। এজন্যই ওই আসতে দেরি হয়েছে।”
“আমি মনে করি মিরাজ দারুণ কাজ করেছে প্রশংসা অবশ্যই ওর প্রাপ্য। আর এটা তো ক্রিকেটের রুলস, টাইম মতো না গেলে ফিল্ডিং সাইড আপিল করবেই। কিন্তু ও যখন রিটার্ন করছে জিনিসটাতে ওকেই ক্রেডিট দিতে হবে। ডিসিশনটা তো সম্পূর্ণ ওর কল ছিল।”
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল