ঢাকা     রোববার   ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২১ ১৪৩১

১৯ বছর পর নিউ জিল্যান্ডে জিতল শ্রীলঙ্কা

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৩, ২ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১৩:৫৫, ২ জানুয়ারি ২০২৫
১৯ বছর পর নিউ জিল্যান্ডে জিতল শ্রীলঙ্কা

নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে সবশেষ ২০০৬ সালে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। এরপর গেল ১৯ বছরে আর জয় পায়নি তারা। এবার তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুইটি হেরে আগেই সিরিজ হাতছাড়া করে সফরকারীরা। হোয়াইটওয়াশের সামনে ছিল তারা। তবে আজ বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি, ২০২৪) শেষটায় নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তাতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর পাশাপাশি ১৯ বছর পর কিউইদের মাটিতে জয়ও পেয়েছে তারা।

নেলসনে আগে ব্যাট করতে নেমে কুসল পেরেরার সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ২১৮ রান করে শ্রীলঙ্কা। তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১১ রানে থামে নিউ জিল্যান্ড। ৭ রানের জয়ে শেষটা রাঙায় শ্রীলঙ্কা।

এই ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে কুসল পেরেরা ছাড়িয়ে যান কুসল মেন্ডিসকে। এটা ছিল তার ১৬তম পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস। অন্যদিকে দুই দলের মোট রান হয়েছে ৪২৯টি। যা শ্রীলঙ্কা ও নিউ জিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

শ্রীলঙ্কার প্রথম উইকেট পতনের পর মাঠে নামেন কুসল পেরেরা। তিনি আউট হন গিয়ে ১৯তম ওভারে। এর মধ্যে ৪৬ বল মোকাবিলা করে ১৩টি চার ও ৪ ছক্কায় ১০১ রানের ইনিংস খেলে যান। যা তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। তিনি ছাড়া অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা ২৪ বলে ১টি চার ও ৫ ছক্কায় ৪৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। ২২টি রান করেন কুসল মেন্ডিস। তাতে শ্রীলঙ্কার রান ২১৮ পর্যন্ত যায়।

জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালোই করে শ্রীলঙ্কা। ৭.১ ওভারে তুলে ফেলে ৮১ রান। এই রানে টিম রবিনসন ফিরেন ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ রানের ইনিংস খেলে। এরপর অবশ্য নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিকরা। মার্ক চ্যাপম্যান ৯, গ্লেন ফিলিপস ৬ করে আউট হন। একপ্রান্ত আগলে লড়াই করা রাচীন রবীন্দ্র আউট হন ৫ চার ও ৪ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৯ রানের ইনিংস খেলে। এরপর ড্যারিল মিচেল ১৭ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হলে জয়ের বন্দর থেকে ছিটকে যেতে থাকে ব্ল্যাক ক্যাপসরা।

শেষ দিকে জাকারি ফলকেস অপরাজিত ২১ ও মিচেল স্যান্টনার অপরাজিত ১৪ রানের ইনিংস খেলে কেবল ব্যবধান কমান। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ২১১ রানে থামে নিউ জিল্যান্ড।

বল হাতে চারিথ আসালঙ্কা ৪ ওভারে ৫০ রান দেয় ৩টি উইকেট নেন। আর হাসারাঙ্গা ৩৮ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।

ম্যাচসেরা হন সেঞ্চুরিয়ান কুসল পেরেরা। আর ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন জ্যাকব ডাফি।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়