ঢাকা     রোববার   ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২১ ১৪৩১

হেলিকপ্টর শটের গল্প শোনালেন মাহিদুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৯, ২ জানুয়ারি ২০২৫  
হেলিকপ্টর শটের গল্প শোনালেন মাহিদুল

শরিফুল ইসলামের ওয়াইড ইয়র্কার বল। এর আগে তাকে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এবারও জিতলেন মাহিদুল। একটু পেছনে গিয়ে জায়গা বানিয়ে খেললেন ‘হেলিকপ্টার’ শট। ভারতের অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি পেসারদের গতি কাজে লাগিয়ে কেবল টাইমিং মিলিয়ে যেই শট খেলতেন অনায়েসে। মাহিদুল সেই শট খেলে তাকে মনে করালেন। সঙ্গে প্রশ্নও তুললেন! শটটা খেললেন কিভাবে?

ম্যাচে মাহিদুল ২২ বলে ৫৯ রান করেন ১ চার ও ৬ ছক্কায়। ছয়ে নেমে শেষ দিকে ঝড় তোলার কাজটা দারুণভাবে করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ওই ইনিংস খেলার পথে শরিফুলকে হেলিকপ্টার শটে ছক্কা উড়ান। বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি, ২০২৫) অনুশীলন শেষে সেই শটটা নিয়ে কথা বললেন। জানালেন রহস্য।

‘‘প্র্যাকটিস বলতে…আমি ব্যক্তিগতভাবে প্র্যাকটিস করেছি যে, ইয়র্কার বলে কিভাবে আসলে স্কোর করা যায়। ওই খান থেকে আসা সব। ইয়র্কার বা লো ফুলটস সব কিভাবে কাজে লাগানো যায়।’’

আরো পড়ুন:

নির্দিষ্ট করে হেলিকপ্টার শট নিয়ে মাহিদুল বলেছেন, ‘‘আলাদা করে কিছু না। আমি শুধু চেয়েছি, বলটা কিভাবে টাইমিং করা যায়। আমি ফিল করছিলাম বলটা আসতে পারে। তার জন্য ওই শটটা খেলতে পেরেছি।’’ 

বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা চাইলেই যে কোনো পরিস্থিতিতে, যে কোনো বলে ছক্কা মারতে পারেন না। নানা সময়ে নানা অজুহাতও পাওয়া গেছে। বলা হলো, পেশি শক্তির ঘাটতি। স্কিলের ঘাটতি। আন্দ্রে রাসেল কিংবা ক্রিস গেইলের মতো সহজাত শক্তি নেই। আবার কেবল টাইমিং মিলিয়ে খেলার ঘাটতি তো আছেই। মাহিদুল যে ছয়টি ছক্কা মিরপুরে সেদিন মেরেছেন প্রতিটিই আলাদা করে নজর কেড়েছে। বলের টাইমিং মিলিয়েছেন দৃষ্টিনন্দনভাবে। বলের ফলোথ্রু অনুসরণ করেছেন। পেশিশক্তি নাকি স্কিল কোনটায় তার বেশি মনোযোগ?

‘‘সব কিছুই আসলে ইনভলব। আমাদের ট্রেনিং থেকে শুরু করে সব কিছুই যুক্ত। আমরা স্কিল এবং স্ট্রেন্থ ওয়াইজ ট্রেনিং ও ড্রিল কেমন করছি সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। এখন পর্যন্ত আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটাররা অনেক ভালো খেলেছে। অনেক ভালো ভালো ছয় মারতে পেরেছে। পুরো টুর্নামেন্টই ভালো কাটবে।’’

খুলনা টাইগার্সের এই ক্রিকেটার এবার ভূমিকা নিয়ে পরিস্কার। শেষ দিকে নেমে ঝড় তোলাই তার একমাত্র কাজ। ভয়ডরহীন ক্রিকেটের চাহিদা। মাথা পরিস্কার থাকায় কাজটা সহজ হচ্ছে বলে দাবি মাহিদুলের, ‘‘চেষ্টা করেছি নিজেকে আরও কিভাবে উন্নতি করা যায়। সো ফার এখন পর্যন্ত যতগুলো বিপিএল খেলেছি, একেক সময় আমার ভূমিকা একেক রকম ছিল। শেষবার যখন বিপিএল খেলেছি তখন আমার ভূমিকা ছিল অন্যটা। এখানে আমার ভূমিকা অন্যরকম। খুলনা টাইগার্সের ম্যানেজমেন্ট, অধিনায়ক তারা আমাকে ওইভাবে অনুপ্রাণিত করেছে, তারা আমাকে ব্যাক করবে। আমি যেন ফেয়ারলেস ক্রিকেটটা খেলতে পারি।’’

মাহিদুলের এই দলে অধিনায়ক হিসেবে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এছাড়া আফিফ হোসেন, নাঈম শেখ রয়েছেন। আবু হায়দার রনি, হাসান মাহমুদরাও রয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই কাছাকাছি বয়সী। যুব ক্রিকেট খেলা হয়েছে একসঙ্গে। একই মানসিকতার সতীর্থ পাওয়ায় খোলামনে থাকতে পারছেন মাহিদুল। তাতে কাজটা আরও সহজ হয়ে যাচ্ছে তার,  ‘‘আনন্দটা বলতে…এরকম হয় না আসলে। আমাদের একেকজন একেক দলে খেলি। লাকিলি আমাদের অনেকেই যারা অনূর্ধ্ব-১৯ দলে একসঙ্গে খেলেছি তারা একসাথে আছি। আমাদের যোগাযোগটা ভালো। সবাই সবার সঙ্গে রোল বা অন্যকিছু…আমার কিছু লাগলে সেটা ওরা আগে থেকে জানে। এ জিনিসগুলো হেল্প করছে। তারপরও একটা ম্যাচ দেখে আমি নিজেকে ওভাবে বিচার করতে চাই না। আমি চাই ধারাবাহিকভাবে ধারাবাহিকতা ধরে রাখার সঙ্গে প্রক্রিয়াটা মেনে চলতে।’’

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়