তাসকিনের ম্যাচ জয়ে রাঙালেন এনামুল-বার্ল
৭ উইকেট নিয়ে তাসকিন আহমেদ আগেই সব আলো নিজের উপর নিয়ে নিয়েছিলেন। তার দল শেষ হাসিটা হাসতে পারেন কিনা সেটাই ছিল দেখার।
মিরপুর শের-ই-বাংলায় দুর্বার রাজশাহীকে ১৭৪ রানের টার্গেট দেয় ঢাকা ক্যাপিটালস। হাতের মুঠোয় আসা প্রথম ম্যাচ হাতছাড়া করেছিল তারা। এবার আর ভুল করেনি। এনামুল হক বিজয়ের দায়িত্বশীল ইনিংস ও রায়ার্ন বার্লের ঝড়ে ১১ বল আগে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় দুর্বার রাজশাহী।
চতুর্থ উইকেটে ৫৬ বলে ১০৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তারা। এনামুল ৪৬ বলে ৭২ রান করেন ৯ চার ও ৩ ছক্কায়। বার্ল ৩৩ বলে ৫৫ রান করেন ৫ চার ও ৩ ছক্কায়। তাতে তাদের জয়ের পথ মসৃণ হয়ে যায়।
১৯ রানে ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিন গড়েছেন ইতিহাস। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেট পেয়েছেন দ্রুতগতির বোলার। সব মিলিয়ে তাসকিন তৃতীয়। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেট পাওয়ার ঘটনা ছিল দুইটি। মালয়েশিয়ার সায়ারুল ইজাত ইদ্রুস ২০২২ সালে চায়নার বিপক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ৮ রানে ৭ উইকেট নেন। এর আগে ২০১৯ সালে কলিন আকারম্যান ৪ ওভারে ১৮ রানে ৭ উইকেট পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ভিটালিটি ব্ল্যাস্ট টুর্নামেন্টে।
তাসকিনের কীর্তির পরও ঢাকা ৯ উইকেটে ১৭৪ রানের পুঁজি পেয়েছিল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন সুযোগ পাওয়া শাহাদাত হোসেন দিপু। ৪১ বলে ৭ চারে সাজান ইনিংসটি। এছাড়া ২৯ বলে ৪৬ রান করেন স্টিফেন এসকিনাজি। ৬ চার ও ২ ছক্কা ছিল তার ইনিংসে। এছাড়া শুভাম রানজানে ২৪ ও থিসারা পেরেরা ২১ রান করেন। রানের খাতা খোলার আগে আউট হন লিটন দাস। ৯ রানে আটকে যান তানজিদ।
লক্ষ্য তাড়ায় ৩১ রানে ২ ওপেনারকে হারায় রাজশাহী। মোস্তাফিজ হারিসের উইকেট নেন প্রথম ওভারে। জিসান আলমের উইকেট পান মুকিদুল ইসলাম। ডানহাতি পেসার নিজের প্রথম ওভারে তুলে নিতে পারতেন এনামুল হক বিজয়ের উইকেটও। কিন্তু স্লিপে তার ক্যাচ ছাড়েন লিটন দাস। সেখান থেকে ইয়াসিরকে সঙ্গে নিয়ে এনামুল ৪২ রানের জুটি গড়েন। স্কোরবোর্ডে রান যোগ করলেও এই জুটি প্রতিপক্ষকে সুযোগ দিচ্ছিলেন বারবার। মিড উইকেটে ইয়াসিরের ক্যাচ ছাড়েন শাহাদাত। নাজমুল ইসলাম অপু এনামুলের ফিরতি ক্যাচ মিস করেন।
ইয়াসির সুযোগ পেয়ে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। আলাউদ্দিন বাবুর স্লোয়ার উড়াতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিড অনে। সেখান থেকে রাজশাহীকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বার্লের ঝড়ো ব্যাটিং ও এনামুলের দায়িত্বশীল ইনিংস তাদেরকে এনে দেয় প্রথম জয়। অন্যদিকে ঢাকা টানা দুই ম্যাচে দুই হারের তিক্ত স্বাদ পেল।
তাসকিন নতুন বলে প্রথম থেকেই ছিলেন দুর্দান্ত। লিটন ও তানজিদকে প্রথম দুই ওভারে আউট করেন। দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম ওভারে ফিরে শাহাদাত দিপু ও চতুরঙ্গ ডি সিলভার উইকেট নেন। এরপর শেষ ওভারে আলাউদ্দিন বাবু, মুকিদুল ও শুভাম রানজানের উইকেট নিয়ে ৭ উইকেটের চূঁড়ায় চড়েন। দল জয় পাওয়ায় তার রেকর্ড গড়া কীর্তিটাও পেয়েছে পূর্ণতা।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল