ঢাকা     রোববার   ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২১ ১৪৩১

‘চাচ্ছিস যেহেতু বেশিই চা, ৮ উইকেটও তো হইতে পারে’

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪২, ২ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১৯:৪৩, ২ জানুয়ারি ২০২৫
‘চাচ্ছিস যেহেতু বেশিই চা, ৮ উইকেটও তো হইতে পারে’

কুয়াশাচ্ছন্ন হিম শীতল পরিবেশে হোম অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলায় বল হাতে তোপ দেগেছেন তাসকিন আহমেদ। আগুণঝরা বোলিংয়ে রেকর্ড ৭ উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে করেছেন লণ্ডভণ্ড। ম্যাচ শুরুর আগে নিতে চেয়েছিলেন ৮ উইকেট! 

বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি, ২০২৫) মুখোমুখি হয় দুর্বার রাজশাহী-ঢাকা ক্যাপিটালস। তাসকিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর এনামুল হক বিজয়-রায়ান বার্লে ভর করে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পদ্মা পাড়ের রাজশাহী। 

ম্যাচ শেষে তাসকিন শুনিয়েছেন ৮ উইকেট নিতে চাওয়ার গল্প, “আজকে একটা মজার বিষয় ছিল যে আমাদের টিমের ম্যাসেয়ার (মাসাজ ম্যান) আনোয়ার বলতেছিল যে ভাইয়া তুমি আজকে চার উইকেট পাবা। চাচ্ছিস যেহেতু আল্লাহর কাছে বেশিই চা, ৮ উইকেটও তো হইতে পারে। ৭ উইকেট পেয়ে গেছি আজকে।”

আরো পড়ুন:

৮ উইকেট না পেলেও তাসকিন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টি-টোয়েন্টি মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৭ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েন। এতেই খুশি ডানহাতি এই পেসার, “ভাবছি। আসলে না ভাবলে হইতো না। হ্যাঁ, উইকেট একটু ভাগ্যেরও ফেভার হইতে হয় কিন্তু আমি খুশি যে আমি আলহামদুল্লিলাহ বোলিংয়ে যেটা করতে চাচ্ছি এক্সকিউট সেটা হচ্ছে। আসলে ভালো বোলিং করতে পারাটাই গুরুত্বপূর্ণ। উইকেট তো অনেক সময় দুইটা কম হয়, দুইটা বেশি হয়। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।”

এর আগে টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেট পাওয়ার ঘটনা ছিল দুইটি। মালয়েশিয়ার সায়ারুল ইজাত ইদ্রুস ২০২২ সালে চায়নার বিপক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ৮ রানে ৭ উইকেট নেন। এর আগে ২০১৯ সালে কলিন আকারম্যান ৪ ওভারে ১৮ রানে ৭ উইকেট পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ভিটালিটি ব্ল্যাস্ট টুর্নামেন্টে। ৮ উইকেট হতে পারতো কি না? 

“না আসলে লোভে যাই নাই। বেশি লোভে গেলে দেখা গেল হাফ ভলি হতে পারত। তখন বলছি একেকটা ওয়ান বোলারের টাইমে আমি ক্লিয়ার ছিলাম। সিচুয়েশন অনুযায়ী কী করা দরকার এবং সেটা করতে পারছি। ভালো লাগছে যে যখনই ক্যাপ্টেন আমাকে ট্রাস্ট করে নিয়ে আসছে, ব্রেক থ্রু এনে দিতে পারছি আলহামদুল্লিলাহ।”

এর আগে তাসকিনের সর্বোচ্চ উইকেট ছিল পাঁচটি। ২০১৬ এর বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ৩১ রান দিয়ে নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। ৮ বছর পর আরও পরিণত তাসকিন ছড়িয়ে গেলেন নিজেকেই।

তাসকিন বলেন, “ফাইফার তো যে কোনো ফরম্যাটে অনেক স্পেশাল। কারণ অনেকবার তিন উইকেট, চার উইকেট পাইছি কিন্তু উইকেটের সঙ্গে লাকও লাগে পাঁচটা পাইতে। আলহামদুল্লিলাহ এটা আমার জন্য বড় পাওয়া। যেহেতু আমি বাংলাদেশের ছেলে বিপিএলের হিস্টোরিতে আমার একটা নাম থাকবে খেলা ছাড়ার পরও, এটা আমার জন্য একটা প্রাউড মোমেন্ট।”

লিটন দাসকে শুন্যরানে ফিরিয়ে উইকেটের খাতা খুলেছিলেন তাসকিন আহমেদ। তাকেই আউট করে বেশি পেয়েছেন স্বস্তি, “প্রথম বলটা। যেটাই লিটন আউট হলো। আনপ্লেঅ্যাবল ডেলিভারি ছিল মানে যে কোনো ব্যাটারের ওইখানে ব্যাট দিতেই হতো এবং নিয়ে গেছে। এবং এই রকম উইকেটে ক্যারি করলে ফাস্ট বোলাররা একটু বাড়তি বুস্টআপ হয় এবং বাংলাদেশে ক্যারি করতেছে মানে ভালো সাইন। আর সবগুলো উইকেটই অনেক ইম্পর্ট্যান্ট কিন্তু প্রথম উইকেটটা বেশি।” 

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়