ঢাকা     রোববার   ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২২ ১৪৩১

যেভাবে ব্যাটিং করে আসরের প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন উসমান

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ৩ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ২০:৫৪, ৩ জানুয়ারি ২০২৫
যেভাবে ব্যাটিং করে আসরের প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন উসমান

এমনিতেই শীতে কাঁপছে দেশ। এর মধ্যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়ে মিরপুর শের-ই-বাংলা কাঁপালেন চিটাগং কিংসের পাকিস্তানি ব্যাটার উসমান খান। আসরের সপ্তম ম্যাচে এসে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন এই ব্যাটার।

মাত্র ৪৮ বলে সেঞ্চুরি, আউট হয়ে যখন সাজঘরে ফিরছিলেন তখন নামের পাশে ৬২ বলে ১২৩ রান জ্বলজ্বল করছিল। তাতে তার দল চিটাগং পায় বড় পুঁজি, সঙ্গে পায় ১০৫ রানের বড় জয়। এক উসমানের রানই কর‍তে পারেনি পদ্মা পাড়ের রাজশাহী।

কোন প্রক্রিয়ায় ব্যাটিং করে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেছেন উসমান? ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উসমান বলেন, “সবার আগে আল্লাহপাকের দরবারে শুকরিয়া জানাই। খুব উপভোগ করেছি। উইকেট ভালো ছিল। আমার ভাবনা ছিল লম্বা ইনিংস খেলব। সেভাবেই চেষ্টা করেছি।”

আরো পড়ুন:

প্রতিপক্ষ দলে ছিলেন তাসকিন আহমেদের মতো সফল বোলার। যিনি আগের ম্যাচেই নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। উসমান তাসকিনকে দেখে খেলার পরিকল্পনা করেন। সঙ্গে লম্বা সময় মাঠে থাকার পরিকল্পনায় সফল হয়েছেন পাকিস্তানের এই বিস্ফোরক ব্যাটার।

“জুটিও ভালো ছিল। বিষয়টা এমন ছিল যে, তাসকিন আহমেদ ভালো বোলার তাই ওর ওভারগুলো কাটিয়ে দিতে হবে। দুই ওভার ভালো করেছিল। এরপর যখন ব্যাটে-বলে লাগতে শুরু করল, লম্বা খেলার পরিকল্পনা করেছি। তাই আল্লাহ্‌র কাছে শুকরিয়া।”

ইমন শূন্যরানে ফিরলে দ্বিতীয় উইকেটে ক্লার্কের সঙ্গে উসমান ৬৩ বলে ১২৩ রানের লম্বা জুটি গড়েন। ক্লার্ক ফিরলে মোহাম্মদ মিথুনের সঙ্গে উসমানের জুটিতে মাত্র ৩১ বলে ৬৩ রান আসে। এই জুটিতে সেঞ্চুরির দেখা পান উসমান। ১৩টি চার ও ৬টি ছক্কায় সাজিয়েছিলেন ইনিংসটি। টি-টোয়েন্টিতে এটি উসমানের ক্যারিয়ার সেরা রান।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে উসমান বিপিএলে প্রথম পা রাখেন। সেই আসরে সেঞ্চুরি করে আসেন পাদ্রপ্রদীপের আলোয়। জায়গা পান জাতীয় দলে। মালিকানা বদল হলেও এবার চট্টগ্রামেই খেলছেন উসমান। ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়েও খুশি এই ব্যাটার।

“অনেক বেশি মজা করছি আমরা। (চট্টগ্রামে) এর আগেও আমি খেলেছি। ম্যানেজমেন্ট খুব ভালো তাই খুব উপভোগ করছি।”

জয়ের জন্য উসমানের বড় রানকে কৃতিত্ব দেন আরাফাত সানি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আরাফাত বলেন, “বোলারদের জন্য বড় রান থাকলে চাপটা একটু কম থাকে। যেহেতু ওদের শুরু খুব ভালো করেছে পাওয়ার প্লেতে। টি-টোয়েন্টিতে কিন্তু মেইন খেলাটা ছয় ওভারের ওপর নির্ভর করে। আমরা আমাদের প্রসেসে ছিলাম। যে হ্যাঁ, একটা দুইটা ওভার রান হবে। প্যানিক যাতে না হই, দুইশ রান কিন্তু প্রতি ওভারে ১২ করে দরকার ছিল। এটা সহজ না ক্রিকেটে।”

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়