ঢাকা     বুধবার   ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৪ ১৪৩১

২৪ চার, ৩১ ছক্কার ম্যাচে হেলসের সেঞ্চুরি

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৫, ৬ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১৭:২৭, ৬ জানুয়ারি ২০২৫
২৪ চার, ৩১ ছক্কার ম্যাচে হেলসের সেঞ্চুরি

রৌদ্রজ্জ্বল দিন। রান প্রসবা উইকেট। ছোট সীমানা। দ্রুততম আউটফিল্ড। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের চাহিদার পুরোপুরি যোগান দিলো সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। বিপিএলে সিলেট পর্বের প্রথম দিনটি দুহাত ভরে দিয়েছে ব্যাটসম্যানদের।

রান উৎসব হলো সিলেট স্ট্রাইকার্স ও রংপুর রাইডার্সের ম্যাচে। রংপুরের আমন্ত্রণে স্বাগতিকরা ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথমে ৪ উইকেটে ২০৫ রান করে। জবাবে রংপুর ৬ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে। চার ম্যাচে এটি তাদের চতুর্থ জয়। সিলেটের দুই ম্যাচে দুই হার।

দুই দলের ৪১৫ রানের ম্যাচে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটল। আগে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেটের ইনিংসে ছিল ১১ চার ও ১৬ ছক্কা। রংপুর জবাব দেয় ১৩ চার ও ১৫ ছক্কায়। ৩১ ছক্কা এর আগে বিপিএলের কোনো ম্যাচে হয়নি। 

আরো পড়ুন:

ঢাকায় দুই সেঞ্চুরি এসেছিল দুই বিদেশি থিসারা পেরেরা ও উসমান খানের ব্যাটে। সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচেই আরেক বিদেশি অ্যালেক্স হেলস পেলেন তিন অঙ্কের স্বাদ। মাত্র ৫৬ বলে ১১৩ রান করে রংপুরের জয়ের পথ মসৃণ করেন হেলস। বিপিএলে রংপুরের জার্সিতে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে হেলস ২০১৯ সালে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ৪৮ বলে ১০০ রান করেছিলেন।

রান তাড়ায় বিরাট অবদান রাখেন সাইফ হাসান। ৪৯ বলে ৩ চার ও ৭ ছক্কা হাঁকান সাইফ। দুজন ১০১ বলে ১৮৬ রানের জুটি গড়েন। তাদের রেকর্ড গড়া সর্বোচ্চ রানের জুটিতে সিলেট ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় অতি সহজে। তাদের ইনিংসের শুরুতে আজিজুল হাকিম রানের খাতা খোলার আগে আউট হন।

এর আগে রনি তালুকদার ও জাকির হাসানের ফিফটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পায় সিলেট। সেই ভিতের উপর ভর করে শেষ দিকে ঝড় তোলেন অ্যারোন জোন্স ও জাকের আলী। দুজন মাত্র ১০ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়েন। তাতে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৪ উইকেটে ২০৫ রানের পুঁজি পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স।

জোন্স ও জাকের স্কোরবোর্ডের চিত্র পাল্টে দেন। প্রথমবারের মতো বিপিএল খেলতে নামা যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটার জোন্স ১৯ বলে ৩৮ রান করেন ১ চার ও ৪ ছক্কায়। জাকের শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে তিন ছক্কায় মাঠ মাতিয়ে তোলেন। মাত্র ৫ বলে ২০ রান করেন চোখের পলকে।

এর আগে রনি ৩২ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৪ রান করেন। জাকির ৪ ছক্কায় ৩৮ বলে করেন ৫০ রান। দুজনের কেউই ফিফটির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি। তবে আসল কাজটা করে দেন। এছাড়া ওপেনার জর্জ মুনসে ১২ বলে ১৮ ও পল স্টারলিং ১৬ বলে ১৬ রান তুলে রাখেন অবদান।

বল হাতে সাইফ উদ্দিন ৩১ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন মাহেদী ও আফিফ। বিবর্ণ দিন গেছে নাহিদ রানার। ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।

সিলেটের তানজিম হাসান সাকিব বাদে বাকি সবাই ছিলেন বেহিসেবী। তানজিম ২৩ রানে পেয়েছেন ২ উেইকেট। বাকিরা প্রত্যেকে  রান দিয়েছেন ওভার প্রতি ১০ এর উপরে।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়