সেঞ্চুরির জন্য সাইফকেও কৃতিত্ব দিলেন হেলস
স্কোরবোর্ডে বিশাল রানের চাপ। সিলেট স্ট্রাইকার্সকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে রংপুর রাইডার্স অল্পরানে আটকে রাখতে পারেনি। ৪ উইকেটে স্বাগতিকদের রান ২০৫। ঢাকায় টানা তিন জয়ে রংপুরের উপর প্রত্যাশার চাপ ছিল বেশি। নিজেদের উপর আত্মবিশ্বাস ছিল রংপুরের।
বোলিংটা বিবর্ণ হলেও ব্যাটিংটা হলো রঙিন। অ্যালেক্স হেলস সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়েছেন অনায়েসে। সঙ্গে সাইফ হাসান খেলেছেন ৮০ রানের অনবদ্য ইনিংস। দুজন দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১০১ বলে ১৮৬ রান জমা করেন। যা এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের জুটি।
হেলস সেঞ্চুরির জন্য পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। সাইফের হাতে উঠেছে সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়ের পুরস্কার। দুজনের জমাট জুটিতে রংপুরের জয়ের পথ মসৃণ হয়ে যায়। হেলস সেঞ্চুরি পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত, আনন্দিত। তবে এই সেঞ্চুরির জন্য সাইফকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন ইংলিশ ক্রিকেটার।
রান তাড়ায় শুরুতে রান না পেলেও মধ্যভাগে তা পুষিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল রংপুরের। কিন্তু হেলস ইনিংসের মাঝপথে রান তুলতে ভুগছিলেন। বিশেষ করে স্পিনার নিহাদুজ্জামান যখন বোলিং করছিলেন তখন কিছুটা চাপে পড়েন হেলস। সাইফ অপরপ্রান্তে অনায়েসে রান তোলেন। মধ্যভাগে সাইফের লড়াইয়ে দারুণ খুশি হেলস।
‘‘আমি পরিকল্পনা করেই এসেছিলাম। যেহেতু এখানে সীমানা ছোট। আমরা যদি উড়ন্ত সূচনা না-ও পাই আমাদেরকে সময় দিতে হবে। ইনিংসের মধ্যভাগে আপনি সেই দৌড়ে ফিরে আসতে পারবেন। সেই কাজটাই আমরা করেছে। আমি যখন মধ্যভাগে ৬-১০ ওভারে স্পিনারদের বিরুদ্ধে রান তুলতে ভুগছিলাম, সাইফ আমার থেকে চাপ সরিয়ে নিয়েছিল। বাঁহাতি স্পিনারকে দারুণ সামলানোর পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন পুল শট খেলেছে। আমি বলবো সে-ও আমাকে বেশ সাহায্য করেছে।’’
৫৬ বলে ১১৩ রান করেন হেলস। যেখানে ছিল ১০ চার ও ৭ ছক্কার মার। নিজের ইনিংস নিয়ে হেলস বলেছেন, ‘‘খুব উপভোগ করেছি। উইকেট দারুণ ছিল। বাউন্ডারির সীমানাও ছোট ছিল। সাইফের সঙ্গে আমার জুটিটা দারুণ উপভোগ করেছি। ২০০ এর বেশি রান তাড়া করা যেকোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ এবং যেকোনো মাঠেই কঠিন। আমি বলব আমাদের পারফরমান্স ভালো ছিল। নিজেরা যেভাবে পারফর্ম করেছি তাতে তৃপ্ত।’’
বিপিএলে এটি হেলসের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১৯ সালে হেলস সেঞ্চুরি করেছিলেন ৪৭ বলে। আজ তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন ৫৪ বলে। এরপর আরও ১৩ রান যোগ করেন। ২০১৯ সালে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে রংপুরের হয়ে ৪৮ বলে ১০০ করেছিলেন।
‘‘এখানে আসতে আমি উপভোগ করি। এবং এখানে এসে ক্রিকেট খেলতেও আমি ভালোবাসি। সমর্থকরা দারুণ। তারা স্টেডিয়ামে আসে ভালো খেলা উপভোগের জন্য। চট্টগ্রামের উইকেট খুব ভালো হয়। আজকে এখানের উইকেটও ভালো ছিল।’’ - বলেছেন হেলস।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল