বছরের প্রথম হ্যাটট্রিক থেকশানার, শ্রীলঙ্কাকে লড়াকু টার্গেট ছুড়ল কিউরা
প্রথম ম্যাচে দাপট দেখিয়েছিল নিউ জিল্যান্ড। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে দাপট দেখাতে শুরু করেছিল বৃষ্টি। তাতে মনে হয়েছিল শ্রীলঙ্কা ও নিউ জিল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যাবে। কিন্তু না, লম্বা সময় ধরে চলা বৃষ্টি থামার পরে ম্যাচ নেমে আসে ৩৭ ওভারে। সেখানে নিউ জিল্যান্ড টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রান করে। জিতে সিরিজে সমতা ফেরাতে শ্রীলঙ্কাকে করতে হবে ২৫৬ রান।
বৃষ্টির পর বল হাতে দাপট দেখিয়েছেন শ্রীলঙ্কার মহেশ থেকশানা। তিনি ৮ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে হ্যাটট্রিকসহ ৪টি উইকেট তুলে নিয়েছেন। তার হ্যাটট্রিকটি হয়েছে দুই ওভারে। ৩৫তম ওভারের পঞ্চম বলে তিনি আউট করেন মিচেল স্যান্টনারকে। ষষ্ঠ বলে ফেরান নাথান স্মিথকে। এরপর ৩৭তম ওভারে এসে প্রথম বলেই ম্যাট হেনরিকে আউট করে নতুন বছরের প্রথম হ্যাটট্রিক তুলে নেন। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসে সপ্তম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি।
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৮ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন আসিথা ফার্নান্দো ও ইশান মালিঙ্গা।
ব্যাট করতে নেমে ৩১ রানে উইল ইয়াংয়ের উইকেট হারায় নিউ জিল্যান্ড। আসিথা ফার্নান্দোর বলে বোল্ড হন তিনি ব্যক্তিগত ১৬ রানে। সেখান থেকে রাচিন রবীন্দ্র ও মার্ক চ্যাপম্যান ১১২ রানের জুটি গড়েন দ্বিতীয় উইকেটে। ইঙ্গিত দেন ৩৭ ওভারেই বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করানোর। কিন্তু ১৪৩ রানের মাথায় চ্যাপম্যানকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন থেকশানা। চ্যাপম্যান ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৬২ রান করেন।
১৬৮ রানের সময় ফিরেন রাচিনও। তিনি ৯টি চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৭৯ রান করেন। নতুন ব্যাটসম্যান টম ল্যাথাম অবশ্য ১ রান করেই ফিরেন সাজঘরে। নিউ জিল্যান্ডের রান তখন ১৭০। সেখান থেকে ড্যারিল মিচেল, গ্লেন ফিলিপস ও মিচেল স্যান্টনারের ব্যাটে ২৫৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। ফিলিপস ১ চার ও ১ ছক্কায় ২২ রান ও স্যান্টনার ২ চার ১ ছক্কায় করেন ২০ রান। আর ড্যারিল মিচেল করেন ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ রান। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি।
ঢাকা/আমিনুল