আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরে গাপটিল
নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের নক্ষত্রদের অন্যতম মার্টিন গাপটিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার ১৪ বছরের (২০০৯-২০২২) ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন। ৩৮ বছর বয়সে তিনি নিউ জিল্যান্ডের হয়ে তিন ফরম্যাটে খেলেছেন ৩৭৭টি ম্যাচ।
জমকালো আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১২২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তার সংগ্রহ ৩ হাজার ৫৩১ রান। ১৯৮টি ওয়ানডে ম্যাচে সব মিলিয়ে তার সংগ্রহ ৭ হাজার ৩৪৬ এবং ৪৭টি টেস্টে তার সংগ্রহ ২ হাজার ৫৮৬ রান। তার দখলে রয়েছে ১ হাজার ৩৮৫ টি চার ও ৩৮৩টি ছক্কা।
২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি অকল্যান্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে গাপটিলের। সেই অভিষেকেই প্রথম নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেটার হিসেবে সর্বোচ্চ (১২২, অপরাজিত) রান করেন। এটি একদিনের অভিষেক ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটি ছিল গাপটিলের সর্বোচ্চ রান ও প্রথম কিউই ক্রিকেটার হিসেবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করার রেকর্ড।
ওয়েলিংটন স্টেডিয়ামে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৫ এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে জিতে ২৩৭ (অপরাজিত) রান করে ওডিআই ডাবল সেঞ্চুরি করা প্রথম কিউই খেলোয়াড় তিনি। এছাড়া ২০১৩ সালে সাউদাম্পটনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার অপরাজিত ১৮৯ রান এবং ২০১৭ সালে হ্যামিল্টনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার ১৮০ (অপরাজিত) এখনও নিউ জিল্যান্ডের সেরা চারটি ব্যক্তিগত ওয়ানডে ইনিংসের মধ্যে তৃতীয় হিসেবে রয়ে গেছে।
টি-টোয়েন্টিতে গাপটিলের দুটি সেঞ্চুরি রয়েছে। প্রথমটি ২০১২ সালে লন্ডনের বাফেলো পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬৯ বলে ১০১ (অপরাজিত) এবং দ্বিতীয়টি তার ছয় বছর পর অকল্যান্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫৪ বলে ১০৫ রান করেছিলেন।
টেস্টে ১৭টি হাফসেঞ্চুরি ও ৩টি সেঞ্চুরি করেছেন। টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরি পান ২০১০ সালে সেডন পার্কে বাংলাদেশের বিপক্ষে, করেছিলেন ১৮৯ রান। এরপর ২০১১ সালে বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেছিলেন ১০৯ রান এবং ২০১৫ সালে ডানেডিনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছিলেন ১৫৬ রানের ইনিংস।
ক্যারিয়ারের ইতি টানতে গিয়ে তিনি বলেন, “ছোটবেলায় নিউ জিল্যান্ডের হয়ে খেলা আমার স্বপ্ন ছিল এবং দেশের হয়ে ৩৬৭টি ম্যাচ খেলতে পেরে আমি ভাগ্যবান এবং গর্বিত।’’
সেইসাথে সতীর্থ ও কোচ মার্ক ও’ডোনেলকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন তিনি।
ঢাকা/আমিনুল