‘নো বলে’ জীবন পেয়ে মায়ার্সের ৭ ছক্কার ঝড়
ভাগ্য মনে হয় একেই বলে! কামরুল ইসলাম রাব্বীর বৈধ ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে কাইল মায়ার্স ক্যাচ দিয়েছিলেন। উইকেটের পেছনে নির্ভরযোগ্য নুরুল হাসান সোহান বল ঠিকঠাক গ্লাভসবন্দিও করেছিলেন। কিন্তু তার ‘ছোট’ ভুলে বড় ‘শাস্তি’ পেল রংপুর। বৃত্তের বাইরে ছয় ফিল্ডার থাকায় আম্পায়ার বলটিকে নো বল ঘোষণা করেন।
জীবন পেয়ে মায়ার্স এরপর ঝড় তোলেন সিলেটের ২২ গজে। রংপুরের বোলারদের নাস্তানাবুদ করে ২৯ বলে করেন ৬১ রান। যেখানে ১ চারের সঙ্গে ছিল ৭ ছক্কা। তার ২১০.৩৪ স্ট্রাইক রেটে সাজানো ইনিংসে ফরচুন বরিশাল ৫ উইকেটে ১৯৭ রান করে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালের শুরুটা ছিল দারুণ। ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮১ রান তুলে নেয় তারা। তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত দুজন থিতু হওয়ার পর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তোলেন। তাতে স্কোরবোর্ডও সমৃদ্ধ হয়। কিন্তু ১১তম ওভারে পেসার রাব্বী এসে এই দুই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের পথ দেখান। রানে ফেরা শান্ত ৩০ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪১ রান করে কাভারে খুশদিলের হাতে ক্যাচ দেন। ওই ওভারের শেষ বলে তামিম ৩৪ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ রান করে মিড অফে হেলসের তালুবন্দি হন। এই ইনিংস খেলার পথে তামিম বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৮ হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়ে যান।
পরের গল্পটা শুধু মায়ার্সের। একাই লণ্ডভণ্ড করে দেন রংপুরের আক্রমণ। তাওহীদ হৃদয় ১৮ বলে ২৩ এবং ফাহিম আশরাফ ৬ বলে ২০ রান করে রাখেন অবদান। মায়ার্স যখন রাব্বীর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তখন তার রান ছিল কেবল ২১। চার ছক্কা মেরেছিলেন ১টি করে। জীবন পাওয়ার পর সেটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে তুলে নেন ঝড়ো ফিফটি। তাতেই বড় পুঁজি পেয়েছে শিরোপাধারীরা।
রংপুর এর আগে সিলেটে দুইশর বেশি রান তাড়া করে জিতেছে। আজ জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে কিনা সেটাই দেখার। রংপুরের হয়ে বল হাতে রাব্বী ৪৭ রানে নেন ২ উইকেট। নাহিদ রানা ৪৭ রান দিলেও উইকেট পাননিন। ১টি করে উইকেট নেন আকিফ জাভেদ ও সাইফ উদ্দিন।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল