জাকির ঝড়ের পর আরিফুলে চড়ে সিলেটের দুর্দান্ত জয় 

প্রথম বলে রাকিম কর্নওয়ালের উইকেট নিয়ে শুরু করেছিল ঢাকা ক্যাপিটালস। দ্বিতীয় ওভারে আরেকটি উইকেট হারালেও পথ হারায়নি সিলেট স্ট্রাইকার্স। জাকির হাসানের ঝড়ের পর রনি তালুকদারের গড়ে দেওয়া ভিতে দাঁড়িয়ে আরিফুল হকের বিষ্ফোরক ইনিংসে প্রথম জয়ের দেখা পায় চায়ের দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৯৩ রান করে ঢাকা। তাড়া করতে নেমে ৮ বল হাতে রেখে ৩ উইকেট জয় নিশ্চিত করে সিলেট। টানা ছয় ম্যাচে হারের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যরা। অন্যদিকে চতুর্থ ম্যাচে এসে দুই পয়েন্ট পেলো আরিফুলের দল।

শেষ দিকে আরিফুল নেতাসুলভ ইনিংস খেলেন। তানজীম হাসান সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ১৫ বলে ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তানজীমের ব্যাট থেকে আসে ৭ রান।

মাত্র ২৭ বলে ৫৮ রান করেন জাকির হাসান। ৭টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজিয়েছেন ইনিংস। ফিফটি করেন ২৫ বলে। জাকির ফিরলে রনি এসে ঝড় তোলেন। তার ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ৩০ রান। জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে না পারলেও গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন জাকের আলী। ১৭ বলে ২৪ রান করেন তিনি। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন ফরমানুল্লহ-শুভাম রানজানে।

এর আগে  লিটন-মুনিমে ভর করে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ১৯৪ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। ৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর মুনিমকে নিয়ে এগোতে থাকেন লিটন। শুরু থেকে লিটন ছিলেন আগ্রাসী। তবে মুমিম সময় নেন সেট হতে। দুজনেই ফিফটি করে মাঠে ছাড়েন।

৪৩ বলে সর্বোচ্চ ৭৩ রান আসে লিটনের ব্যাট থেকে। ১০টি চার ও ১টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান লিটন। ফিফটি পেয়েছিলেন ২৯ বলে।   লিটনের আউটে ভাঙে ৮৮ বলে ১২৯ রানের জুটি। তার আউটের পর বিদায় নেন মুনিমও। ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৭ বলে ৫২ রান করেন মুনিম।  দুজন বিদায় নেওয়ার পর ঢাকার রানের গতি যেন আরও বড়ে। সাব্বির রহমান-থিসারা পেরেরা মাত্র ১৭ বলে যোগ করেন ৪১ রান। সাব্বির ১০ বলে ২৩ ও পেরেরা ৯ বলে ১৮ রান করেন। দুজন বিদায় নিলে রানের গতি কিছুটা কমে যায়। রিয়াজ হাসান-শুভাম রনজানে অপরাজিত ছিলেন ৪ রানে।  সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রাকিম কর্নওয়াল। ১টি করে উইকেট নেন তানজীম হাসান সাকিব-রিচ টপলি। আল আমিন ছিলেন খরুচে। ৪ ওভারে এই পেসার দেন ৫৮ রান।